পেঁপের কেজি ৮০ টাকা বাজার নিয়ন্ত্রণ করুন

প্রকাশ | ২১ মে ২০২৪, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী বাজারে পেঁপের দাম অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। অতীতে কখনো পেঁপের দাম এত বাড়েনি। বাড়তে বাড়তে তা এখন ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। হঠাৎ করে এ সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে পেঁপের সরবরাহ কমে গেছে, তাই দাম বেশি। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যাবে। চড়া দামের ফলে কমেছে বিক্রিও। মিলছে না সব দোকানেও। পেঁপের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন, মৌসুমের শুরু হওয়ায় পেঁপে এখনো পরিপক্ব হয়নি, ফলে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। আড়তে আসা বেশিরভাগ পেঁপেই ছোট, যা পরিপক্ব নয়। পেঁপে দৈনিক প্রয়োজনীয় সবজির মধ্যে একটি। কিন্তু এর দাম যদি এভাবে বেড়ে যায় তাহলে তার প্রতিকার কী? মাছ-মাংস তো এখন দামি জিনিস হয়ে গেছে, সেখানে এগুলোরও যদি দাম বাড়ে, তাহলে দেশের সাধারণ মানুষ কী খাব। অবাক ব্যাপার যে, প্রায় সময়ই কোনো না কোনো সবজির দাম বাড়তি থাকে। হয় মরিচ, না হয় পেঁয়াজ। এখন পেঁপে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। অথচ দেখার কেউ নেই। ডিম ও কাঁচামরিচের দামও অনেক বেশি বেড়েছে। কাঁচামরিচের কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। আর ডিমের হালি হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়েছে। পাড়া-মহলস্নার দোকানেও ৫৫ টাকা হালি ডিম বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ টাকা আর দুই সপ্তাহ আগে ৪০ টাকা। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি হালি ডিমের দাম ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। আসলে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কবলে পড়েছে দেশ। জিম্মি হয়ে পড়েছে দেশের জনগণ। গত অর্থবছরের পুরো সময়ে ৯ শতাংশের ওপরে ছিল বাংলাদেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি। চলতি অর্থবছরের এপ্রিল মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি আবার ১০ শতাংশের ওপরে উঠল। বাজারে চাল, ডাল, মুরগি ও শাকসবজি সবকিছুর দামই চড়া। এমন পরিস্থিতিতে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্তদের ভরসা ডিম। তবে এই পণ্যের দাম হঠাৎ করে অস্থির হয়ে যাওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করছেন অনেকে। ক্রেতারা বলেন, বাচ্চাকাচ্চাকে মাছ-মাংস খাওয়াতে পারি না বেশি দামের কারণে। এখন দামের কারণে ডিম কিনতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববাজারে পণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে অনেক দেশে মূল্যস্ফীতি ঘটে। আবার আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক ও মূল্য হ্রাসের কারণে অনেক দেশে পর্যায়ক্রমে নেমে আসে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি উল্টো আরও বাড়তে থাকে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির ওই ধারা অব্যাহত আছে এখনো। বিশ্বের অন্যান্য দেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসা শুরু হলেও ভিন্ন চিত্র কেন বাংলাদেশের। আমরা মনে করি, এর জন্য দায়ী বাজার ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরাতে না পারা এবং বাজার সিন্ডিকেট। বাজার সিন্ডিকেট একেক সময় একেক পণ্যের দাম বাড়িয়ে জনসাধারণের পকেট কাটে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে হলে দ্রম্নত বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বন্ধ করতে হবে বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য।