শিক্ষক সংকট দূর করতে প্রয়োজন নিয়োগ পদ্ধতির পরিবর্তন
আবার জাল সনদে কেউ কেউ চাকরি করছে, সরকারি বেতন ভাতা তুলছে, অথচ বৈধ নিবন্ধিত শিক্ষকরা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। এতে শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য তো পূরণ হচ্ছেই না, সৃষ্টি হচ্ছে শিক্ষার বৈরী পরিবেশ এবং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সৃষ্টি হচ্ছে বেকারত্ব, বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত চাকরি প্রত্যাশীরা।
প্রকাশ | ১৮ মে ২০২৪, ০০:০০
আমির আসহাব
যোগ্য শিক্ষক নিয়োগের উদ্দেশ্যে গঠিত বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) যোগ্যতার সনদ প্রদান করা সত্ত্বেও শিক্ষক নিয়োগ ক্ষমতা ছিল ম্যানেজিং কমিটির হাতে। ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করে, ২০১৫ সালে এনটিআরসিএ'কে নিয়োগ সুপারিশ অনুমতি দেয় মন্ত্রণালয়। পরের দিন থেকে এনটিআরসিএ নিয়োগ দেবে এমনটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এনটিআরসিএ'র সব শর্তে উত্তীর্ণ এক ঝাঁক অনার্স-মাস্টার্স করা তরুণ-তরুণী বারবার নিয়োগ বঞ্চিত এবং কেনই বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক সংকটে?
১৬তম ও ১৭তম ব্যাচে উত্তীর্ণদের নিয়ে নতুন করে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে এনটিআরসিএ। ১৬তম ব্যাচে উত্তীর্ণ সাড়ে ১৮ হাজারের বেশির ভাগ ইতোমধ্যে চতুর্থ সার্কেলে সুপারিশ প্রাপ্ত, ১৭তম সাড়ে ২৩ হাজার নতুন উত্তীর্ণ। তাহলে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে নিবন্ধিত নিয়োগ বঞ্চিত চাকরি প্রত্যাশী সর্বোচ্চ হবে ত্রিশ হাজার। অথচ শূন্যপদ প্রায় ৯৭ হাজার। সিদ্ধান্তগত ও সিস্টেমজনিত ত্রম্নটির কারণেই পদ ফাঁকা থাকবে প্রায় ৭০ হাজার। কেন, এই ৭০ হাজার পদ ফাঁকা রাখতে হচ্ছে এনটিআরসিএ'কে? এনটিআরসিএ'র সহজ উত্তর হয়তো- এমপিও নীতিমালা অনুসারে ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে এবং এনটিআরসিএ'র প্রদত্ত সনদের মেয়াদ তিন বছর হলে তারা আর স্বপ্নের পেশায় আবেদন করতে পারবেন না। এনটিআরসিএ'র হাত-পা বাঁধা। সমস্যাটির সমাধানের রাস্তা দুইটি- আইনি প্রক্রিয়া অথবা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। যারা ভুক্তভোগী তাদের অনেকেই আইনি প্রক্রিয়ায় নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছেন, আবার অনেকে পাননি। তাহলে কি দাঁড়ালো আইনি পদক্ষেপ নিয়েই শিক্ষক হতে হবে নাকি সবার জন্য বিজ্ঞানসম্মত একটি সহজ সমাধান দরকার? যদি এমন হয় যে, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত আসল না অথবা আইনি পদক্ষেপও কেউ নিল না। তাহলে এখন সূক্ষ্ণচিন্তার বিষয় প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তত্ম হচ্ছে কে বা কারা, আর লাভটা হচ্ছেই বা কার?
৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে শুধু আবেদন করতে পারছেন ১৬তম এবং ১৭তম নিবন্ধিত শিক্ষকরা। প্রথম দিকে ১৭তম সবার সুযোগ ছিল না। যাদের বয়স ৩৫ উর্ধ্ব এবং যোগ্যতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে একবারও শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের আবেদন করার সুযোগ পাননি, তাদের সুযোগের নির্দেশনা দিয়েছেন মাহামান্য সুপ্রিমকোর্ট। জানা গেছে, মূল পতিপাদ্য হচ্ছে, যখন তাদের নিয়োগের উদ্দেশ্যে উত্তীর্ণ করা হয়েছে, তখন তাদের বয়স ৩৫ উর্ধ্ব ছিল না। এনটিআরসিএ যথা সময়ে পরীক্ষার রেজাল্টও গণবিজ্ঞপ্তি দিতে না পারায় তাদের বয়স বেড়ে গেছে। অতএব, বিষয়টির সুন্দর একটা সমাধান হয়েছে বলে ভুক্তভোগী নিবন্ধিত শিক্ষকরা মনে করছেন। ঠিক একইভাবে ১-১৫তম যারা আছেন, তাদেরও ক্ষেত্রেও তো একই বিবেচনা প্রয়োগ করা উচিত। ১-১৫তম যারা ইতোমধ্যে এনটিআরসিএ'র সব শর্তে উত্তীর্ণ, তাদের ক্ষেত্রেও তো এন্ট্রিলেভেল বয়স বিবেচনা করাটাই স্বাভাবিক। এমপিও নীতিমালা-২০১৮ অনুসারে নির্দিষ্ট বয়স (৩৫ বছর)-এর আগে যারা নিবন্ধন সনদ অর্জন করেছে তাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সের বাধ্যবাধকতা কেন অবৈধ নয়, তা আইন বিশ্লেষণকারীরা সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। যদি আইনি বাধ্যবাধকতা থাকেও জাতীয় স্বার্থে তা পুনর্বিবেচনার এখনই সময়।
এছাড়াও ১২.০৬.২০১৮ তারিখের আগে যারা (১-১২তম) নিবন্ধন সনদ লাভ করেছে তাদের ক্ষেত্রে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ৩৯০০/২০১৯ রায় অনুযায়ী বয়সসীমা শিথিলযোগ্য। তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি উলেস্নখ করে এনটিআরসিএ আবেদন গ্রহণ করেন। এনটিআরসিএ'র করা রিভিউ খারিজ হয়েছে। সুতরাং আইনত ১-১২তমদের ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকার কথা না। এছাড়াও এমপিও নীতিমালা প্রবর্তন পরবর্তীদের জন্য আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলে তা পরবর্তীদের জন্য প্রযোজ্য হওয়াটাই স্বাভাবিক। ১-১২তমদের নিয়োগ সুপারিশ থেকে দূরে রেখে নতুন করে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে এনটিআরসিএ। ১৬তম ব্যাচে উত্তীর্ণ সাড়ে ১৮ হাজারের বেশিরভাগ চতুর্থ সার্কেলে সুপারিশ প্রাপ্ত, ১৭তম সাড়ে ২৩ হাজার নতুন উত্তীর্ণ। তাহলে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে নিবন্ধিত নিয়োগ বঞ্চিত চাকরি প্রত্যাশী সর্বোচ্চ হবে ত্রিশ হাজার। এভাবেই প্রতি গণবিজ্ঞপ্তিতে বিশাল নিয়োগের সংবাদ প্রচার হয়। এনটিআরিসিএ'র অনিয়ম সামনে আসে, কেউ কেউ আইনি ব্যবস্থা নেন। নিয়োগ প্রক্রিয়া স্টে হয়ে যায়, সুধী সমাজ পরামর্শ দেন-ভুক্তভোগীর পদটি সংরক্ষিত রেখে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হোক। এভাবেই চলছে। কেন স্থায়ী সমাধান আসে না, কেন বঞ্চিতদের কান্না উপর মহলে পৌঁছায় না, তা আজও রহস্য!
