যানবাহনের স্টিকার যাচাই

উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে

প্রকাশ | ০৬ মে ২০২৪, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
প্রাইভেটকার কিংবা মোটর সাইকেলসহ ব্যক্তিগত গাড়িতে নানা ধরনের স্টিকার দেখা যায়, অনেক ক্ষেত্রে কেউ কেউ ভুয়া স্টিকার লাগিয়ে রাস্তায় নানা ধরনের সুবিধা নিতে চেষ্টা করে- এমন অভিযোগ আছে। আর এই ধরনের ঘটনা উদ্বেগজনক বলেই প্রতীয়মান হয়- যা আমলে নেওয়া জরুরি। সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা যাচ্ছে যে, প্রাইভেটকার কিংবা মোটর সাইকেলসহ ব্যক্তিগত গাড়িতে লাগানো বিভিন্ন অফিস বা প্রতিষ্ঠানের স্টিকার যাচাই করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ- যা ইতিবাচক। জানা যাচ্ছে, কেউ যেন ভুয়া স্টিকার লাগিয়ে রাস্তায় বাড়তি সুবিধা না নিতে পারে এবং অপরাধীরা ছদ্মবেশ ধারণ করতে না পারে- সে জন্য স্টিকার লাগানো গাড়ির বিষয়ে অভিযানে নেমেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। আমরা মনে করি, এই অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে এবং সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে হবে। কেননা, কেউ যদি ভুয়া স্টিকার লাগিয়ে রাস্তায় বাড়তি সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে কিংবা অপরাধীরা ছদ্মবেশ ধারণ করে অপরাধপ্রবণ হয়ে ওঠে, তবে তা আশঙ্কাজনক বাস্তবতাকেই স্পষ্ট করবে- যা এড়ানোর সুযোগ নেই। সঙ্গত কারণেই এই অভিযান সফল করতে সর্বাত্মক উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে। প্রসঙ্গত, ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ইদানীং রাজধানীতে ব্যক্তিগত গাড়িতে স্টিকার লাগানোর প্রবণতা বেড়েছে। এসব গাড়ির মধ্যে ভুয়া স্টিকার লাগানোর প্রবণতাও দেখা গেছে। বিশেষ করে এটা অত্যন্ত উৎকণ্ঠার যে, একজন ব্যক্তি নিজের প্রতিষ্ঠানের বাদ দিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানের স্টিকার লাগিয়ে রাস্তায় বাড়তি সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছেন! ফলে সার্বিক বিষয় আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে সংশ্লিষ্টদেরই। বলা দরকার, এক ব্যক্তি নিজের প্রতিষ্ঠানের স্টিকার বাদ দিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানের স্টিকার লাগিয়ে রাস্তায় বাড়তি সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছেন- শুধু এমনই নয়, বরং এটাও জানা যাচ্ছে যে, এর আড়ালে ভিন্ন কোনো গোষ্ঠী বড় ধরনের অপরাধও করে থাকে। তথ্য মতে, এ অপরাধ দূর করার লক্ষ্যে সম্প্রতি ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ট্রাফিক বিভাগকে নির্দেশ দেন। আর ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনার পর ডিএমপির সব ট্রাফিক বিভাগ একযোগে স্টিকার চেক করার বিষয়ে অভিযানে নেমেছে। এক্ষেত্রে লক্ষণীয়, শনিবার ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) বলেছেন, তারা বিভিন্ন সময় দেখেছেন যে, অপরাধীরা ভুয়া স্টিকার ব্যবহার করে থাকে। অপরাধীরা পুলিশ কিংবা সাংবাদিকসহ অন্যান্য দপ্তরের বা প্রতিষ্ঠানের স্টিকার লাগিয়ে নিজের পরিচয় লুকিয়ে অপরাধ করে। এছাড়া, অনেকে আছেন যারা ভুয়া পরিচয় গাড়িতে লাগিয়ে রাস্তায় বাড়তি সুবিধা নিতে চান। আর এসব বিষয় গত কয়েক মাসে নজরে আসে বলেও তিনি জানান। মূলত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা চেক করে দেখছেন গাড়িতে লাগানো স্টিকারের সঙ্গে গাড়ির চালক কিংবা যাত্রীর পরিচয়পত্র মিল রয়েছে কিনা। আমরা মনে করি, অপরাধীরা ভুয়া স্টিকার ব্যবহার করে পুলিশ কিংবা সাংবাদিকসহ অন্যান্য দপ্তরের বা প্রতিষ্ঠানের স্টিকার লাগিয়ে নিজের পরিচয় লুকিয়ে অপরাধ করে থাকলে তা স্বাভাবিকভাবেই উৎকণ্ঠার- যা আমলে নেওয়ার বিকল্প নেই। অন্যদিকে, অপরাধীরা পার পেয়ে গেলে তারা আরো বেশি অপরাধপ্রবণ হয়ে উঠবে এমন আশঙ্কাও অমূলক নয়, ফলে সামগ্রিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে। সর্বোপরি আমরা বলতে চাই, ভুয়া স্টিকার লাগিয়ে রাস্তায় সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা কিংবা অপরাধমূলক ঘটনা ঘটাতে কেউ তৎপর হলে তা কঠোরভাবে দমন করতে হবে। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে এই অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপও নিশ্চিত করতে হবে। এমনটিও জানা যাচ্ছে, এবারের অভিযানের মাধ্যমে যানবাহনে স্টিকার লাগানোর বিষয়ে সচেতনও করা হচ্ছে। যাতে করে কোনো অপরাধী বা কোনো ব্যক্তি ভুয়া স্টিকার লাগিয়ে অপরাধ বা বাড়তি সুবিধা আদায় না করতে পারেন। এছাড়া এই অরাজকতা রোধ করার জন্য মাঠ পর্যায়ের ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন বলেও জানা যাচ্ছে- যা আশাব্যঞ্জক। সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ অব্যাহত থাকুক এমনটি আমাদের প্রত্যাশা।