অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার

দ্রম্নত কার্যকর উদ্যোগ নিন

প্রকাশ | ১২ মে ২০২৪, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
টাকার মান কমে যাওয়া এবং ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার। বাজারে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম চড়া। বাড়তি খরচ জোগাতে মানুষের পকেট ফাঁকা, অন্য খরচে পড়ছে টান। সব চলে যাচ্ছে নিত্যদিনের খাবার কেনায়। এমন পরিস্থিতিতেই রয়েছে রাজধানীর নিম্ন আয়ের মানুষ। ক্রেতারা বাড়তি দামে কিনতে বাধ্য হলেও তাদের মাঝে রয়েছে চাপা ক্ষোভ। বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দামই বেড়েছে। প্রতি কেজি সাদা বেগুনের দাম ১০০ টাকা। বড় বেগুন ১২০ টাকা, লম্বা বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে পেঁপের দাম। প্রতি কেজি পেঁপের দাম ১০০ টাকা। বাড়তি দাম কাঁচা মরিচের। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ১৬০ টাকা। পটলের কেজি ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, বটবটি ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, পাকা টমেটো ৫০ টাকা, ধুন্দুলের কেজি বাজারভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। মাঝারি আকারের ?কলার হালি ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ বাজারভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। ঝিঙের কেজি ৮০ টাকা, কচুর মুখী ১২০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৬০ টাকা, চালকুমড়া (জালি) প্রতিটি ধরনভেদে ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা। ৭৫০ গ্রামের বাঁধাকপি ৪০ টাকা, আধা কেজি ওজনের ফুলকপি বাজারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। স্বস্তি নেই মাছের বাজারেও। পেঁয়াজের কেজি ৭০ টাকা, আলুর কেজি ৫৫-৬০ টাকা, আমদানি করা বড় রসুন ২৪০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেচি। সোনালি মুরগি বাজার ভেদে ৩৯০ থেকে ৪২০ টাকা কেজি। চাল ডালের দামও বেড়েছে। কদিন আগে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। সব মিলিয়ে বাজার অস্থির। যেন দেখার কেউ নেই। আমরা মনে করি, ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হলে চলবে না। তাদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এরা জনগণের স্বার্থের দিকে কখনোই নজর দেয় না। এরা বাজারসন্ত্রাসী। কীভাবে অসৎ উপায় অবলম্বন করে দ্রম্নত ধনী হওয়া যায় সেটাই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য। বাজারে মূল্য তালিকা টাঙিয়ে যথাযথ তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের অসহায় জনগণকে জিম্মি করে তারা পকেট কাটবে এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এর আগে তারা চাল, চিনি, ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছিল। এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর কী হতে পারে। বাজার নিয়ে অতীতে অনেক পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। প্রচুর লেখালেখি হয়েছে, কোনো কাজ হয়নি। বিক্রেতাদের মানসিকতার কোনো পরিবর্তন হয়নি। এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। আমরা মনে করি, বিক্রেতাদের মানসিকতার পরিবর্তন যতদিন না ঘটবে ততদিন নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির থাকবেই এবং দেশের জনগণও তাদের কাছে জিম্মি থাকবে। এ ব্যাপারে সরকারের কার্যকর কঠোর উদ্যোগই কেবল পারে জনগণকে হয়রানি ও দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে।