তাপমাত্রার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি

দায়ীরা চিহ্নিতই। চিহ্নিত দায়ীদের বিচার হবে কি, হবে না সেটা দেখার বিষয়। ঢাকাকে বাস অযোগ্য করে ফেলা/হিট আইল্যান্ডে পরিণতের দায় কারো ওপরই যদি না বর্তায়, দায়ীদের যদি অধরা, জবাবদিহিতার বাইরে রাখা হয় তাহলে নিকট ভবিষ্যতে ঢাকার অসহনীয় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে বলা প্রয়োজন পড়ে না। বিশেষজ্ঞরা এখনই ঢাকার অতি তাপদাহকে ভয়াবহ আখ্যায়িত করে উদ্বিগ্ন-উৎকণ্ঠিত হচ্ছেন। তীব্র তাপদাহের কারণে গর্ভের সন্তান নষ্ট, অপরিণত সন্তান জন্ম, ওষুধের গুণগত মান নষ্টের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞদের অনেকেই।

প্রকাশ | ১৫ মে ২০২৪, ০০:০০

জহির চৌধুরী
এপ্রিলের শুরু থেকে মে মাসের কয়েকদিন রাজধানী ঢাকাসহ দেশজুড়ে তাপদাহের তীব্রতা লক্ষ্য করা গেছে, তাপমাত্রা কোথাও কোথাও ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রমের খবর পাওয়া গেছে। রাজধানীতে তাপদাহের তীব্রতা কেন এত বেশি, তীব্র তাপদাহের দায় কার তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পহেলা মে ঢাকায় রিপোর্টার্স ইউনিটিতে 'তাপদাহের তীব্রতা : দায়কার? করণীয় কী?' শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, সবুজ, পানি ও উন্মুক্ত জায়গার অভাবে তাপপ্রবাহে রাজধানীতে স্বস্তি নেই। অসহনীয় অবস্থার জন্য দায়ী সরকার ও ব্যক্তিগত লোভ। সবুজায়ন ফেরাতে না পারলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী এবং আইনভঙ্গকারীদের শাস্তির দাবিও করা হয়েছে সংবাদ সম্মেলন থেকে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত প্রবন্ধে বলা হয়েছে, জলাশয় কমে যাওয়া, গাছ না থাকা, পরিবেশ অনুপযোগী বিদেশি গাছ রোপণ, কাঁচের ভবন নির্মাণ, বায়ুদূষণ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে চলমান তাপপ্রবাহে ঢাকার পরিবেশ অসহনীয় হয়ে উঠেছে। বাতাসের প্রবাহধারা নিশ্চিত করার যে গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয়তা ছিল তা কোনোভাবেই বাস্তবায়ন করা যায়নি। ঢাকার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে ইমারত নির্মাণ বিধিমালার অসামঞ্জস্যপূর্ণ পরিবর্তন কিংবা তার ব্যত্যয় করে অননুমোদিত ভবন নির্মাণ চলমান অবস্থাকে আরও দুর্বিষহ করেছে। দেশের নগরীগুলোতে অপরিকল্পিত, মানববিচ্ছিন্ন ও পরিবেশ বৈরী কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে দ্রম্নত নগরায়ণের ধারা গড়ে উঠেছে। এভাবে গড়ে উঠায় এ (ঢাকা) নগরীর প্রাকৃতিক ভারসাম্য সাংঘাতিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে। বর্তমানে নগরীগুলোতে তাপমাত্রা অনুভবের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে, অর্থাৎ তাপমাত্রা বৃদ্ধির চেয়ে অনুভবের মাত্রা বেড়েছে। ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় যথাযথ শুদ্ধিকরণের উদ্যোগ প্রয়োজন। চরম সত্য যে, রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং তাপমাত্রার অনুপাতে বেশি গরম অনুভূত হওয়ার দায় সরকার, ব্যক্তি (জমির মালিক) আবাসন/অ্যাপার্টমেন্ট কারবারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপরই বহুলাংশে বর্তায়। ঢাকা নগরীতে পরিকল্পিত ও পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষা করে নগরায়ণ হলে ঢাকা পরিবেশবান্ধব নগরী হতো। পরিবেশবান্ধব নগরী হলে বায়ুদূষণ, তীব্র তাপদাহসহ পরিবেশ বিপর্যয়ের বহুমাত্রিক ভোগান্তি এতটা অসহনীয় হতো না, পরিবেশ-প্রতিবেশ বিপর্যয় অনেকটাই এড়ানো যেত। এটা হয়নি বা করা যায়নি। দায় এড়ানোর সুযোগ নেই, কাউকে না কাউকে দায় নিতেই হবে। অস্বীকার করা যাবে না যে, ঢাকায় পরিকল্পিত-পরিবেশবান্ধব নগরায়ণ করা যায়নি সরকার এ ক্ষেত্রে যতটা গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন ছিল তা না দেওয়ায়। ঢাকায় পরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য ৫০-এর দশকের মাঝামাঝি সৃষ্টি করা হয়েছিল ঢাকা ইমপ্রম্নভমেন্ট ট্রাস্ট (ডিআইটি)। আশির দশকে এ প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে, নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এতে রাষ্ট্রের অর্থ উজাড় ছাড়া কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বলা অতু্যক্তি হবে না, রাজধানী ঢাকা দ্রম্নতগতিতে বাস অযোগ্য হয়ে পড়ছে, ঢাকার পরিবেশ-প্রতিবেশের ব্যাপক বিপর্যয় ঘটেছে রাজউক-এর সময়েই। রাজউক দায় এড়ায় কীভাবে? রাজউক-এর কোনোভাবেই দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। ঢাকার অসহনীয় অবস্থার জন্য রাজউকের দায়ই বেশি। ঢাকার অসহনীয় অবস্থার জন্য রাজউকসহ যারা দায়ী তাদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি অবশ্যই করা যেতে পারে। ন্যায় বিচার হলে যার দায় বেশি তার গুরুদন্ড, যার বা যাদের দায় তুলনামূলক কম তার বা তাদের তুলনামূলক লঘুদন্ড হবে- এটা বিধান। যেহেতু রাজউকের দায় বেশি সেহেতু রাজউকের যারা দায়ী তাদের 'ভারী' শাস্তি অন্য যারা তুলনামূলক কম দায়ী তাদের আমৃতু্য আলো বাতাস তেমন একটা প্রবেশ করে না এমন প্রকোষ্ঠে কারাবাসের শাস্তি যদি দেওয়া যেত তাহলেই উপযুক্ত শাস্তি হতো। সরকারের দায়িত্বহীনতা, ব্যক্তি/গোষ্ঠীর লোভ যে পরিবেশ-প্রতিবেশ, জনস্বাস্থ্যের যে ক্ষতি করেছে তা অপূরণীয়। ঢাকা নগরী জীবের বাস অযোগ্য হয়ে পড়েছে ইতিমধ্যেই। নগর বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ বলছেন, ঢাকাকে আর বাসযোগ্য করে তোলা সম্ভব নয়। এক তথ্যমতে, ঢাকায় গরমে কষ্টের দিন বেড়েছে ৩ গুণ। অতিরিক্ত গরম ঢাকা নগরবাসীর মারাত্মক শারীরিক, বিপুল আর্থিক ক্ষতি করছে। ঢাকার তাপমাত্রা নিয়ে বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার গবেষকদের যৌথভাবে করা সমীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ঢাকার বাতাস আশপাশের জেলার চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি উত্তপ্ত। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)-এর এক প্রবন্ধে বলা হয়েছে, গ্রামের চেয়ে ঢাকায় গড়ে সাড়ে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেশি থাকে। অন্য এক গবেষণা পত্রে বলা হয়েছে, ঢাকার তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি কমার পরও দেখা গেছে গরমের অনুভূতি তেমন একটা হেরফের হয়নি। অর্থাৎ তাপমাত্রা কমলেও ঢাকায় গরমের অনুভূতি কমে না বা কমছে না। এরজন্য বিজ্ঞানীরা দায়ী করেছেন গাছপালা ও জলাভূমি কমে যাওয়া এবং বায়ু প্রবাহের জায়গা না রেখে ভবন নির্মাণের কারণে গ্রীষ্মকালে ঢাকায় তাপীয় দ্বীপ বা হিট আইল্যান্ড তৈরি হওয়াকে। বাংলাদেশ অকু্যপেশনাল সেফটি, হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বলা হয়েছে, তীব্র তাপদাহের কারণে ঢাকায় প্রতি বছর দুই হাজার সাতশ কোটি ডলার সমমূল্যের উৎপাদনশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ঢাকায় তীব্র তাপদাহের ক্ষতি কতটা ব্যাপক তার সামান্য ধারণাই পাওয়া যায় গবেষকদের তথ্য থেকে। ঢাকাকে পরিবেশবান্ধব নগরী গড়ে তোলা কি সম্ভব ছিল না? ছিল। কমবেশি দুই কোটি লোক অধু্যষিত চীনের বাণিজ্যিক রাজধানী গুয়াংজু নগরীরতে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে তাপমাত্রা উঠলেও গরম সে অনুপাতে অনুভূত হয় না পরিকল্পিত নগরায়ণ এবং প্রয়োজনীয় জলাশয় ও সবুজায়ন থাকায়। গুয়াংজু নগরী আদলে ঢাকায় নগরায়ণ করা যেত। ঢাকায় পরিবেশ-প্রতিবেশবান্ধব নগরায়ণ সম্ভব হয়নি সরকারের দায়িত্বহীনতা এবং ব্যক্তি/গোষ্ঠী বিশেষের অর্থলোলুপতার কারণে; বলা হলে সঠিক নয়- বলা যাবে না। ঢাকায় জমির মালিক এবং বিল্ডিং বিল্ডার্স কোম্পানি/প্রতিষ্ঠানের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিল্ডিং/ভবন নির্মাণ শুরুর পর থেকে ব্যাপকভাবে ঢাকার জলাভূমি গাছপালা নিশ্চিহ্নের, ঢাকা নগরীকে কংক্রিটের জঙ্গলে রূপ দেওয়ার কাজটি জোরদার হয়েছে। নগর পরিকল্পনার মানদন্ড অনুযায়ী, একটি আদর্শ শহরে ২৫ শতাংশ সবুজ এলাকা থাকা প্রয়োজন। ঢাকায় আছে মাত্র নয় শতাংশ। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পস্ন্যানার্স (বিআইপি)'র তথ্যানুযায়ী, গত ২৮ বছরে রাজধানী ঢাকার সবুজ এলাকা ২২ শতাংশ থেকে কমে মাত্র ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বিগত দিনে সবুজায়ন ধ্বংসের 'উৎসব' হয়েছে বলা যায় নির্দ্বিধায়। পেছনে তাকালে দেখা যায়, ঢাকায় পরিকল্পিত নগরায়ণ, নিরাপদ ভবন তৈরির নীতিমালা প্রণয়নের চেষ্টা-উদ্যোগ নিয়েও খুব একটা সফল হওয়া যায়নি। সফল না হওয়ার কারণ খুঁজলে লোভীগোষ্ঠীর প্রবল বাধা, সরকারের লোভী গোষ্ঠীর কাছে আত্মসমর্পণের 'কাহিনী' বেরিয়ে আসে। বিভিন্ন সময় লক্ষ্য করা গেছে, পরিকল্পিত নগরায়ণ, নিরাপদ, পরিবেশসম্মত এবং জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় এমন নগরায়ণ ও ইমারত নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকার একটু কঠোর হলে লোভী গোষ্ঠী/মহল চেঁচামেঁচি শুরু করে, হুমকি-হুংকার দেয়, অগ্রহণযোগ্য যুক্তি দেখায়, শেষমেষ নানা উপায়ে উপর মহলকে ম্যানেজ করে সরকারকে পিছু হটিয়ে দেয়। এর শক্ত প্রমাণ হতে পারে প্রণীত ড্যাব সংশোধন। ঢাকায় তাপদাহের তীব্রতার দায় কাদের ওপর বর্তায় তা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। দায়ীরা চিহ্নিতই। চিহ্নিত দায়ীদের বিচার হবে কি, হবে না সেটা দেখার বিষয়। ঢাকাকে বাস অযোগ্য করে ফেলা/হিট আইল্যান্ডে পরিণতের দায় কারো ওপরই যদি না বর্তায়, দায়ীদের যদি অধরা, জবাবদিহিতার বাইরে রাখা হয় তাহলে নিকট ভবিষ্যতে ঢাকার অসহনীয় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে বলা প্রয়োজন পড়ে না। বিশেষজ্ঞরা এখনই ঢাকার অতি তাপদাহকে ভয়াবহ আখ্যায়িত করে উদ্বিগ্ন-উৎকণ্ঠিত হচ্ছেন। তীব্র তাপদাহের কারণে গর্ভের সন্তান নষ্ট, অপরিণত সন্তান জন্ম, ওষুধের গুণগত মান নষ্টের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞদের অনেকেই। অতিরিক্ত তাপমাত্রার প্রকৃত ক্ষতি নিরূপণ করে তুলে ধরা কঠিন হলেও ক্ষতির মাত্রা ধারণাতীত। চোখের সামনেই সরকারের দায়িত্বহীনতা, ব্যক্তি/গোষ্ঠীর লোভের পরিণতিতে ঢাকা নগরীর পরিবেশ-প্রতিবেশ বিপর্যয় ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। বিষয়টিকে এখনই অতি গুরুত্ব দিয়ে ভাবা দরকার। দুই বছর আগেও ভারতের দিলিস্ন নগরীতে তীব্র তাপদাহের ভোগান্তি ছিল। এখন তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে। এটা সম্ভব হয়েছে দিলিস্ন নগরীকে গাছ দিয়ে ছেয়ে ফেলার কারণে। ঢাকার তাপমাত্রা সহনীয় রাখা এবং ঢাকাকে পরিবেশবান্ধব, স্বাস্থ্যসম্মত নগরীর রূপ দেওয়া এখন একেবারেই সম্ভব নয় বলে মনে হয় না। বায়ু প্রবাহের ধারা নির্বিঘ্ন রাখা নিশ্চিত করে, চারপাশে যতটুকু জায়গা খালি রাখা প্রয়োজন ততটুকু জায়গা খালি রেখে ইমারত/ভবন নির্মাণ করা হলে, এ ক্ষেত্রে কোনো প্রকার নমনীয়তা দেখানো বা ছাড় দেওয়া না হলে, ইমারত/ভবনের চারপাশের ছেড়ে দেওয়া জায়গা/ভূমি কংক্রিট আবৃত না করা হলে, ঢাকা নগরীর বড় রাস্তাসহ যে সব আবাসিক এলাকায় কমবেশি ২৫ ফুট রাস্তা আছে সেসব রাস্তার (আবাসিক এলাকায় ২০ ফুট পর্যন্ত কংক্রিট বা পিচ আবৃত রাস্তা যান চলাচলের জন্য যথেষ্ট) দুই পাশে কিছু জায়গা/ভূমি গাছ লাগানোর রাখা হলে এবং সে জায়গায় গাছ লাগালে, বৃষ্টির পানি মাটিতে প্রবেশের পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া হলে, দেশের জলবায়ুর উপযোগী নয়/পরিবেশঘাতক এমন গাছ লাগানো বন্ধ করে যেগুলো লাগানো হয়েছে সেগুলো কেটে দেশের জলবায়ু উপযোগী/পরিবেশ সহায়ক গাছ লাগালে ঢাকা নগরী অল্প সময়ের মধ্যে মোটামুটি পরিবেশ-প্রতিবেশবান্ধব নগরীতে পরিণত করা সম্ভব হবে। ঢাকাকে পরিবেশবান্ধব নগরী রূপ দিতে চাইলে স্বপস্ন, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে এবং সে পরিকাল্পনা বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে হবে। লোভীদের কুযুক্তি গ্রহণ করে নগরায়ণ, ভবন নির্মাণ বিধি প্রণয়নের ধারা থেকে সরকারকে বেরিয়ে আসতে হবে ঢাকা নগরীর পরিবেশ-প্রতিবেশ বিপর্যয় আরও খারাপের দিকে যাওয়া রোধের প্রয়োজনে। জননিরাপত্তা, জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ-প্রতিবেশ সুরক্ষিত রেখেই নগরায়ণ/উন্নয়ন করতে হবে। ঢাকা নগরী এবং ঢাকার বিপুল নগরীবাসী কতিপয় লোভীগোষ্ঠীর লোভের বলি হচ্ছে। ঢাকায় পরিবেশ-প্রতিবেশ বিনাশী নগরায়ণ/'উন্নয়ন' বন্ধ করতে এবং ঢাকাকে বাসযোগ্য রাখতে সরকার দায়িত্বশীল/ আপসহীন না হলে সামনের দিনগুলোতে লোভীগোষ্ঠী আরও বেপরোয়া হবে। লোভীগোষ্ঠীর হাতে ঢাকা নগরীকে সঁপে দেওয়ার ফল হাতেনাতে মিলছে। এবারের তীব্র তাপদাহ বার্তা দিচ্ছে, বার্তা বুঝতে হবে। তীব্র তাপদাহ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের করণীয় আছে, নেই সদিচ্ছা। সদিচ্ছা জরুরি। জহির চৌধুরী : কলাম লেখক