মানব রক্ষার ঢাল সুন্দরবন ও প্রাসঙ্গিক কথা

আমাদের এমনভাবে সম্পদ ব্যবহার করতে হবে যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমরা একটি সুন্দর পৃথিবী উপহার দিয়ে যেতে পারি। সুন্দরবন শুধু আমাদের দেশের সম্পদ নয়, এটি বিশ্বের সবার জন্য সম্পদ। তাই এ বনকে রক্ষায় আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

প্রকাশ | ০৩ জুন ২০২৪, ০০:০০

রূপম চক্রবর্ত্তী
বেশ কিছু মৃত হরিণের ছবি দেখে আমার মনটা বেশ দুর্বল হয়ে গেছে। ২৬ ও ২৭ মে রেমালের থাবায় লন্ডভন্ড হয়েছে সুন্দরবন। এই সুন্দরবন বিভিন্ন সময় মানব রক্ষার ঢাল হিসেবে কাজ করেছে। এবারে রেমালের ভয়াবহতা কতদিনে সুন্দরবন কাটিয়ে উঠবে তা ঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে প্রায় ৩০ ঘণ্টা ধরে জোয়ার-জলোচ্ছ্বাসের পানিতে নিমজ্জিত ও ঝড়ে বিধ্বস্ত সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে মিলেছে বেশ কিছু বন্যপ্রাণীর মৃতদেহ। ঝড়ের পর ২ দিনে মোট ৩৯টি হরিণ এবং ১টি শূকরের মৃতদেহ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে বন বিভাগ। বনকর্মী, জেলে বাওয়ালি ও বন্যপ্রাণীদের জন্য সুপেয় পানির যে আঁধার ছিল সেগুলো পস্নাবিত হয়ে লবণ পানি ঢুকে গেছে। ওয়ারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেম অনেক জায়গায় নষ্ট হয়ে গেছে বলে মিডিয়া থেকে জানা গেছে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মানে বন্যপ্রাণীদের জন্য কষ্টকর এক সময়। জলোচ্ছ্বাস এবং ঘূর্ণিঝড়ের পাশাপাশি পশু শিকারি এবং কিছু লোভী মানুষের কাছে প্রতি বছর বেশ কিছু বন্যপ্রাণী হত্যার শিকার হয়। ২০২৩ সালে সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক সংবাদে দেখেছিলাম মাছ ধরা ও গোলপাতা সংগ্রহের পাস নিয়ে সুন্দরবনে ঢুকে বাঘ শিকার করত একটি চক্র। ছাগলের মাংসে কীটনাশক ব্যবহার করে বাঘ হত্যা করে চামড়া সংগ্রহ করা হতো। সেই চামড়া দেশে ও দেশের বাইরের শৌখিন মানুষের কাছে কোটি টাকা দামে বিক্রি করতেন চক্রের সদস্যরা। এই পরিপ্রেক্ষিতে এক সংবাদ সম্মেলনের্ যাব-৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোস্তাক আহমেদ জানান, ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর সুন্দরবনকে দসু্যমুক্ত ঘোষণা করার পর সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ফিরে আসায় হরিণ, বাঘসহ অন্য বন্যপ্রাণীর সংখ্যা বেড়েছে। এই সুযোগে কিছু দুষ্কৃতকারী বন্যপ্রাণী শিকারসহ এদের চামড়া ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিভিন্ন মাধ্যমে দেশ-বিদেশে পাচার করছে। \হশিকারিদের মনমানসিকতা পরিবর্তন না হলে বন্যপ্রাণী শিকার বন্ধ করা কঠিন হবে। ব্যাপক প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে শিকারিদের মানসিকতা পরিবর্তন হয় কিনা দেখতে হবে। শিকারিদের যে সব গডফাদার রয়েছে তাদেরও চিহ্নিত করতে হবে। শিকারিদের মধ্যে দেখা যাবে কেউ কেউ রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় চলে। যে সব শিকারি জেলের বেশ ধারণ করে সুন্দরবনে প্রবেশ করে পশু হত্যায় মেতে ওঠে তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বনজ সম্পদ রক্ষা করতে হলে এখনই এদের চিহ্নিত করে দমন করতে হবে। সুন্দরবন সুরক্ষায় গঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পিপলস ফোরামের সাধারণ সভায় খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এ জেড এম হাসানুর রহমান বলেছিলেন 'সুন্দরবন আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ। এটাকে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রত্যেক সচেতন নাগরিকের রাষ্ট্রের স্বার্থে বন বিভাগকে তথ্য দিয়ে বনের প্রাণিকুল রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। সুন্দরবনের চোরা শিকারিদের ধরিয়ে দিতে প্রথমে আপনারা সংশ্লিষ্ট ফরেস্ট স্টেশনে যোগাযোগ করবেন। তথ্যদাতার পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রাখা হবে।' সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীদের জন্য পর্যাপ্ত উঁচু টিলা ও শেল্টার রাখা জরুরি। তাহলে এ ধরনের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব। মিঠাপানির পুকুরের পাড় অনেক উঁচু করতে হবে যাতে বন্যার পানি সেখানে প্রবেশ করতে না পারে। সুন্দরবন আমাদের যা দিয়েছে আমরা কি সুন্দরবনকে তা দিতে পেরেছি? পারিনি বরং প্রতিনিয়ত এই বনকে ক্ষতবিক্ষত করেছি। আমার বুদ্ধি থেকেই দেখে আসছি, সুন্দরবনের ওপর দিয়ে বারবার ঝড়ঝাপটা বয়ে যাচ্ছে। সচেতনতার অভাবে এই বিশ্বঐতিহ্য ক্রমেই হুমকির মুখে পড়ছে। সুন্দরবন দিবস পালনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আর্থসামাজিক অবস্থাও সুন্দরবনের ওপর কমবেশি সম্পৃক্ত এবং পরিবেশগত দিক দিয়ে পুরোপুরি নির্ভরশীল। এ অঞ্চলের মানুষের জীবন প্রবাহের সঙ্গে সুন্দরবন আবর্তিত আবহমানকাল থেকেই। এ অর্থে সুন্দরবনের ভালো-মন্দ, দুঃখ-বেদনা এ অঞ্চলের মানুষকে নাড়া দেয় প্রচন্ডভাবে। এ অঞ্চলের অধিবাসীদের সঙ্গে সুন্দরবনের রয়েছে আত্মিক সম্পর্ক। সুন্দরবন পরম মাতৃস্নেহে আমাদের আগলে রেখেছিল বলেই আমরা খুবই কম ধ্বংসের শিকার হয়েছি। এ প্রমাণ শুধুই এবারের নয় এটা শতাব্দী থেকে শতাব্দী পর্যন্ত একই ধারায় চলে আসছে। আমরা সুন্দরবনের অনেক ক্ষতি করলেও সুন্দরবন সব সময় শুধুই দিয়েই গেছে বিনিময়ে সে পায়নি কিছুই। একটু অতীতের দিকে যদি ফিরে যাই, তাহলে বেশ কিছু চিত্র আমাদের চোখের সামনে চলে আসবে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ১৯৬০ সালের পরে সংঘটিত ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে আম্ফান সবচেয়ে দীর্ঘ সময় এবং বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে তান্ডব চালিয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘসময় এবং বিস্তীর্ণ এলাকা ধরে চলা এই ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতির পরিমাণ ও হতাহতের সংখ্যায় ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়, ২০০৭ সালের সিডর কিংবা ২০০৯-এর আইলার চেয়েও কম হওয়ার অন্যতম কারণ সুন্দরবন। ১৫১ কিলোমিটার গতিতে আম্ফান বাংলাদেশের সাতক্ষীরায় আঘাত হানে, তবে এর আগেই সুন্দরবন ঝড়ের গতিবেগ অনেকটাই কমিয়ে দেয়। ঘূর্ণিঝড়টির সঙ্গে আসা জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা ১৫ থেকে ১৮ ফুট হওয়ার আশঙ্কা করা হলেও সুন্দরবনের কারণে উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় ১০ থেকে ১২ ফুটে নেমে আসে। ফলশ্রম্নতিতে উপকূলের মানুষের জীবন ও সম্পদের ক্ষতি কম হয়। লন্ডনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ম্যাপলক্রাফট কয়েক বছর আগে বিশ্বের ১৭০টি দেশের ওপর জরিপ চালিয়ে যে ১৬টি দেশকে সর্বাপেক্ষা ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে, তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। বলার অপেক্ষা রাখে না, চির ঝড়ঝঞ্ঝার দেশ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশে জলবায়ুর পরিবর্তন নতুন এক প্রাকৃতিক বিপর্যয় হিসেবে দেখা দিয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং জলবায়ুর বিরূপ পরিবর্তনজনিত কারণে ৭১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গোপসাগরীয় তটরেখার কিনারজুড়ে প্রতিনিয়ত পানি ফুলে-ফেঁপে স্ফীত হচ্ছে। এর ফলে, দেশের ১৯টি জেলা তথা মোট আয়তনের শতকরা ৩২ ভাগ এলাকা ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়েছে। এ এলাকার ৪ কোটি মানুষের জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কার মধ্যে রয়েছে। প্রতিনিয়ত ভূমির পরিবর্তন ঘটছে। উপকূল, চর, দীপাঞ্চলের ভূমি তলিয়ে বা হারিয়ে যাচ্ছে। বাস্তভিটা হারিয়ে উপকূলের মানুষ জলবায়ু উদ্বাস্তুতে পরিণত হচ্ছে। কাজের সন্ধানে লাখ লাখ মানুষ শহরমুখী হচ্ছে। এর প্রতিক্রিয়া সামাজিক ভারসাম্য ও শৃঙ্খলার জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। প্রকৃতির অপার ও অমূল্য এই দান রক্ষায় আমাদের এক ধরনের শৈথিল্য রয়েছে। সুন্দরবনকে যেন অনেকটা অরক্ষিত অবস্থায় রেখে দেওয়া হয়েছে। প্রকৃতি দিয়েছে প্রকৃতিই একে রক্ষা করবে, এমন একটা ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই প্রকৃতিই যে পরিবর্তন হয়ে সুন্দরবনকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে, তা অনেকে উপলব্ধি করতে পারছেন না। ২০০৭ সালে ইউনেস্কো বলেছে, প্রতি বছর সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ৪৫ সেন্টিমিটার করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ হারে বৃদ্ধি পেলে এ শতাব্দীর শেষ দিকে সুন্দরবনের