শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১

এপ্রিলে ৬৩২ জনের মৃতু্য সড়ক নিরাপদ করতে হবে

  ১৩ মে ২০২৪, ০০:০০
এপ্রিলে ৬৩২ জনের মৃতু্য সড়ক নিরাপদ করতে হবে

কোনোভাবেই সড়ক নিরাপদ করা যাচ্ছে না। ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে গত এপ্রিলে সারাদেশে ৬৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৬৩২ জন মারা গেছেন। একইসঙ্গে আহত হয়েছেন ৮৬৬ জন। ৯ মে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের সই করা প্রতিবেদনে এ সব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিআরটিএ'র বিভাগীয় অফিসের মাধ্যমে সারাদেশের সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা হয়েছে। বিআরটিএ'র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এপ্রিলে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম বিভাগে। এ বিভাগে ১৩৫টি দুর্ঘটনায় ১২৩ জন নিহত এবং ২২৭ জন আহত হয়েছেন। এর পরের অবস্থানে ঢাকা বিভাগ। এ বিভাগে ১০৮টি দুর্ঘটনায় নিহত ১১৫ এবং আহত হয়েছেন ১৫৭ জন। এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ১০০টি দুর্ঘটনায় ৯৩ জন নিহত এবং ১১২ জন আহত হয়েছেন। খুলনা বিভাগে ৯৮টি দুর্ঘটনায় নিহত ৮৭ এবং আহত ৯৫ জন। ময়মনসিংহ বিভাগে ৭০টি দুর্ঘটনায় ৬২ জন নিহত এবং ৮৩ জন আহত হয়েছেন। রংপুর বিভাগে ৬৮টি দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫ এবং আহত হয়েছেন ৬৪ জন। বরিশাল বিভাগে ৪৫টি দুর্ঘটনায় ৪৯ জন নিহত এবং ৬৪ জন আহত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে ৩৪টি দুর্ঘটনায় নিহত ৩৮ এবং আহত হয়েছেন ৬৪ জন। এপ্রিলে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে মোটর সাইকেলে। ২৫২টি মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় ১৯১ নিহত হয়েছেন। এ তথ্য নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক। অন্যদিকে, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। শনিবার সকালে শিল্পকলা একাডেমিতে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর ১০ম মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ আহত হচ্ছে, নিহত হচ্ছে। সড়কে খালি হচ্ছে হাজারো মায়ের বুক। এসব দুর্ঘটনার সমস্যা সমাধানে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বিভিন্ন সময় দাবি করে আসছে 'নিরাপদ সড়ক চাই'। এ বিষয়ে সরকার ২২ অক্টোবর নিরাপদ সড়ক দিবস ঘোষণা করে। যা দেশে গুরুত্ব সহকারে পালিত হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ সচেতনতার অভাব। দক্ষ চালকের হাতে যাতে স্টিয়ারিং থাকে আমরা সেই ব্যবস্থা করতে যাচ্ছি। ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিষয়ে খেয়াল রাখছি। চালকদের প্রশিক্ষণের অভাবও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। গাড়ি চালানো অবস্থায় চালকের মোবাইল ব্যবহার, অপরিকল্পিত ভঙ্গুর সড়ক, ওভার ক্রসিং, অতিরিক্ত গতি, ওভার ব্রিজের স্বল্পতা, ট্রাফিক আইন অমান্য করা, ট্রাফিক পুলিশের গাফিলতি। এ ছাড়া শিক্ষিত ও সচেতন চালক নিয়োগ দেয়াও জরুরি। মনে রাখতে হবে, বড় বড় দুর্ঘটনা থেকে যদি আমরা শিক্ষা নিতে না পারি তবে ভবিষ্যতেও এর পুনরাবৃত্তি ঘটবে। দুর্ঘটনায় মৃতু্যর হার কমাতে হলে দোষীদের তাৎক্ষণিক শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি জনগণকেও সড়ক পথে ভ্রমণ ও রাস্তা পারাপারের ক্ষেত্রে আরও সচেতন হতে হবে। পরিকল্পিত ও সফল উদ্যোগই কেবল পারে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা রোধ করতে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে