রোববার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১

বন্ধ হোক অনলাইন জুয়া

মো. সোহান হোসেন
  ১৯ মে ২০২৪, ০০:০০
বন্ধ হোক অনলাইন জুয়া

বর্তমান যুগ প্রযুক্তিনির্ভর যুগ। এই প্রযুক্তিনির্ভর জগৎ হওয়ার কারণে যুব সমাজের মধ্যে বাড়ছে অনলাইনের প্রতি আসক্তি। যার ফলে বাড়ছে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন গেমসের প্রতি আসক্তি। এমনই একটা অনলাইন নতুন গেম হচ্ছে অনলাইনে জুয়া। এই গেমে আসক্তি হয়ে যুবসমাজ রসাতলে ডুবে যাচ্ছে। তৈরি হচ্ছে নানা বিপত্তি। যখন একজন এ গেমের প্রতি দুই থেকে পাঁচ ঘণ্টা সময় ব্যয় করে তখন তার মধ্যে অন্য রকম অস্থিরতা কাজ করে। যা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আবার এই ক্যাসিনো গেম খেলার জন্য অনেকে আবার বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খলামূলক কর্মকান্ড করে থাকে। আবার অনেক সময় দেখা যায় এ গেমের ওপর বড়দেরও আসক্তি থাকে। যার ফলে মাসিক বেতনের বেশিরভাগ টাকায় অনেকে এই গেমের পেছনে ব্যয় করে থাকে। যার ফলে পরিবারে তৈরি হয় নানা ধরনের অশান্তি। পারিবারিক চাহিদা মেটাতে না পারায় তৈরি হচ্ছে বিশৃঙ্খলামূলক কর্মকান্ড যা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য লজ্জাজনক। মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, জুয়ার নেশা যখন জুয়াড়িদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং দৈনন্দিন জীবনে নিরানন্দের কারণ হয়ে ওঠে তখন তা গুরুতর সমস্যায় পরিণত হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জুয়া খেলতে খেলতে অনেক মানুষই নিজের জীবনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং এই আচরণের জন্যই তাদের গোটা জীবনটা সমস্যায় ভরে যায়। জীবনের সব গুরুত্বপূর্ণ কাজকর্ম ছেড়ে দিয়ে তারা শুধু জুয়া খেলার সুযোগ খোঁজে এবং জুয়ার মধ্যেই নিজেদের জীবনকে ডুবিয়ে রাখে। বাংলাদেশে ক্যাসিনো গেমসের মধ্যে বর্তমানে কয়েকটি গেম খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যেগুলোর মাধ্যমে অনেকেই অনেক টাকা আয় করছে। আবার অনেকেই সর্বত্র বিক্রি করে দিয়েছে এই গেমের পেছনে। একজন যুবক যখন দেখে অল্প সামান্য কিছু টাকা দিয়ে অধিক টাকা পায় তখন তার মধ্যে এক প্রকার ভালোলাগা কাজ করে। যেখান থেকে সৃষ্টি হয় এই গেমের প্রতি আসক্তি। কয়েকবার টাকা পাওয়ার পর বেড়ে যায় আরও আসক্তি। যার ফলে বেশি টাকা আয় করার জন্য অনেক সময় তার পুঁজি যা ছিল সবকিছু দিয়ে চেষ্টা করে। ফলে তাকে সবকিছু হারাতে হয়। তাই যুবসমাজ রক্ষার্থে বর্তমান বাংলাদেশের প্রশাসনের উচিত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাতে দেশ ও জাতি মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে। যুবসমাজকে কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক সব কাজ করা সম্ভব হয়। আর যদি এখনই বন্ধ করা না যায় তাহলে যুব সমাজকে নিজের চোখের সামনে ধ্বংস হতে দেখা যাবে।

মো. সোহান হোসেন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে