রোববার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১
পাঠক মত

কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকদের চিহ্নিত করতে হবে

বেলাল হোসেন কুমিলস্না বিশ্ববিদ্যালয়
  ০৮ জুন ২০২৪, ০০:০০
কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকদের চিহ্নিত করতে হবে

দেশে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলছে অপরাধপ্রবণতা। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, হত্যা ইত্যাদি যেন নিত্যদিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে রূপ নিয়েছে। ভয়াবহ ব্যাপার হলো দেশের অসংখ্য কিশোর-তরুণ তাদের সোনালি ভবিষ্যৎ জলাঞ্জলি দিয়ে জড়িয়ে পড়ছে অপরাধ জগতে। অপরাধের এই ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকলে দেশে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব হয়ে পড়বে। বাংলাদেশের অধিক জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তরের যেই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অচিরেই ভেঙে পড়বে। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন কিশোর-তরুণদের অপরাধ জগৎ থেকে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হলে অদূর ভবিষ্যতে তীব্র মেধা সংকটে পড়বে দেশ। কিশোরদের বিপথে পরিচালনার পেছনে রয়েছে উচ্চমহলের কালো হাত। তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় কিশোররা তৈরি করছে কিশোরগ্যাং নামক দুষ্কৃতকারী সংগঠন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তারা বিভক্ত হয়ে যার যার অবস্থান থেকে বিভিন্ন অপরাধ কার্যক্রম সংগঠিত করছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে কিশোর গ্যাং একটি আতঙ্কে রূপ নিয়েছে। তাদের কর্মকান্ডে কেউ প্রতিবাদ করলে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকিসহ নানা আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ভয়ভীতি দেখায়। বিভিন্ন নেতা, এই ভাই সেই ভাইয়ের দাপট দেখিয়ে বুক চেতিয়ে এলাকায় ঘুড়ে বেড়ায় তারা। এছাড়া ইভটিজিং, মাদক সরবরাহ, মাদক গ্রহণের মতো ভয়াবহ কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত তারা। গত ১২ মে ২০২৪ কুমিলস্না জেলার আদর্শ সদর উপজেলায় কালীর বাজার ইউনিয়নের ধনুয়াইশ গ্রামে দিবালোকে একজন ফেরিওয়ালাকে ছুরিকাঘাত করে সব অর্থ হাতিয়ে নেয় একদল উঠতি বয়সি কিশোর। এই ঘটনায় প্রবল আতঙ্কে স্তব্ধ হয়ে যায় পুরোএলাকা। তারপর অপরাধীদের শনাক্ত করে ধনুয়াইশ মানবিক টিম ফাউন্ডেশন ও যুবসমাজের উদ্যোগে এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সর্দার সাহেবের উপস্থিতি তাদের যথাযথ বিচার সম্পাদন করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে গ্রামবাসী। এভাবে দেশের আনাচে-কানাচে অসংখ্য অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে কিশোরগ্যাং নামক সংগঠন। তাই অনতিবিলম্বে তাদের পৃষ্ঠপোষকদের চিহ্নিত করে দৃষ্টাদন্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হোক। মুসড়ে দেওয়া হোক সামাজিক মূল্যবোধ ধ্বংসকারী এই অমানুষদের কালো হাত।

বেলাল হোসেন

কুমিলস্না বিশ্ববিদ্যালয়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে