রোববার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১

দূষণমুক্ত হোক সমুদ্র

প্রতিনিয়ত আমাদের সমুদ্র দূষণে আক্রান্ত হচ্ছে। সমুদ্রকে দূষণমুক্ত করার জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
সাগর জামান
  ০৮ জুন ২০২৪, ০০:০০
দূষণমুক্ত হোক সমুদ্র

আমাদের পৃথিবী জুড়ে আছে তিন ভাগ জল। পৃথিবী পরিবেষ্টিত এই বিস্তীর্ণ জলরাশিকে আমরা বলি সমুদ্র। সমুদ্রের অপরূপ সৌন্দর্য মুগ্ধ করে প্রতিটি মানুষকে। সমুদ্রের সঙ্গে তাই মানুষের রয়েছে মধুর মিত্রতা। সুযোগ পেলেই মানুষ ছুটে যায় সমুদ্রের কাছে। সমুদ্রের লীলায়িত সৌন্দর্যের টানে মানুষ ব্যস্ত জীবনের ছক থেকে ছুটি নেয়। অনেক অর্থ ব্যয় করে সমুদ্র দর্শনের জন্য। সমুদ্র প্রেমিক মানুষ নিজেকে সমর্পণ করে সমুদ্রের উন্মোচিত শোভায়। যাপিত জীবনের বিষাদ ভুলে মানুষ সুখের অনুবাদ করে জলের অতল নীলে। সমুদ্রের বিশালতা ব্যক্তির ক্ষুদ্রত্বকে ঘুচিয়ে দেয়। স্বপ্ন তাড়িত মানুষ বুকের ভেতর একটি সমুদ্র গভীর গোপনে লুকিয়ে রাখে। নিমগ্ন হয় সবার অলক্ষ্যে। একে বোধ হয় স্বপ্ন সমুদ্র বলে। স্বপ্ন সমুদ্রের অবারিত প্রবাহমান ধারাকে শত বিপর্যয় আর প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আমরা সমুন্নত রাখার প্রাণান্ত চেষ্টা করে যাই। সমুদ্র নিয়ে কবি সাহিত্যিক গীতিকারেরা অসংখ্য রচনা সৃষ্টি করেছেন। কবিতা, গল্প, উপন্যাস,গানে নীল সমুদ্রের অনুপ্রবেশ ঘটে। চলচ্চিত্র, নাটকে রূপময় সমুদ্র থাকে, থাকে সমুদ্রের গর্জন, সমুদ্র উপকূলের মানুষের দীপ্য উপস্থিতি থাকে। লেখক সাংবাদিকরা সমুদ্র সম্পর্কিত নানা তথ্য উদ্ঘাটন করে সমুদ্র বিষয়ক রচনায় নির্ভরযোগ্য তথ্য ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করেন। সমুদ্রের বিশালতা, তার অতলে থাকা রহস্য ঘিরে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। প্রতিদিনই অগণিত মানুষের সমাগম ঘটে সমুদ্রসৈকতে। সমুদ্রের নীল জলরাশির সৌন্দর্য, বিচিত্র রূপ, ডলফিন মাছের খেলা করার দৃশ্যাবলি উপভোগ করা এবং সমুদ্র জলে সাঁতার কাটা ও স্নান করার আনন্দে মেতে ওঠার জন্য মানুষ প্রতিনিয়ত সমুদ্রমুখী হয়। আবহমান কাল থেকে বাংলা সাহিত্যে যেমন উত্তাল সমুদ্রের সৌন্দর্যময়তা চিত্রিত হয়েছে। তেমনি সমুদ্র উপকূলের মানুষের জীবন সংগ্রামের আখ্যান নানাভাবে উঠে এসেছে। ভ্রমণ বিলাসী মানুষ সমুদ্র দর্শনের অভিজ্ঞতার চিত্ররূপ অঙ্কন করেছেন তাদের ভ্রমণ কাহিনীতে। বাংলা সাহিত্যে ভ্রমণ কাহিনী অত্যন্ত সমৃদ্ধ। ভ্রমণ কাহিনী ভ্রমণ পিপাসু পাঠকদের ভীষণভাবে সম্মোহিত করে। আমাদের ভ্রমণ কাহিনীতে সমুদ্রের চিত্র পরিস্ফুটিত হয়েছে। যে সব পাঠকের সমুদ্র দর্শনের সুযোগ হয়নি তারা এ ধরনের ভ্রমণ কাহিনী পাঠ করে সমুদ্র দর্শনের ধারণা নিতে পারেন খুব সহজেই। সমুদ্র দেখতে গেলে সমুদ্র উপকূলের মৎস্যজীবী মানুষের জীবনযাপন প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পাওয়া যায়। ধীবর সম্প্রদায়ের মানুষের বিচিত্র স্বভাব। মাছ বিক্রি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। দুর্যোগ দুর্বিপাকের মাঝে এদের টিকে থাকতে হয়। প্রচন্ড পরিশ্রমী ও সাহসী মানুষ এরা। সমুদ্রে ভেসে বেড়াতে হয় এদের। প্রকৃতির রুদ্রতার সঙ্গে নিরন্তর সংগ্রাম করতে হয়। সমুদ্রকে বলা হয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর বিপুল সম্পদের আধার। সমুদ্র তলদেশের সব সম্পদের তথ্য এখনো অজানা। আমরা এখনো সন্ধান পাইনি অনেক কিছুর। এখনো অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে সমুদ্রের গভীরে লুকিয়ে থাকা অনেক সম্পদ। সমুদ্র পৃথিবীর অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সম্পদ। পণ্য পরিবহণের কাজেও সমুদ্রকে ব্যবহার করা হয়। বস্নু-ইকোনমি বা সুনীল অর্থনীতি বদলে দিচ্ছে পৃথিবীর অনেক দেশের অর্থনীতিকে। বস্নু-ইকোনমি মানে সুনীল অর্থনীতি বলতে আমরা বুঝি সমুদ্রসম্পদ নির্ভর অর্থনীতি। সমুদ্রসম্পদকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য সুনীল অর্থনীতি বা বস্নু-ইকোনমির প্রতি মানুষের উৎসাহ বেড়েছে। বেলজিয়ামের অধ্যাপক গুন্টার পাউলির কাছ থেকে ১৯৯৪ সালে প্রথম এই ধারণা পাওয়া যায়। পৃথিবীর মানুষ সুনীল অর্থনীতিকে টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব মডেল হিসেবে গ্রহণ করতে শুরু করেছে। যা সম্ভাবনার সবগুলো কপাট খুলে দিয়েছে।

\হসমুদ্র মৎস্যসম্পদের সুবিশাল ভান্ডার হিসেবে চিহ্নিত। পৃথিবীর অগণিত মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণ করে সমুদ্র। কিন্তু প্রতিনিয়ত এই ভান্ডার থেকে অনেক প্রজাতির মাছ ও জলজপ্রাণি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আইন অমান্য করে এক শ্রেণির অর্থ লিপ্সু মানুষ সমুদ্র থেকে বিশেষ ধরনের জাল দিয়ে ছোটো ছোটো আকৃতির মাছ ও অন্যান্য জলজপ্রাণি শিকার করছে। ফলে মাছ ও অন্য প্রাণীর বংশ বৃদ্ধি হচ্ছে না। সমুদ্রে থাকা মাছেদের প্রাচুর্য নষ্ট হচ্ছে। জেলেরা অবৈধভাবে নির্ধারিত দৈর্ঘ্যের চেয়ে ছোটো মাছ অতিরিক্ত আহরণ করছে। মাছের সঙ্গে অন্যান্য ছোটো ছোটো প্রাণীকেও নির্বিচারে নিধন করা হচ্ছে। যা দন্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সব মানুষেরই আমিষের চাহিদা পূরণ করতে সমুদ্রের ওপর নির্ভর করতে হয়। সে কারণে আমাদের সবার সমুদ্র রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।

নানাভাবে সমুদ্র দূষণের কবলে পড়েছে। মূলত শিল্প কলকারখানার বর্জ্য, কৃষি কাজে ব্যবহৃত রাসায়নিক কীটনাশক প্রতিনিয়ত নদীকে দূষিত করছে। নদীর দূষণ স্পর্শ করছে সমুদ্রকে। ফলে তিমি, ডনফিন এবং সমুদ্রে বিচরণ করা অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর মৃতু্য উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। বিপন্ন হচ্ছে সামদ্রিক প্রাণিকুল।

