পাঠক মত

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন মাদকের আঁতুড়ঘর

প্রকাশ | ০৮ মে ২০২৪, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মেধাবীদের চারণভূমিখ্যাত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন মাদকের আঁতুড়ঘর? মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি ও মাদক দমনে নিয়মিত অভিযান চলমান থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে প্রকাশ্যে চলে মাদক সেবন? অন্যান্য মাদকের জোগান না থাকলেও গাঁজার মতো ভয়াবহ মাদক প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সহজলভ্য? পুরো দেশ যেসব মেধাবীর দিকে চেয়ে থাকে দেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার হিসেবে, সেখানে নেশায় বুঁদ হয়ে থাকে এই দেশের এই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম? বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই জড়িয়ে পড়ে এই মাদক চক্রের সঙ্গে? নারী শিক্ষার্থীরাও পিছিয়ে নেই মাদক গ্রহণে? পারিবারিক কলহ, চাকরির দুশ্চিন্তা, প্রেমঘটিত চিন্তা- এসব থেকে সাময়িক মুক্তির জন্য মাদক সেবন সীমাবদ্ধ নেই? বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শ্রেণির সংস্কৃতি এমনভাবে চর্চা হয়, এরা আড্ডায় মাদক, খুশিতে মাদক, আবহাওয়া ভালো থাকলে মাদক, খারাপ থাকলে মাদক- সর্বস্তরেই মাদক? বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক এক শ্রেণির জীবনজীবীকাই নির্বাহ হয় মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে? উচ্চ মাধ্যমিক অবধি পড়াশোনায় মনোনিবেশ করা ছেলেটিও কোনো না কোনোভাবে মাদকে জড়িয়ে যাচ্ছে? প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে এই মাদক সংক্রামণ? বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদেও পাওয়া যায় এর ভয়াল তথ্য? এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনেকেই যুক্ত থাকে এই উচ্চ লাভজনক ব্যবসার সঙ্গে? উচ্চ মাধ্যমিক অবধি প্রতি স্তরে মেধার স্বাক্ষর রাখা অনেক শিক্ষার্থী বছরের পর বছর ড্রপ, ইম্প্রম্নভ এমনকি ড্রপ আউট হয়ে ঝরে পড়ে? বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যাত্রায় কতিপয় বড় ভাইখ্যাত পাবলিকিয়ান আজকাল এই মাদকের কথা বলেও ভর্তি ইচ্ছুদের স্বপ্ন দেখায়? তাদের ভাষ্য, গায়ে পাবলিকিয়ান ট্যাগ থাকলে মাতাল হয়ে পড়ে থাকলেও কেউ কিছু বলবে না, যা ওই শিক্ষার্থীকে পরবর্তী সময়ে মাদকে আসক্ত হয়ে প্রবলভাবে উদ্বুদ্ধ করে? মেধার চর্চা, দেশের কারিগর শিক্ষায় বেড়ে উঠবে, সেখানেই প্রতিনিয়ত নব্য মাদকসেবীর আবির্ভাব ঘটছে? যাদের দেখে অন্যরা অনুপ্রাণিত হবে জীবনসংগ্রামে, তারা কতটুকু ইতিবাচক পথে ভূমিকা রাখছে তা সন্দিহান? সুরঞ্জন মজুমদার শিক্ষার্থী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়