ভাবছেন, এনটিআরসিএ'র ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত মোট নিবন্ধিত শিক্ষকের সংখ্যা ৬ লক্ষাধিক। সবার জন্য তো চাকরির নিশ্চতা দেওয়া সম্ভব না। তাছাড়া গুণগত ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে অবশ্যই সর্বাধিক নম্বরপ্রাপ্ত অর্থাৎ মেধা তালিকায় এগিয়ে থাকাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে এবং শূন্যপদ পূরণ করা হচ্ছে। আসল বাস্তবতা লক্ষ্য করুন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট এখন স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৬ সালের আগে ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হতো। আর্থিক লেনদেন রোধে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষক নিয়োগ ক্ষমতা এনটিআরসিএ-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়। ২০১৬ সালে এনটিআরসিএ ১৬০০০ পদের বিপরীতে প্রথম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। প্রথম গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীরা স্ব স্ব জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করেন। কিন্তু পদ্ধতিগত ভুলের কারণে একই ব্যক্তি একাধিক প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত হন। শিক্ষক সংকট থেকেই যায়!
এরপর ২০১৮ সালের শেষে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট ৩৯৫৩৫ শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন এনটিআরসিএ। দ্বিতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আসে নিয়োগ পদ্ধতির। এ বিজ্ঞপ্তিতে চাকরিপ্রত্যাশীদের দেশের সব প্রতিষ্ঠানে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে সফটওয়্যারকেও এমন নির্দেশনা দেওয়া হয় যেন একই ব্যক্তি একাধিক প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ না পান। দ্বিতীয় নিয়োগ চক্রে চূড়ান্তভাবে প্রায় ৩৪ হাজার শিক্ষক দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুপারিশ পান।
কিন্তু বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বদলি ব্যবস্থা না থাকা ও সীমিত বেতন হওয়ায়; দূরে নিয়োজিত শিক্ষকরা পড়েন চরম বিপাকে। তারপর ২০২০ সালের ৩১ মার্চ প্রায় ৫৪ হাজার পদের বিপরীতে প্রকাশ করা হয় তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি। বদলি ব্যবস্থা না থাকায় দ্বিতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকসহ এন্ট্রিলেভেল শিক্ষক নিয়োগ আবেদন করেন তৃতীয় নিয়োগ চক্রে। তৃতীয় চক্রেও এমপিওভুক্ত ও নন-এমপিওসহ ৩৬৫৪০ জন শিক্ষক চূড়ান্ত সুপারিশ পান। যার মধ্যে আগের ইনডেক্সধারীর সংখ্যা ২১৮৭৩ জন। আর নতুন সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষক মাত্র ১৪৬৬৭ জন। জয়েন করেন প্রায় ১২ হাজারের মতো। পদশূন্য থাকে প্রায় ৪০ হাজারের উপরে। চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির ৬৮ হাজার শূন্য পদের মধ্যে সুপারিশ পান মাত্র ২৭ হাজার। আবারও ফাঁকা থাকে ৪০ হাজারেরও বেশি পদ। আবারও ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতেও সিদ্ধান্তগত ও সিস্টেম জনিত ত্রম্নটির কারণেই ফাঁকা থাকছে প্রায় ৭০ হাজার পদ। এনটিআরসিএ ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী সব পদই পূরণ করার প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছিলেন। বারবার যদি পদ শূন্যই থাকে বা রাখা হয়, তবে কেনই বা গণবিজ্ঞপ্তি?
২০১৫ সালে কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করে, ১ থেকে ১২তম, ১৩তম, ১০তম বিশেষসহ সম্মিলিত মেধা তালিকা করা হয়। এরপর থেকে এনটিআরসিএ সবাইকে নিয়োগ দেবে এটাই বিধিসম্মত নিয়ম বা আইন। এককবার একেকটি পরীক্ষায় প্রার্থীরা এককে নাম্বার পান। পদ্ধতিগত পরিবর্তন হলে মূল্যায়নের সবকিছুই ওলটপালট হয়ে যায়। তাই সম্মিলিত তালিকা করায় কোনো কোনো ব্যাচ লাভবান হয়, আবার কোনো কোনো ব্যাচের একেবারে বিনা কারণে সর্বনাশ হয়ে যায়। নম্বর ভিত্তিক তালিকা করার কোনো পূর্ব ঘোষণা ছিল না, ফলে পূর্বে যোগ্যতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১-১২তমদের একই তালিতায় অন্তর্ভুক্ত করায় তাদের নব্বইভাগেরই অবস্থান থাকে তালিকার পেছনের দিকে। স্বাভাবিকভাবেই সবার জন্য নিয়োগ সুপারিশের কোনো সুন্দর বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতির প্রয়োগ ও মনমানসিকতা না থাকলে ১-১২ তমরা নিয়োগ বঞ্চিত থেকে যাবে। হয়েছেও ঠিক তাই।
আবার শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় গণিত ও বিজ্ঞান বিষয় শিক্ষক সংকট থাকার কারণে ডিপেস্নামাধারীদের বি.এসসি'র সমমর্যাদা দিয়ে শিক্ষক ঘাটতি পূরণ করতে ইতোমধ্যে কমিটি গঠন করেছেন। সবার জন্য ভালো কিছু হলে ক্ষতি কী? এনটিআরসিএ'র এক ঝাঁক অনার্স-মাস্টার্স করা তরুণ-তরুণীরা নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে বিষয়ভিত্তিক- 'শিক্ষক নিবন্ধন সনদ' অর্জন করেছে। শিক্ষক হিসেবে শুধু তাদেরই নিয়োগ দেওয়া হবে, এখানে কোনো জটিলতা থাকার কথা না। এছাড়াও পূর্বে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ প্রাপ্ত যারা মেধা তালিকার নামে পিছিয়ে আছেন তাদের বেশিরভাগ শিক্ষক সরকারি প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত, অভিজ্ঞ (জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি, মূল্যবোধ) এবং সরকারি নির্দেশনা অনুসারে প্রত্যেকেরই আছে পিডিএস আইডি। শিক্ষকতা পেশাকে ব্রত হিসেবে নিতে অনার্স-মাস্টার্স, এমএড-বিএড করেও নামমাত্র পারিশ্রমিতে প্রতিষ্ঠানের নিজিস্ব অর্থায়নে হচ্ছেন বৈষম্যের শিকার। এদের মধ্যে অনেকের বয়েছে ৫-১০ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা। শিক্ষক নিবন্ধন সনদ শিক্ষকতা ছাড়া অন্য কোনো কাজে আসবে না। সুতরাং, শিক্ষার্থীদের গুণগত ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষক বৈষম্য দূরীকরণও এখন সময়ের দাবি। কিন্তু তারও আগে পরিষ্কার ধারণা দেওয়া দরকার, বিষয়ভিত্তিক অনার্স-মাস্টার্স, এমএড-বিএড করে এবং এনটিআরসিএ'র সব শর্তে উত্তীর্ণ হওয়া কী পাপ হয়েছে? কেন বারবার বঞ্চিত করা হচ্ছে?
বর্তমানে শূন্যপদ ৯৭ হাজার। চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে স্কুল ও কলেজ পৃথকভাবে আবেদন পড়ে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার এবং স্কুল-কলেজ মিলে (যেহেতু কোনো ব্যক্তি একাধিক পদে চাকরি করার কোনো সুযোগ নেই। প্রকৃত চাকরি প্রত্যাশীর সংখ্যা হিসেবে) আবেদন পড়েছিল ৮১ হাজার। নতুন যুক্ত ১৭তম সাড়ে ২৩ হাজার। সবাইকে একত্র করে স্ব স্ব নীতিমালায় একটি মাত্র ই-আবেদন নিয়ে প্যানেল করে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব। দুই-একটা বিষয়ে সাময়িক সমস্যা হলেও জাতি সামগ্রিকভাবে লাভবান হবে। অন্যথায় গণবিজ্ঞপ্তিতে সৃষ্টি হচ্ছে কৃত্রিম শিক্ষক সংকট।
আবার জাল সনদে কেউ কেউ চাকরি করছে, সরকারি বেতন ভাতা তুলছে, অথচ বৈধ নিবন্ধিত শিক্ষকরা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। এতে শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য তো পূরণ হচ্ছেই না, সৃষ্টি হচ্ছে শিক্ষার বৈরী পরিবেশ এবং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সৃষ্টি হচ্ছে বেকারত্ব, বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত চাকরি প্রত্যাশীরা।
আমির আসহাব : কলাম লেখক