'আকাশ ভেঙে বৃষ্টি পড়ে, ঝড় এলো রে আজ। মেঘের ডাকে ডাক মেলিয়ে বাজরে মৃদম বাজ।'
প্রচন্ড গরমে সামান্য বৃষ্টি মানুষের মনে স্বস্তি নিয়ে আসে, কিন্তু রাজধানীর বুকে বয়ে নিয়ে আসে চরম দুর্ভোগ। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তা জলাশয়ে পরিণত হয়। এতে বৈদু্যতিক তার ছিঁড়ে অনেকেই মৃতু্যবরণ করেছে আমরা দেখতে পাই। আর দিনদিন এই দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। যেখানে-সেখানে ময়লা ফেললে, সে ময়লাগুলো বৃষ্টির পানিতে নর্দমার মুখে আটকে যায়। ফলে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ভিশন-৪১ অনুযায়ী, স্মার্ট নাগরিক হতে হলে যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে। তাহলে সহজেই বৃষ্টির পানি নর্দমায় নেমে যেতে পারবে। এদিকে রাজধানীর প্রত্যেক সড়কের পাশে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকলেও নেই তার সঠিক ব্যবহার। মানব ইতিহাসে সভ্যতার সূচনালগ্নে নগরগুলোর বাসগৃহের পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা ছিল খুবই উন্নত। পোড়ামাটির ইটের তৈরি নালা ছিল, এই নালা দিয়ে রাস্তাঘাটের পানি নির্গত হয়ে পয়ঃপ্রণালীতে পড়ত। রাস্তার পাশে গর্ত করে নর্দমা তৈরি করা হতো। পানির দ্বারা বাহিরের আর্বজনা আটকানো যায়, সে জন্য নালার পানি প্রবেশের পথে বিশেষ এক ধরনের ছাকনির ব্যবস্থা ছিল। ফলে সহজেই পানি নর্দমায় নেমে যেত। কিন্তু ৩০০০ বছর পর আধুনিক সভ্যতায় এসেও রাজধানী ঢাকাতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা এখনো অনুন্নত। অথচ বাংলাদেশ সরকার প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করছে এই খাতে, নেই এর কোনো তদারকি ব্যবস্থা। সিটি করপোরেশন যদি প্রত্যেক গলির ৫০০ মিটার পরপর ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করত এবং কঠোর আইন জারীর মাধ্যমে নাগরিক সচেতনতা গড়ে তুলতো, তাহলে প্রচন্ড গরমে সামান্য বৃষ্টিতে নগরকে জলাবদ্ধমুক্ত করা সম্ভব হতো। এতে শহরের মানুষ স্বস্তি ফিরে পেত। তাই কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, রাজধানীর জলবদ্ধতা দূর করতে অতিসত্তর ব্যবস্থা নিন।