পাঠক মত
'দাবদাহ মোকাবিলায় প্রয়োজন সচেতনতা বৃদ্ধি'
প্রকাশ | ০৪ মে ২০২৪, ০০:০০
মো. ফারদিন সিয়াম শিক্ষার্থী সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ঢাকা
নেই স্বস্তির বাতাস ও আভাস! চলছে গরমের দাবদাহ কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী, সর্বোপরি জনসাধারণের গরমের দাবদাহের তাপে অসহ্যে নাজেহাল। নিরুপায়হীন মানুষ গরমে অতিষ্ঠ হয়ে রাস্তার পাশের শরবত পান করে মেটাচ্ছেন তৃপ্তি। কেউবা সঙ্গে রাখছেন পানি। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মতে খুব ঠান্ডা পানি পান করা একেবারেই অনুচিত। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পানে শরীরে দেখা দিতে পারে গলাব্যথা, ঠান্ডা, সর্দি, হাঁচি-কাশি নানা রোগ। এই মুহূর্তের সচেতনতাই কার্যকরী প্রতিরোধ। তাছাড়া আমরা অজস্র অগনিতভাবে নির্বিচারে গাছ কেটে পরিবেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড় করাচ্ছি। পরিবেশবিদদের মতে শর্তসাপেক্ষে একটি গাছ কাটার বিপরীতে ৩টি গাছ রোপণ করতে হবে। গাছ প্রকৃতি প্রদত্ত সৃষ্টিকর্তার এক বিশেষ নিয়ামত। গাছ শুধু আমাদের ফুল-ফল, অক্সিজেন ও ছায়া দেয় না বরং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আমাদের অসচেতনতাই আমাদের বিপদমুখী করে। সমস্যার জন্য মানুষ আর মানুষের জন্যই সমাধান। বৃক্ষ রোপণের মতো মহৎ উদ্যোগ গড়ে উঠুক সবার মধ্যে। অভীষ্ট লক্ষ্য মাত্রা অর্জনে ও জলবায়ু মোকাবিলায় বৃক্ষ রোপণের বিকল্প নেই। গাছ লাগাব, পরিবেশ বাঁচাব। দাবদাহের প্রভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখতে হয়েছে। প্রায় সব অভিভাবক ও জনসাধারণ এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। দাবদাহের প্রভাব কমাতে প্রয়োজনে দিনে কয়েকবার গোসল করা যেতে পারে তবে মাত্রাতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। তাজা ফলমূল খেতে হবে এবং তরলজাতীয় খাবার, স্যালাইন পানি ইত্যাদি পান করতে হবে।
মো. ফারদিন সিয়াম
শিক্ষার্থী
সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ
ঢাকা