মে দিবস ও কিছু কথা
প্রকাশ | ০১ মে ২০২৪, ০০:০০
মোহাম্মদ নাদের হোসেন ভূঁইয়া
পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। দিনটিকে আমরা মে দিবস বলেও জানি। আন্তর্জাতিক শ্রমিক আন্দোলন ও শ্রম অধিকার আদায়ের এ দিনটি বছরের পর বছর ধরে বিশ্বব্যাপী যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে। শ্রমিকদের সম্মানে মে দিবস বা পহেলা মে-কে জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে পালন করে বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশ। কিন্তু যাদের নিয়ে এই দিবস তারা এই সম্পর্কে কতটা অবগত? অনেক শ্রমিক জানেনই না এর ইতিহাস। আসুন, আগে এর ইতিহাস সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোকপাত করা যাক।
উনিশ শতাব্দীর পূর্বে কারখানার শ্রমিকদের দৈনিক ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা কাজ করতে হতো। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তার চেয়েও বেশি। কিন্তু কাজ অনুপাতে পারিশ্রমিক ছিল খুবই কম, যা তাদের জীবনযাপনের জন্য যথাযথ ছিল না। একটা পর্যায় শ্রমিকপক্ষ ক্ষুব্ধ হতে থাকে- যা এক সময় আন্দোলনে রূপ নেয়। ১৮৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে একদল শ্রমিক মালিকপক্ষকে দৈনিক আট ঘণ্টা কর্মসময় নির্ধারণের দাবি জানায়। এ দাবি পূরণের সময় হিসেবে ১৮৮৬ সালের ০১ মে-কে নির্ধারণ করেন শ্রমিকরা। কিন্তু কারখানার মালিকরা শ্রমিকদের এ দাবি কানে তোলেননি। ফলাফলে ১৮৮৬ সালের ০৪ মে শিকাগোর হে মার্কেট নামক স্থানে ফের আন্দোলন গড়ে তোলেন শ্রমিকরা। এ সময় হে মার্কেট স্কয়ারে শ্রমিকপক্ষে বক্তব্য রাখেন আমেরিকান লেবার অ্যাক্টিভিস্ট অগাস্ট স্পিস। উদ্বেলিত শ্রমিকদলের কিছু দূরেই ছিল পুলিশ। এ সময় সবার অলক্ষ্যে হঠ?াৎ পুলিশের ওপর বোমা নিক্ষেপ হলে নিহত হন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। তাৎক্ষণিক এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশ আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর গুলিবর্ষণ করতে থাকে, পুলিশের গুলিতে নিহত হন প্রায় ১০ থেকে ১২ জন শ্রমিক। পুলিশের ওপর কে বা কারা বোমা হামলা করেছিল তা সঠিক জানা না গেলেও, পুলিশ হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ও আটক করা হয় অগাস্ট স্পিসসহ আরও আটজনকে। পরের বছর ১৮৮৭ সালের ১১ নভেম্বর অগাস্ট স্পিসসহ অভিযুক্ত ছ'জনকে ফাঁসি দেওয়া হয়। অভিযুক্ত বাকি দু'জনের একজন কারাবন্দি অবস্থায় আত্মহত্যা করেন ও অন্য একজনের ১৫ বছরের কারাদন্ড হয়।
এ ঘটনার দু'বছর পর ১৮৮৯ সালে প্যারিসে ফরাসি বিপস্নবের একশ' বছরপ?ূর্তিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক প্রথম কংগ্রেসে, শিকাগো শ্রমিক আন্দোলনের দিনটিকে ১৮৯০ সাল থেকে উদ্যাপনের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। পরের বছর অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় কংগ্রেসে প্রস্তাবনাটি আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়। যখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ শ্রমিক আন্দোলনের পক্ষে যুক্তি খুঁজে পাচ্ছিল ঠিক তখনই উন্মোচিত হয় শ্রমিক আন্দোলন ঘটনার এক মর্মান্তিক সত্য। প্রমাণিত হয় পুলিশের ওপর বোমা হামলার দায়ে শাস্তিপ্রাপ্ত অগাস্ট স্পিস ও বাকি সাতজন মূলত দায়ী ছিলেন না, তারা ছিলেন নির্দোষ। তবে আসল অপরাধীকে শনাক্ত করা যায়নি। যাহোক, ধীরে ধীরে বিশ্বের বিভিন্ন স্থ?ানে শ্রমিক অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়তে থাকে। ১৯০৪ সালে নেদারল্যান্ডের আমস্টারডামে অনুষ্ঠিত সমাজতন্ত্রীদের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের সময় নির্ধারণের দাবি আদায় এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্বব্যাপী মে মাসের প্রথম দিন মিছিল ও শোভাযাত্রার আয়োজন করতে সব সমাজবাদী গণতান্ত্রিক দল ও শ্রমিকসংঘের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এ আহ্বানের সাড়া হিসেবে বিশ্বের প্রায় সব শ্রমিক সংগঠন ০১ মে বাধ্যতামূলকভাবে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নেয়। অনেক দেশের শ্রমিকরা মে মাসের ০১ তারিখকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে পালনের দাবি জানায়। বিভিন্ন দেশে মে দিবস সরকারিভাবে ছুটির দিন হিসেবে উদ্যাপিত হতে থাকে। ধীরে ধীরে রাশিয়া, চীন, বাংলাদেশ ও ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এই দিনটির তাৎপর্য ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠা পায় শ্রমিকদের দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করার দাবি।
শ্রমিকদের অধিকার ও দাবির প্রতি সম্মান দেখিয়ে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে মে দিবস পালিত হয়। স্বাধীনতার পর মে দিবস রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে মহান মে দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে মে দিবসকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর থেকে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয় মে দিবস। এই দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য থাকে শ্রমিকদের তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা, যাতে করে তারা মে দিবসের প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্ক জানতে পারে এবং নিজ অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে আমরা মে দিবস উদ্যাপন করি সে উদ্দেশ্য কতটা সফল হয় তা নিয়ে প্রশ্ন আসতে থাকে। আসাটাও বেশ স্বাভাবিক।
মে দিবসের সকাল বেলার চিত্র। সব সরকারি, আধাসরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ। তবুও কিছু মানুষকে দেখা যায় রুটিরুজির সন্ধানে বেরিয়ে পড়েছে কাজে। কারণ একবেলা কাজ না করলে তার পরিবারকে কাটাতে হবে অনাহারে। কারো কারো আবার মেলেনি ছুটি। ছুটির দিনে কাজের জন্য জুটবে না বাড়তি অর্থ। ৮ ঘণ্টা কাজের কথা থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে অনিয়ম চোখে পড়ার মতো। কাজ করতে হচ্ছে ৮ ঘণ্টার অধিক। দেওয়া হচ্ছে না ওভারটাইম বা অতিরিক্ত সময়ের পয়সা। মে দিবস উদ্যাপন তো এই মানুষগুলোর কাছে একপ্রকার বিলাসিতা। আমরা দেখি বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পে সবচেয়ে বেশি শ্রমিক কর্মরত। প্রতিটি তৈরি পোশাক কারখানায় ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ হয় প্রতিদিন। আনুমানিক ৬৫ শতাংশের বেশি কারখানায় হয় রাত্রিকালীন কাজ (রাত ১২ ঘটিকা পর্যন্ত)। তারপরও শ্রমিকদের যদি বলা হয় আপনি ওভারটাইম করেন? অকপটে সে বলবে হঠাৎ বা জরুরি শিপমেন্ট থাকলে ওভারটাইম করতে হয়, অন্যথায় নয়। মিথ্যা না বললে হয়তো চাকরি হারাতে হবে। বাধ্য হয়ে তাকে মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়। কারো হয়তো মাসের অর্থনৈতিক চাহিদাও পূরণ হবে না। যার কারণে ওভারটাইম কাজ করতে শ্রমিকরা আগ্রহী থাকে। শুধু গার্মেন্টস শিল্প নয় অধিকাংশ শিল্প প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম চোখে পড়ার মতো। সম্প্রতি একজন বাস চালকের একটা সাক্ষাৎকার দেখলাম। তিনি দিনে প্রায় ১৬-১৮ ঘণ্টা বাস চালান। এই ক্ষেত্রে মালিক পক্ষের জোর পূর্বক নয় অনেকটা নিজের তাগিদে অর্থের লোভে পড়ে ওভারটাইম কাজ করছে তারা। কিন্তু মালিক পক্ষের নেই কোনো তদারকি। মালিক পক্ষ নির্ধারণ করে দিয়েছে যত টিপ আনা-নেওয়া করতে পারবে তত বেশি মজুরি। তাই তারা অতিরিক্ত সময় কাজ করতে আগ্রহী।
বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন, ২০১৯ ইপিজেডস্থ বা জোনস্থ শিল্প প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক নিয়োগ, মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে সম্পর্ক, সর্বনিম্ন মজুরির হার নির্ধারণ, মজুরি পরিশোধ, কার্যকালে দুর্ঘটনাজনিত কারণে শ্রমিকের জখমের জন্য ক্ষতিপূরণ, শ্রমিকের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়ে বিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে এবং শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠন এবং ইপিজেড শ্রমিক কল্যাণ সমিতি ও শিল্প সম্পর্ক বিষয়ক বিদ্যমান আইন প্রণয়ন করেন। এত সব আইন থাকার পরেও করোনা মহামারিতে অসংখ্য শ্রমিক হারিয়েছে তার আয়ের প্রধান উৎস। অফিসে (ফরমাল সেক্টর) চাকরি করেন এমন ১৩ ভাগ মানুষ করোনায় এ পর্যন্ত কাজ হারিয়েছেন। চাকরি আছে কিন্তু বেতন নেই এমন মানুষের সংখ্যা আরও বেশি। আর ২৫ ভাগ চাকরিজীবীর বেতন কমে গেছে।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিআইডিএস-এর এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের হিসেবে করোনার মধ্যে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১০ হাজার পোশাক শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন। বিদেশি তো প্রবাসীদের অবস্থা আরও গুরুতর। ডবিস্নউইএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী করোনা ভাইরাসের কারণে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিরা কাজ হারাচ্ছে, ফিরে আসতে বাধ্য হওয়ার কারণে প্রবাসী আয়ে ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে। শ্রমিক বৈষম্যর অবস্থা আরও ভয়ানক। খুব সম্প্রতি ইংলিশ পত্রিকা গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন পড়ে খুব অবাক করার মতো। প্রতিবেদনে বলা হয় ১০ বছর আগে বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পায় কাতার। তার জন্য সে দেশে তৈরি করা হচ্ছে নতুন নতুন অত্যাধুনিক স্টেডিয়াম, যা প্রস্তুতিতে সেখানে সাড়ে ৬ হাজারের বেশি দক্ষিণ এশিয়ান শ্রমিকের মৃতু্য হয়েছে। বিশ্বকাপ আয়োজনের গৌরব অর্জনের পর থেকে কাতারে প্রতি সপ্তাহে গড়ে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলংকার ১২ জনের মৃতু্য হয়েছে।
গার্ডিয়ানের নির্ভরযোগ্য সূত্র ও দেশগুলোর সরকারি হিসাবই বলছে, পাকিস্তান বাদে ৪টি দেশে ২০১১ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ৫ হাজার ৯২৭ জন প্রবাসী শ্রমিকের মৃতু্য হয়েছে। এর মধ্যে মৃত বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা ১ হাজার ১৮। কাতারে পাকিস্তানের দূতাবাস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ সময়ে ৮২৪ জন পাকিস্তানি শ্রমিক মারা গেছেন মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশে। অবাক করার বিষয় হলো গত ১০ বছরে যত মৃতু্য হয়েছে, তার অধিকাংশকেই স্বাভাবিক মৃতু্য বলে দাবি করেছে কাতার। গার্ডিয়ান যে তথ্য পেয়েছে, সে অনুযায়ী বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের যতজন মারা গেছেন, তার ৬৯ ভাগকে স্বাভাবিক মৃতু্য বলা হয়েছে। ১২ ভাগের মৃতু্য সড়ক দুর্ঘটনায়। শুধু ৭ ভাগের মৃতু্যর সঙ্গে কাজের পরিবেশ জড়িত। আর ৭ ভাগ কর্মী আত্মহত্যা করেছেন। ভারতীয়দের ক্ষেত্রে ৮০ ভাগই নাকি স্বাভাবিক মৃতু্য। গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই লাশের ময়নাতদন্ত করতে দেওয়া হয় না। তথ্য ও প্রযুক্তিনির্ভর এই যুগে আসে এই সব মৃতু্য অস্বাভাবিক কিনা এমন প্রশ্নটা সামনে আসা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তাছাড়া, বাংলাদেশেও রানা পস্নাজাসহ অনেক দুর্ঘটনায় অসংখ্য শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছে। সেই সঙ্গে হারিয়েছে বহু আশা, স্বপ্ন। অনেক পরিবার হারিয়েছে তাদের প্রধান উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। সামান্য ক্ষতিপূরণে তাদের সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। অনেক সময় সরকার যথাযথ উদ্যোগ নিলেও মালিক-শ্রমিক সমন্বয়হীনতায় বৃথা যায় সব। এতেই বুঝা যাচ্ছে বিশ্বজুড়ে শ্রমিকদের অবস্থান কতটা শোচনীয়। এখনই সময় এসেছে সব শ্রমজীবীদের এগিয়ে আসার। মে দিবস পালনই মুখ্য উদ্দেশ্য নয়। মুখ্য উদ্দেশ্য হোক শ্রমিকদের অধিকার আদায়, শ্রমিকের নিরাপত্তা। ৮ ঘণ্টার অধিক কাজ নয়। এর বেশি কাজ করলে ওভারটাইম বা অতিরিক্ত সময়ের মজুরি দিতে হবে। ওভারটাইমের একটা নির্দিষ্ট সময় থাকা প্রয়োজন। যাতে করে একটা শ্রমিক তার শরীরের সহনীয় পর্যায় পর্যন্ত কাজ করতে পারে। বাংলাদেশে অসংখ্য শ্রমিক সংগঠন রয়েছে। যাদের যথাযথ প্রয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে তারা শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করতে পারে। শ্রমিকদের সব দাবি মালিক পক্ষ বা সরকারের কাছে তুলে ধরতে পারে। তাতে করে শ্রমিক এবং মালিক পক্ষের দূরত্ব অনেকখানি লাঘব হবে। শ্রম আইনগুলো কঠোরতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করতে হবে। সেই সঙ্গে তৈরি করতে হবে শ্রমিকবান্ধব অইন- যা শ্রমিকদের স্বার্থে কথা বলবে। ফলে গড়ে উঠবে একটি বৈষম্যহীন শ্রমিকসংঘ এবং এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ অর্থনীতি।
মোহাম্মদ নাদের হোসেন ভূঁইয়া : নবীন কলাম লেখক