শতকরা ৭৫ ভাগ ম্যানগ্রোভ ধ্বংস হয়ে যাবে। শুধু প্রকৃতির এই পরিবর্তনের প্রভাবে নয়, মনুষ্যসৃষ্ট কর্মকান্ডও সুন্দরবনকে ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাটে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা চিংড়ি হ্যাচারিগুলো সুন্দরবনের পরিবেশ-প্রতিবেশ এবং জীববৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠেছে। পরিবেশ দূষণকারী প্রকল্প স্থাপনও সুন্দরবনের অস্তিত্ব সংকটের কারণ হয়ে উঠেছে। সুন্দরবন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনীতিতেও যেমন, ঠিক তেমনি জাতীয় অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দেশের মোট বনজসম্পদের একক বৃহত্তম উৎস সুন্দরবন। কাঠের ওপর নির্ভরশীল শিল্পের কাঁচামালের এক বিশাল অংশ জোগান দিয়ে আসছে সুন্দরবন। বহু মানুষ সুন্দরবনকেন্দ্রিক জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, নানা অজুহাতে নির্বিচারে গাছ কেটে উজাড় করা হচ্ছে বনটি। সম্প্রতি আইপিসিসিএর এক প্রাক্কলনে দেখানো হয়েছে যে, ২০৫০ সালে বাংলাদেশ তার ভূমির ১৭ শতাংশ এবং খাদ্য উৎপাদনের ৩০ শতাংশ হারাবে। এর ফলে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাসমূহ এবং এসব জেলায় বসবাসরত জনগোষ্ঠী। কাঠ আহরণ, মধু আহরণ, গোলপাতা সংগ্রহ, মাছ ধরার জন্য মানুষজন বনে প্রবেশ করছে। ফলে মানুষ ও বাঘের মধ্যে সংঘর্ষ বাড়ছে আর বাঘও মারা পড়ছে। এছাড়া প্রচুর হরিণ শিকার ও অন্য বন্যপ্রাণী হত্যার কারণে বাঘের খাবারের অভাব দেখা দিচ্ছে। ফলে খাবারের অভাবে অনেক সময় বাঘ সুন্দরবনের গ্রামগুলোতে প্রবেশ করে গৃহপালিত পশুদের ওপর হামলা করছে। ইকো টু্যরিজমের নামে সুন্দরবনের ভেতরে অবাধ বিচরণ নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় শত বছরের পুরনো বন ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন করে একটি সমন্বিত বন ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার আহ্বানও জানিয়েছেন তারা। জীববৈচিত্র্য আর অনিন্দ্য সৌন্দর্যে আধার প্রকৃতি সৃষ্ট ম্যানগ্রোভ বনভূমি সুন্দরবন। দুই দেশ মিলে ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটারের এই বনভূমির ৬ হাজার বর্গ কিলোমিটার বাংলাদেশ এবং বাকি ৪ হাজার কিলোমিটার ভারতে। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং মানুষের বৈরী আচরণে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে। আমাদের সম্পদ সীমিত। তাই আমাদের সম্পদ ব্যবহারেও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। আমাদের মনে রাখতে হবে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধনের জন্য আমরা পরিবেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে পারি না। আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে অপ্রয়োজনীয়ভাবে বিদু্যৎ খরচ হয়। এ বিশ্ব কেবল আমাদের নয়, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মেরও। আমাদের এমনভাবে সম্পদ ব্যবহার করতে হবে যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমরা একটি সুন্দর পৃথিবী উপহার দিয়ে যেতে পারি। সুন্দরবন শুধু আমাদের দেশের সম্পদ নয়, এটি বিশ্বের সবার জন্য সম্পদ। তাই এ বনকে রক্ষায় আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সুন্দরবনের একটি নিজস্বতা রয়েছে। সুন্দরবনে বিশেষ প্রজাতির মৌমাছি এবং প্রজাপতি রয়েছে- যা সুন্দরীসহ অন্যান্য গাছের পরাগায়নে সহায়তা করে। এ সব গাছ বনের প্রাণীদের ঔষধি হিসেবে কাজ করে। কোনো কোনো লেখক লিখেছেন বনের ভেতর অনেক জায়গা অবৈধভাবে দখল হয়ে যাচ্ছে- যা আমাদের জন্য একটি সতর্কবাণী। অর্থাৎ আমাদের সুন্দরবন রক্ষায় আমাদের সবাইকে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। সাধারণ জনগণকে এ সব উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা, তাদের সচেতন করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কারণ তারা যেহেতু সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে তাদের এক্ষেত্রে সম্পৃক্ত করলে সুফল পাওয়া যাবে। সুন্দরবন রক্ষার ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি আমাদের আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন। রূপম চক্রবর্ত্তী :প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট