বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১

বাংলাদেশের টি২০ সিরিজ জয় আমাদের অভিনন্দন

  ০৯ মে ২০২৪, ০০:০০
বাংলাদেশের টি২০ সিরিজ জয় আমাদের অভিনন্দন

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আবারও আরেকটি জয় উপহার দিল। আগের দুই টি২০তে বাংলাদেশ অনেকটা সহজে জিতলেও তৃতীয় টি২০তে আর সহজ জয় ছিল না। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে সফরকারী জিম্বাবুয়ে দল। যদিও শেষ রক্ষা করতে পারেনি তারা। তথ্য মতে, মঙ্গলবার উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে সফরকারীদের ৯ রানে হারিয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই পাঁচ ম্যাচের টি২০ সিরিজ জিতে নিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। বাংলাদেশের টি২০ সিরিজ জয়ে টাইগারদের জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।

উলেস্নখ্য, সিরিজে প্রথমবারের মতো আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ। তাতে শুরুটা ভালো না হলেও তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলীর ব্যাটে চ্যালেঞ্জিং পুঁজিই পায় স্বাগতিকরা। এরপর টাইগার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আবারও জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় টি২০ ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৯ রানে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে নিজেদের নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫৬ রানের বেশি করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। এদিন লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই চাপে ছিল জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেই ওপেনিং জুটি ভাঙেন মোহাম্মাদ সাইফউদ্দিন। অফ স্টাম্পের বাইরে রাখা বলে জয়লর্ড গাম্বি লেগের দিকে খেলতে গিয়ে থার্ড ম্যানে ক্যাচ দিয়েছেন মাহমুদউলস্নাহর হাতে। পরের ওভারে ফিরে ক্রেইগ আরভিনকে বোল্ড করে দেন তিনি। মাঝে তিনে নামা ব্রায়ান বেনেটকে ফেরান তানজিম হাসান। বোলারের মাথার উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে টাইমিংয়ে হেরফের করে তানজিমের হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান বেনেট। অধিনায়ক সিকান্দার রাজা উইকেটরক্ষক জাকের আলীর ক্যাচে পরিণত করেন রিশাদ হোসেন। এছাড়া শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসে মাসাকাদজাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন সাইফউদ্দিন। তবে পরের দুই বলে দুটি চার মেরে ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিলেন মুজারাবানি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেননি তিনি। ৯ রান দূরে থামে দলটি।

যদিও বলা দরকার, তার আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। দলীয় ২৯ রানেই দুই উইকেট হারায় তারা। পাওয়ার পেস্নতে ওঠে দুই উইকেটে ৪২ রান। ১২ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ৭ রান। তবে এরপর কিছুটা আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টা চালান জাকের ও তাওহিদ। তাতে বাড়তে থাকে রানের গতি। ৬০ রানের তিন উইকেট হারানোর তাওহিদ ও জাকের জুটিতেই লড়াইয়ের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেটে ৮৭ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। যা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি। ৬০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর অবশেষে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। আবারও ত্রাতা সেই তাওহিদ হৃদয়। জাকেরকে নিয়ে অসাধারণ জুটিতে খেলা নিয়ে আসেন নিজেদের দিকে। চতুর্থ উইকেটে ৫৮ বলে আনেন মূল্যবান ৮৭ রান। ১৯তম ওভারে গিয়ে দুজনেই আউট হন মুজারবানির বলে। ৩৮ বলে ৫৭ করে ফেরেন হৃদয়। ৩৪ বলে জাকের থামেন ৪৪ করে। আর শেষদিকে মাহমুদউলস্নাহ ৯ রানে এবং রিশাদ হোসেন ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। জিম্বাবুয়ের পক্ষে ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন মুজারাবানি।

প্রসঙ্গত, আমরা এটা বলতে চাই যে, যখন টি২০ সিরিজ জয় করল টাইগাররা তখন এটি শুধু সুখকরই নয়, বরং প্রেরণারও। এটিকে আমলে নিয়ে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা জারি রাখতে হবে। যে কোনো ধরনের সংকট থাকলে তা মোকাবিলায় দেশের ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নেও কাজ করতে হবে। জয়ের আনন্দকে অনুপ্রেরণা এবং শক্তিতে রূপান্তর করতে হবে।

সর্বোপরি আমরা বলতে চাই, বাংলাদেশ দলের এই অর্জন ইতিবাচক এবং আশাপ্রদ বাস্তবতাকে স্পষ্ট করে। সঙ্গত কারণেই জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে করণীয় নির্ধারণ সাপেক্ষে সর্বাত্মক পদক্ষেপও জরুরি। বলার অপেক্ষা রাখে না, টাইগাররা বারবার দেশে সুনাম ছড়িয়েছে, সারা বিশ্বের সামনে দেশকে উজ্জ্বল করেছে বারবার। ফলে জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সব ধরনের প্রচেষ্টা জারি রাখতে হবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট এগিয়ে যাবে আরও বহুদূর- এমন লক্ষ্য সামনে রেখে ক্রিকেটের অগ্রযাত্রা বজায় রাখতে সব ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকুক এমনটি আমাদের প্রত্যাশা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে