শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১

বৃষ্টি জলাবদ্ধতায় সীমাহীন দুর্ভোগ সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে

  ২৯ মে ২০২৪, ০০:০০
বৃষ্টি জলাবদ্ধতায় সীমাহীন দুর্ভোগ সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঢাকায় টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় সীমাহীন দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। একটানা চলা এই বৃষ্টি কখনো বেড়েছে, কখনো কিছুটা কমেছে। সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। ভোর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে বেশি ভোগান্তিতে পড়ে কর্মক্ষেত্রে যাওয়া ও খেটে খাওয়া মানুষ। সকালে কাজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বেরিয়ে অনেকেই রাস্তায় বাস পাননি। অটোরিকশা ও রিকশাচালকরা বৃষ্টির কারণে বাড়তি ভাড়া চেয়েছেন। কোনো কোনো এলাকায় জলাবদ্ধতার শঙ্কা থাকায় অটোরিকশার চালকরা যেতে রাজি হননি। অনেকে গণপরিবহণের অপেক্ষায় থেকে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় ভিজে গেছেন। এছাড়া দুই সিটির অনেক এলাকার চলমান বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। রেমালের প্রভাবে হওয়া বৃষ্টিতে রাজধানীর অনেক এলাকায় পানি জমে জলজট ও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, ধানমন্ডি ২৭ নম্বর, গ্রিন রোড, নিউমার্কেট, মিরপুরের কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে মিরপুর-১৪ নম্বর যাওয়ার রাস্তাসহ পুরান ঢাকার বেশ কিছু নিচু এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া বৃষ্টিতে নিউমার্কেট, কারওয়ানবাজার এলাকার আশপাশসহ রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এ সময় এসব সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া কয়েকটি এলাকায় গাছও ভেঙে পড়েছে। মিরপুর পাইকপাড়া এলাকায় সরকারি ডি-টাইপ কোয়ার্টার এলাকায় বড় আকারের একটি কৃষ্ণচূড়াগাছ ঝড়ে ভেঙে গেছে। এ সময় ওই এলাকার চলাচলের সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে।

অতি বৃষ্টির কারণে জমে থাকা অস্বাভাবিক পানি নিষ্কাশনের কার্যকর উদ্যোগ নগরীতে দেখা যাচ্ছে না। পুরো নগরীজুড়ে সব নালাসমূহ আবর্জনার ভাগাড়। বাসাবাড়ির আবর্জনা ও রাস্তার ময়লায় নালা পানি নিষ্কাশনের সক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। বাজারের ময়লা নালা আর রাস্তায় ফেলছে। সিটি করপোরেশনকে নগর ও জনবান্ধব হতে হবে। তাদের দৈনন্দিন জীবন জীবিকার খোঁজখবর রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে ঢাকার জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিনের। বর্ষা মৌসুম এলেই নগরবাসীকে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। শহরের অন্যতম একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে জলাবদ্ধতা। সামান্যতম বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় রাস্তাঘাটসহ অনেক এলাকা। যার ফলে, রাস্তায় মানুষ এবং যানবাহন চলাচলে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। শহরে পর্যাপ্ত ড্রেনেজ নির্মাণ করতে হবে। যাতে করে বৃষ্টির পানি সহজেই নদীতে চলে যেতে পারে সেদিকে আমাদের নজর রাখতে হবে। নগরের খাল, ড্রেন, বক্সকালভার্ট ও ব্রিক সুয়ারেজ লাইনগুলোকে পরিষ্কার এবং পানি চলাচলের উপযুক্ত রাখতে হবে। শহরের ভেতরে ও আশপাশের সব নালা, খাল ও নদীগুলোকে সংরক্ষণ করতে হবে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সরকারকে এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

শুধু সরকার বা সিটি করপোরেশন জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে এটি ভেবে বসে থাকলে এর ফল হবে অত্যন্ত ভয়াবহ। কারণ আমরা অনেকেই বর্জ্যসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ড্রেনে ফেলে দিই ফলে তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। তাই সরকারের পাশাপাশি নিজে সতর্ক হতে হবে এবং অন্যকেও এই বিষয়ে সতর্ক করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে