কাঁচামরিচের কেজি ২০০ টাকা

বাজার নিয়ন্ত্রণ করুন

প্রকাশ | ২৬ মে ২০২৪, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
এবার কাঁচামরিচের বাজারে আগুন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ টাকা থেকে ৮০ টাকা বেড়ে কাঁচামরিচের দাম দাঁড়িয়েছে ২০০ টাকা। কোথাও কোথাও আবার ২২০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। বাজারে কাঁচামরিচের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে বলে দাবি করছেন বিক্রেতারা। ২০২৩ সালের ঠিক এই সময়ে ঈদুল অজহার আগে কাঁচামরিচের দাম বেড়ে ৭০০ টাকায় ঠেকেছিল- যা ছিল নজিরবিহীন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই সময়ে দেশে কাঁচামরিচের কিছুটা ঘাটতি থাকে, সে কারণে দাম বেড়ে যায়। তখন আমদানি করে কাঁচামরিচের ঘাটতি মেটানো হয়। মরিচের দাম বৃদ্ধিতে কিছুদিনের বৃষ্টি এবং তীব্র গরমকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলেছেন, দেশের মরিচ গাছগুলো বৃষ্টি হলেই পচে যায়। এছাড়া কিছুদিনের তীব্র গরমে মরিচ গাছগুলো আগেভাগেই নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে মরিচের মৌসুম শেষ হয়ে আসায় গাছগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে বাজারে কাঁচামরিচের সরবরাহ আগের তুলনায় কম হচ্ছে, ফলে দাম বেড়েছে। কেবল কাঁচামরিচ নয়, পেঁপের দাম অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। অতীতে কখনো পেঁপের দাম এত বাড়েনি। বাড়তে বাড়তে তা এখন ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। হঠাৎ করে এ সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে পেঁপের সরবরাহ কমে গেছে, তাই দাম বেশি। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যাবে। চড়া দামের ফলে কমেছে বিক্রিও। মিলছে না সব দোকানেও। পেঁপের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন, মৌসুমের শুরু হওয়ায় পেঁপে এখনো পরিপক্ব হয়নি, ফলে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। কাঁচামরিচ পেঁপেই কেবল চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে না। ডিমের হালি হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়েছে। পাড়া-মহলস্নার দোকানেও ৫০ টাকা হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে। আসলে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কবলে পড়েছে দেশ। জিম্মি হয়ে পড়েছে দেশের জনগণ। গত অর্থবছরের পুরো সময়ে ৯ শতাংশের ওপরে ছিল বাংলাদেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি। চলতি অর্থবছরের এপ্রিল মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি আবার ১০ শতাংশের ওপরে উঠল। বাজারে চাল, ডাল, মাছ, মুরগি ও শাকসবজি সবকিছুর দামই চড়া। বিশ্ববাজারে পণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে অনেক দেশে মূল্যস্ফীতি ঘটে। আবার আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক ও মূল্য হ্রাসের কারণে অনেক দেশে পর্যায়ক্রমে নেমে আসে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি উল্টো আরও বাড়তে থাকে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির ওই ধারা অব্যাহত আছে এখনো। বিশ্বের অন্যান্য দেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসা শুরু হলেও ভিন্ন চিত্র কেন বাংলাদেশের। আমরা মনে করি, এর জন্য দায়ী বাজার ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরাতে না পারা এবং বাজার সিন্ডিকেট। বাজার সিন্ডিকেট একেক সময় একেক পণ্যের দাম বাড়িয়ে জনসাধারণের পকেট কাটে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে হলে দ্রম্নত বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বন্ধ করতে হবে বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য।