বিষয়টি বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবাদীদের ভাবিয়ে তুলছে। সমুদ্রযানের আঘাতেও অনেক প্রাণীর মৃতু্য হয়। এছাড়া ফাঁস জাল, বেহুন্দি জাল ও টানা বড়শিতে আটকা পড়ে ডলফিন তিমি এবং অন্যান্য প্রাণী মারা যায়। নদীর দূষণ সাগরে পৌঁছে যাচ্ছে।

সমুদ্রের সঙ্গে নদীর রয়েছে গভীর যোগসূত্র। সে কারণে নদী দূষিত হলে সমুদ্র দূষিত হয়। একই ভাবে সমুদ্রের দূষণ নদীকেও দূষিত করে।

\হসমুদ্রের দূষণ ব্যাপকভাবে ক্ষতি করছে সমুদ্রের প্রাণিকুলকে। সমুদ্রের আকর্ষণীয় রূপবৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে। এ ব্যাপারে সবাইকে আন্তরিকভাবে সচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হবে।

নিশ্চিত করতে হবে আইনের প্রয়োগ। সারা পৃথিবীর ১৫ ভাগ প্রোটিন এবং ৩০ ভাগ জ্বালানির চাহিদা মেটাচ্ছে সমুদ্র। সমুদ্রকে ঘিরে বছরজুড়ে ৩ থেকে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে। পৃথিবীতে মানুষ যেভাবে বাড়ছে, তাতে মনে হয় ভবিষ্যতে খাবার এবং অন্যান্য চাহিদা পূরণের জন্য মানুষকে সমুদ্রের ওপর আরো বেশি নির্ভর করতে হবে। সে কারণে শুধু বর্তমান নয়, আগামীর কথা ভেবে সমুদ্রকে রক্ষা করার জন্য প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

আমাদেরও রয়েছে গর্ব করার মতো প্রাকৃতিক সম্পদ। অমিত সম্ভাবনা নিয়ে বাংলাদেশকে ঘিরে আছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কিলোমিটার সমুদ্র অঞ্চল। মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদের উৎস এই সমুদ্র থেকে আমরা নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারি।

\হঅপার সম্ভাবনাময় বঙ্গোপসাগর সুবিশাল সৌন্দর্যমন্ডিত ও তুলনারহিত প্রাকৃতিক সম্পদ। মৎস্যসম্পদ ও খনিজসম্পদে ভরপুর আমাদের সমুদ্র। বাংলাদেশের সমুদ্র সম্পদকে কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনীতিকে উন্নত করার জন্য নানামুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার। আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে ২০১২ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে এবং ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ মীমাংসার ফলে মোট ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কিলোমিটারের বেশি সমুদ্র এলাকা বর্তমানে বাংলাদেশের সার্বভৌম জলসীমা হিসেবে বিস্তৃত। এবং ২০০ নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল ও চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৪৫ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের তলদেশে সব ধরনের প্রাণীজ অপ্রাণীজ সম্পদের ওপর বাংলাদেশের কর্তৃত্ব ও অধিকার রয়েছে। সমুদ্রে সীমা বিরোধ নিষ্পত্তিতে বাংলাদেশ ২২টি বস্নকপ্রাপ্ত হয়েছে। এসব বস্নক থেকে

\হপ্রায় ৪০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া সম্ভব বাংলাদেশের। বাংলাদেশের এই সমুদ্র বিজয় সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে দিয়েছে। বঙ্গোপসাগরে থাকা বিভিন্ন প্রকার মাছ, প্রাণী, জৈব গুরুত্বপূর্ণ সম্পদের হিসাব ও ভাবনা আমাদের ভবিষ্যতের অমিত সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। আমাদের সমুদ্রে বিচরণ করে ৪৭৫ প্রজাতির মাছ, ৩৬ প্রজাতির চিংড়ি মাছ, ২০ প্রজাতির কাঁকড়া, আরো রয়েছে ৩৩৬ প্রজাতির শামুক ও ঝিনুক, এ ছাড়া স্তন্যপায়ী প্রাণী, ডলফিন, তিমির সম্পর্কে আমরা জানি। মৎস্য সম্পদের পাশাপাশি সামুদ্রিক প্রাণী, আগাছা, লতাগুল্মতে পরিপূর্ণ আমাদের বঙ্গোপসাগর। এসব আগাছা ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। স্পিরুলিনা নামক আগাছা বিভিন্ন দেশের মানুষ খাদ্য হিসেবে খেয়ে থাকেন। বিশেষ করে চীন, জাপান, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মানুষের কাছে স্পিরুলিনা জনপ্রিয় খাদ্য।

দেশের চাহিদা পূরণ করে সামুদ্রিক খাদ্যপণ্য বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করার সুযোগ আমাদের রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে পাওয়া যায় সামুদ্রিক শৈবাল। মানুষ খাদ্য হিসেবে এটাকে গ্রহণ করছে। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই শৈবালের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। শুধু মানব খাদ্য নয়, ওষুধ, সার, রাসায়নিক পণ্য, জ্বালানি, প্রসাধনী ও কাগজ তৈরির কাঁচামাল হিসেবেও ব্যবহার করা হয় সামুদ্রিক শৈবাল। এছাড়া মাঠের পর মাঠজুড়ে কালো পলিথিনে সমুদ্রের লোনা পানি শুকিয়ে উৎপাদন করা হয় লবণ। বঙ্গোপসাগরে যেসব মূল্যবান ভারী খনিজের সন্ধান পাওয়ার খবর জানা গেছে তার মধ্যে রয়েছে ইলমেনাইট, টাইটেনিয়াম অক্সাইড, রুটাইল, জিরকন, ম্যাগনেটাইট, কোবাল্ট। এসব মূল্যবান সম্পদ যদি সঠিকভাবে উত্তোলন করা সম্ভব হয় তাহলে বাংলাদেশ প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারবে।

বস্নু-ইকোনমিতে আমরা যেন উলেস্নখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হই; সেদিকে আমাদের সবাইকে আন্তরিকভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। সমুদ্রসম্পদ রক্ষার্থে সবার একযোগে কাজ করা প্রয়োজন। বর্তমানের সামান্য লাভের লোভ যেন আমাদের ভবিষ্যতের বৃহৎ সম্ভাবনাকে নষ্ট না করে দেয় সেদিকে খেয়াল দেয়া জরুরি। আমরা যদি সমুদ্র সম্পদকে যথাযথভাবে কাজে লাগতে পারি তাহলে বিশ্বে আমরা আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে নিজের পরিচিত করতে পারব পুরোপুরিভাবে। আমাদের প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা ও দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। এই অবস্থা থেকে যদি আমরা বেরিয়ে আসতে পারি তাহলে আমরা সামুদ্রিক সম্পদকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারব। অনেক আগে থেকেই আন্তর্জাতিক সমুদ্রসম্পদ গবেষকরা বঙ্গোপসাগরকে প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদের খনি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। বাংলাদেশের যেমন সমুদ্রসম্পদ রয়েছে- তেমনি রয়েছে এই সম্পদ কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও উপাদানের অভাব। সে কারণে অন্য দেশের সাহায্যের ওপর নির্ভর করতে হয়। এই নির্ভরতার হাত ধরে উন্নতির দিকে এগিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশে রয়েছে পৃথিবীর সব থেকে বড় সমুদ্রসৈকত। যার দৈর্ঘ্য ১২০ কিলোমিটার। বাংলাদেশের কক্সবাজারে রয়েছে সৌন্দর্যস্নাত সমুদ্রসৈকত। প্রতিদিন এ দর্শনীয় সৈকতে ভিড় করে অগণিত মানুষ। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয় কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। আমরা ভালোবেসে সমুদ্রের কাছে যাই। দু'চোখ মেলে তার শোভা দেখি। অথচ সমুদ্রকে দূষণমুক্ত করার ব্যাপারে খুব বেশি চেষ্টা করি না।

প্রতিনিয়ত আমাদের সমুদ্র দূষণে আক্রান্ত হচ্ছে। সমুদ্রকে দূষণমুক্ত করার জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

সাগর জামান : প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে