শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১

পাঠক মত

  ০১ জুন ২০২৪, ০০:০০
পাঠক মত

নদী বাঁচাতে হবে

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এ দেশের গৌরবগাঁথা ইতিহাস, প্রাচীন সভ্যতা, ঐতিহ্য, রাজধানী প্রভৃতি এ দেশের নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল। মুঘল যুগের বাদশারা এ দেশের নদীর প্রবাহ দেখে মোহিত হয়েছিল। ব্যবসা, শিল্প, কারখানা ইত্যাদি কার্যক্রমের সিংহভাগ পরিচালিত হয় নদীকে কেন্দ্র করে। কিন্তু আমরা এগুলো রক্ষায় কোনো ভূমিকা রাখতে পেরেছি? আমরা নদীগুলো থেকে উপকৃত হই; বিনিময় এগুলোকে মৃতু্যর যন্ত্রণা ভোগ করাচ্ছি। আজ বাংলাদেশের অধিকাংশ নদী বিলীন হওয়ার পথে। এদের রক্ষায় শুধু কাগজ-কলমে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও কার্যকরী ভূমিকা নেওয়া হচ্ছে না। নদী ভরাট, কলকারখানার দূষিত তরল বর্জ্য, বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ ইত্যাদি কারণে এগুলো হুমকির মুখে পড়ছে। এর প্রভাব স্বরূপ দেশের অর্থনীতি খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতা, যা আমরা বর্তমানে এর বিরূপ প্রভাব ভোগ করছি। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, জাতি ও পরিবেশ বাঁচাতে নদী রক্ষার বিকল্প নেই। এই সমস্যার নেপথ্যে অন্যতম কারণ হলো সুপরিকল্পনার অভাব ও মনুষ্য-সৃষ্ট অবৈধ কর্মকান্ড। নদী বিপর্যয়ের নেতিবাচক করুণ প্রভাব থেকে ভবিষ্যৎ মানবজীবন ও পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। অতত্রব, এই সমস্যা সমাধান করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

আবু বকর

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

আমরা কীসে ভয় করি?

মানুষ সবসময় আপাদমস্তক ভেবেই জীবনে চলতে ভালোবাসে। তা যে যার বয়সের সীমায় চিন্তায় জীবন-যাপন করে। দুরদর্শী চিন্তা করতে পারে এমন বুদ্ধিদীপ্ত রণকৌশলী মানুষ খুব কম জন্মায় তাও নয়। পৃথিবী চৌকস মানুষ দ্বারা এগিয়ে যায়। আর কিছু বোকাসোকা লোকের দ্বারা পৃথিবী পরিবারের অবনয়ন ঘটে। এই পরিস্থিতিতে হাল ধরার লোক তাই খুবই প্রয়োজন। আমরা সামাজিক জীব। যদিও আমরাই সমাজ তৈরি করি এবং সাজাই। কিন্তু এরপর শুরু হয় সমাজের বিরাজমান নানা চিন্তার মানুষদের নিয়ে গবেষণা কে কী ভাববে তার ভয় আর আশংকা। আপনি দেখবেন সমাজকে ঢালি ঢালি দিয়ে যদি সম্মান করা যায় তাহলে আপনি ভালো ও উদার মনের সৎ মানুষ। কিন্তু যে কাজটি ঘটে গেছে যেকোনো ভাবে তার কঠিন সত্যটা দাঁড় করাতে গেলে শুরু হয় তার নামে নানা বদনাম ও সমাজ থেকে বিতাড়িত করার নানা অপকৌশলের আশ্রয়। সেই মানুষটি তখন কোথাও ঠাঁই না পেয়ে অবসাদে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে আমরা বেগ পাই অচেনা অজানা পথে হাঁটছি বলে। অথচ এটা বুঝি না মায়ের গর্ভ থেকে আসার পর এ পৃথিবীর সবকিছুই আমাদের অচেনা অজানা ছিল। আমরা দৃঢ় অবস্থান জানান দিয়ে পরতে পরতে সব শিখছি এবং জানছি। একে অপরের আপন হচ্ছি। দেশ বিদেশ বলতে যা বুঝি সবই একটি পৃথিবীর বিভিন্ন ভূখন্ড মাত্র। আমরা মহাবিশ্বের দুর্গ প্রাচীরে এক ও অভিন্ন। আমরা কেন এত ভয় পাই সামনে এগুতে? তার কারণ হলো মানুষের ভিতর মানবতা, বিনয়ী কোমল হৃদয় আজ অনেকটা ফিকে হয়ে গেছে। মানুষই হত্যা করছে মানুষকে অবলীলায়। অহমিকা, ক্ষমতার দাপট দেখিয়েই চলেছি আমরা। অথচ একদিন মৃতু্যতে সব ছেড়ে চিরতরে চলে যাব। মানুষকে মায়া ও ভালোবাসা দিয়ে পাশে থাকাই বর্তমান বিশ্বে শান্তির অনন্য উপায়। সেবাই পরম ব্রত হওয়া উচিত। মানুষের সাথে প্রকৃতির নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠলে নিশ্চিত হানাহানি অরাজকতা বন্ধ হবে। সম্পর্ক এগিয়ে যাবে তখন শান্তির বার্তা হয়ে। দূর থেকে কাছের হয়ে আপন আলোয় আলোকিত করবে পরিবার, সমাজ তথা গঠিত হবে একটি উন্নত জাতির শান্তির পৃথিবী।

পারভীন আকতার

চট্টগ্রাম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে