বেড়েছে পোশাক রপ্তানি উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে

প্রকাশ | ৩০ মে ২০২৪, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আশির দশকের গোড়ার দিকে দেশে পোশাক শিল্পের উত্থান শুরু। আর নব্বইয়ের দশকের শুরুতেই পাট ও পাটজাত পণ্যকে হটিয়ে তৈরি পোশাক দেশের শীর্ষ রপ্তানি খাত হিসেবে আবির্ভূত হয়। এই ধারাবাহিকতা এখন বেশ উজ্জ্বল। এই সময়ে প্রধান নতুন বাজারগুলোর মধ্যে জাপানে পোশাক রপ্তানি ৬.১৪ শতাংশ বেড়ে ১.৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। আর অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ায় পোশাক রপ্তানি বেড়েছে যথাক্রমে ১৭.১৮ শতাংশ ও ১৪.৭৩ শতাংশ। অন্যদিকে, মধ্যপ্রাচ্যের বাজারেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির উলেস্নখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে। সৌদি আরবে পোশাক রপ্তানি ৫৮ শতাংশ বেড়েছে। আর তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে যথাক্রমে ৫৪ শতাংশ ও ৪১.৯৬ শতাংশ। রপ্তানি উন্নয়ন বু্যরোর (ইপিবি) তথ্য অনুসারে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে বৈশ্বিক বাজারে সামগ্রিক রপ্তানি হয়েছে ৪০.৪৯ বিলিয়ন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩৮.৫৮ বিলিয়ন ডলার। সরকারি নীতিসহায়তা, বিশেষ করে নগদ প্রণোদনার সুবাদে ২০০৯ সাল থেকে নতুন বাজারে এ শিল্পের রপ্তানি বাড়ছে। ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডার মতো ঐতিহ্যবাহী বাজারগুলোতে মন্দার মতো কঠিন সময়ে প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে নতুন বাজারে এই রপ্তানি শিল্পকে দারুণ সহায়তা করেছে। ইতোমধ্যে এই নতুন বাজারে দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে। এই সংবাদ আমাদের আশাবাদী করে। এটা সত্য, চলমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক অর্থনীতি একটি সংকটময় মুহূর্ত অতিক্রম করছে। তবে সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি কমে আসায় এবং পোশাকের খুচরা বিক্রিতে কিছুটা গতি সঞ্চার হওয়ায় আমাদের রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ফিরে এসেছে। বিশেষ করে ইউরোপ ও আমেরিকায় রপ্তানি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। আশার বিষয় হচ্ছে, শিল্পে আমরা নতুন নতুন উদ্যোক্তাদের পদচারণা দেখতে পাচ্ছি। এটা সত্য, বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংকটে আমাদের অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। তবে একই সময় বেশ কিছু নতুন কারখানা ও নতুন বিনিয়োগ এসেছে। শত প্রতিকূলতার মধ্যে এটি নিঃসন্দেহে একটি বড় অনুপ্রেরণা। রপ্তানি খাতে মন্দাভাব কাটিয়ে ওঠার জন্য বরাবরই বাজার সম্প্রসারণ ও নতুন বাজার তৈরি ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। নতুন বাজারগুলোতে রপ্তানি উলেস্নখযোগ্যভাবে বেড়েছে- যা বিগত ১৪ বছরে ১০ গুণ বেড়েছে, অর্থাৎ ৮৪৯ মিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৮.৩৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। চলতি অর্থবছরে তুরস্কে ৬৩.৩৫ শতাংশ, সৌদি আরবে ৪৭.১৯ শতাংশ, চীনে ৪৪.৭৬ শতাংশ, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩৬.৫৪ শতাংশ, রাশিয়ায় ২৫.৬৫ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়ায় ২১.২৯ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৭.১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এসেছে। এটা নিঃসন্দেহে ভালো খবর। এই উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তৎপর ও মনোযোগী হতে হবে।