বাংলাদেশে ঈদ ও নববর্ষের ছুটি কাটাতে যখন সবাই ব্যস্ত তখন একটা ঘটনা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করল। আর তা হলো ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলে ইসলামী দেশ ইরানের নজিরবিহীন আক্রমণ। পক্ষকাল আগে এই হামলার কারণ ঘটিয়েছিল ইসরাইলই। আর তা ছিল সিরিয়ার কূটনৈতিক এলাকায় ইরানি কনসু্যলেট অফিসে হামলা। গত ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানি কনসু্যলেটে হামলা চালিয়ে দুই শীর্ষ কমান্ডারসহ সাতজনকে হত্যা করে ইসরাইল। আর এর বদলা নিতে তিন শতাধিক ড্রোন, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। সিরিয়ায় হামলার পর পরই ইরান পাল্টা হামলার কথা বলছিল। আর তা নিয়ে ছিল টান টান উত্তেজনা। সেটাই ঘটলো শনিবার ভোররাতে। বিশ্ব তা টিভিতে দেখতে পেল ভোর বেলা। ইসরাইল বলতে চাইছে তারা এ হামলা প্রতিহত করেছে। ইসরাইল দাবি করেছে, এসব প্রজেক্টাইলের ৯৯ ভাগই ভূপাতিত করা হয়েছে। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে ৩ শতাধিক মিসাইল ও ড্রোন হামলা চালানো হলেও অন্তত ৯টি ইসরাইলি লক্ষ্য বস্তুতে আঘাত হেনেছে। সবচেয়ে বড় কথা, ইরানের এই হামলায় ইসরাইলের এত দিনের অহমিকা ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। রাষ্ট্র হিসেবে ছোট হলেও ইসরাইল মার্কিন ও ব্রিটিশ প্রভাব বলয়ে থেকে বিপুল রণশক্তি অর্জন করেছে। হয়ে উঠেছে পরমাণু শক্তিধর দেশ। এবার তাতে আঁচড় লাগল। এত দিন যা ছিল কল্পনার অতীত তা চাক্ষুষ করল সবাই। ইরান হামলা করবে অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য ছিল। শেষ পর্যন্ত তা হলো। আমেরিকার প্রভাবশালী পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, ইসরাইলের ওপর ইরানের নজিরবিহীন হামলায় ইহুদিবাদী দেশটির বিশ্বাসকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এ হামলা তেল আবিবের দীর্ঘকালের হিসাব নিকাশ উল্টে দিয়েছে। সোমবার পত্রিকাটি এক বিশ্লেষণে লিখেছে, বছরের পর বছর ধরে ইসরাইলি কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে ও ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় বলে আসছিলেন যে ইরানকে যত বেশি আঘাত করা হবে ততই তার যুদ্ধক্ষমতা কমবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। শনিবার একযোগে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত ছিল ইসরাইলের উপর ইরানের প্রথম সরাসরি আক্রমণ। এই হামলা ইসরাইলি যুক্তিকে উল্টে দিয়েছে। সিরিয়ায় হামলার ফল ছিল এটি। বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে বোঝা যাচ্ছে ইরানের নেতারা আর তাদের প্রক্সি সিরিয়ার ইসলামী শক্তি, লেবাননের হিজবুলস্নাহ, ইয়েমেনে হুতিদের মাধ্যমে ইসরাইলে হামলা করে সন্তুষ্ট থাকছে না। বরং তারা সরাসরি ইসরাইলের উপর হামলা চালাতে, সরাসরি লড়াই করতে প্রস্তুত। ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাবেক গবেষণা প্রধান সিমা শাইন বলেছেন, আম মনে করি, আমরা ভুল হিসাবনিকাশ করেছি। ইসরাইল এত দিন মনে করত ইরানের প্রতিশোধ নেওয়ার শক্তি নেই। ইসরাইলি নেতাদের বিশ্বাস ছিল ইরান যুদ্ধে জড়াবে না। কিন্তু ইরান এখন সম্পূর্ণ নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। মার্কিন পত্রিকাটি বলছে, ইরানের হামলায় তেমন ক্ষতি হয়নি কারণ তারা আগে ভাগেই জেনে গিয়েছিল হামলার কথা। ফলে তারা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল। আর মিত্ররাও অনেক সময় পায় কিছু করার। যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে না এলে ইসরাইলের ক্ষতি অনেক বেশি হতো। এর আগে ইসরাইল ইরানের ভেতরে ঢুকে ইরানিদের হত্যা করেছে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে। ইসরাইলি নেতারা বারবার বলেছেন, ইরানের উপর বৃহত্তর চাপ তেহরানকে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে তার উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রত্যাহারে বাধ্য করবে। ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট জানুয়ারিতে বলেছিলেন, ইরানের উপর চাপ বৃদ্ধি গুরুত্বপূণ', এটি অন্যান্য ক্ষেত্রে আঞ্চলিক উত্তেজনা রোধ করতে সাহায্য করবে। তবে এই ধারণাটা ভুল ছিল। দামেস্কে দূতাবাসে হামলা সরাসরি ইসরাইলি সার্বভৌম ভূখন্ডে প্রথম ইরানি হামলা ডেকে এনেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, আগে ইসরাইল ইরানের সিনিয়র কর্মকর্তাদের হত্যা করলেও দেশটি তেমন প্রতিক্রিয়া দিত না। এর ফলে, ইরানকে আন্ডার এস্টিমেট করেছে ইসরাইল। ইসরাইলি নেতারা ভয়ে আছেন, ইরান এক দিন ঠিকই ইসরাইলে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করবে। এদিকে ভিন্ন ভিন্ন অভিমতও এসেছে। ব্রাসেলসের গবেষণা সংস্থা ইন্টান্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রম্নপেরে বিশ্লেষক মি. ভাইজ বলেছেন, গত ১০ দিনে আমি ইরানি সরকারের ওপর যে মাত্রায় চাপ দেখেছি তা আগে কখনো দেখিনি। হিজবুলস্নাহর মতো প্রক্সিদের ইরান এই সুযোগে দেখিয়ে দিল যে তারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। ইসরাইল নীতি বিষয়ক ইসরাইলি গবেষক বিশ্লেষক মাইকেল কপলো বলেছেন, ইসরাইলকে হামলার প্রস্তুতির জন্য ইরানের এত সময় দেওয়ার কারণ হলো, তেহরান বড় ধরনের সংঘাত এড়াতে চেষ্টা করেছে। মার্কিন পত্রিকাটির বিশ্লেষণে যেটা বের হয়ে এসেছে তা হলো আমেরিকা নিজেকে সুউচ্চ অবস্থানে স্থাপন করার পাশাপাশি তার ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরাইলকেও সম অবস্থানেই এত দিন ভেবে এসেছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে অবস্থানের বদল হয়েছে। সেটাই আশ্চর্যের কথা। ইরান তেল আবিবকে লক্ষ্য বস্তু করতে পারল, হামলা করল এবং তাদের এত দিনের হায়ারিটি ধুলায় লুটিয়ে পড়ল। এটা মার্কিন পত্রিকাটির ভালো লাগার কথা নয়। এই হামলায় ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য মিলেছে। যুদ্ধে এমনটাই হওয়ার কথা। বাস্তব সত্যটা নিরপেক্ষ সূত্র থেকে জানতে হবে। এখন জানা যাচ্ছে, ইরান ইসরাইলের বিরুদ্ধে যে পাল্টা হামলা চালিয়েছে তাতে অন্তত নয়টি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইল প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং এগুলো দুটি বিমান ঘাঁটিতে আঘাত হানে। ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ওই দুটি বিমান ঘাঁটি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমেরিকার একজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল এবিসি নিউজকে একথা জানিয়েছেন। নিউইয়র্কভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেলটি জানায়, পাঁচটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের নেভাতিম বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানে এবং এতে ইসরাইলের একটি সি-১৩০ পরিবহন বিমান ধ্বংস হয়। মার্কিন ওই কর্মকর্তা জানান, আরো চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের নেগেভ বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানে- তবে তাতে বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করেন তিনি। শনিবার দিবাগত রাতে ইরান কয়েকশ' ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা চালায়। গত ১ এপ্রিল ইসরাইল সিরিয়ায় ইরানি কনসুলেট ভবনে হামলা চালিয়ে ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এর প্রতিশোধ হিসেবে ইরান শনিবার রাতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামলা চালায়। ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ জানিয়েছে, দেশের সামরিক বাহিনী ইসরাইলের বিমান, গোয়েন্দা ও সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। তবে অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান ও অবকাঠামোর ওপর হামলা থেকে বিরত থেকেছে। এই হামলার পর বিশ্বব্যাপী ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া হয়েছে। ইসরাইল গাজায় ক্রমাগতভাবে যুদ্ধাপরাধ করেই যাচ্ছিল। ইতোমধ্যে সেখানে ৩৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ফলে, আরব বিশ্বসহ ইসরাইলি আগ্রাসন যারা চায় না সেসব দেশে ইসরাইলে ইরানি হামলায় একটি খুশির আবহ দেখা গেছে। দুর্দমনীয় ইসরাইলকে এক ঘা দেওয়া গেছে এটা হতে পারে আনন্দের কারণ। আর ইসরাইলের পক্ষের পশ্চিমা শক্তি নিন্দা জানিয়েছে সে কথা বলাই বাহুল্য। তবে, নিরপেক্ষ দেশগুলো ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ হোক তা চাইলেও একটা ফুল ফ্লেজেড ওয়ার তারা চাইছে না। যুদ্ধ সবার জন্য অমঙ্গল ডেকে আনে এটা সবাই বোঝে। জাতিসংঘ মহাসচিব উভয়পক্ষকে সংযত হতে আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এটাকে আর বাড়তে দেওয়া উচিত হবে না। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, এখন কি হবে? ইসরাইল পাল্টা ব্যবস্থা নেবে? নিলে কি হবে? আমেরিকা তাকে সমর্থন দেবে তো? এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা এখন জরুরি। তাদের ওয়ার পাওয়ার কতখানি সেটাও বিবেচ্য। সে হিসেবটা দেওয়া যাক। দু'দেশের জনসংখ্যার মধ্যে একটি বিশাল ফারাক থাকলেও সমর শক্তি মোটামুটি কাছাকাছি। ইরানের জনসংখ্যা ৮ কোটি ৩০ লাখ, এটি জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের ১৭তম দেশ। ইসরাইল ৯৪ লাখ লোকের দেশ এবং জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের ৯৯তম দেশ। ইরানের নিয়মিত সেনা আছে ১১ লাখ ৮০ হাজার আর ইসরাইলের নিয়মিত সৈন্য ৬ লাখ ৭০ হাজার। ইরানের রিজার্ভ সৈন্যসংখ্যা সাড়ে তিন লাখ আর ইসরাইলের রিজার্ভ সেনা আছে ৪ লাখ ৬৫ হাজার। ইরানের মোট সামরিক বিমানের সংখ্যা ৫৫১টি আর ইসরাইলের আছে ৬১২টি। ইরানের যুদ্ধ বিমান আছে ১৮৬টি আর ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান আছে ২৪১টি। বিশ্বের একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল সম্পদের দিক থেকে ধনী হলেও দেশটি সমগ্র বিশ্বের স্বীকৃত কোন দেশ নয়। বলা যায়, একটি কৃত্রিম রাষ্ট্র। ইরান মার্কিন বলয় থেকে বের হয়ে ইসলামী দেশে রূপান্তরিত হয়ে মার্কিন ও পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলা করে টিকে আছে। ইসরাইল পাল্টা হামলার হুমকি দিলেও তড়িঘড়ি কিছু করছে না বলেই মনে হচ্ছে। ইসরাইলের সামরিক প্রধান সোমবার জানিয়েছেন, শনিবারের ইরানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব তার দেশ দেবে। বিভিন্ন দেশ সংযত থাকার আহ্বানের মধ্যেই ইসরাইলি সামরিক প্রধান ওই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর প্রধান লে. জেনারেল হারজি হ্যালেভি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, শনিবারের ইরানি হামলার জবাব অবশ্যই দেওয়া হবে। তিনি ইরানি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত নেভাতিম বিমানঘাঁটি পরিদর্শনকালে এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ইরান চেয়েছিল ইসরাইল রাষ্ট্রের কৌশলগত সক্ষমতার ক্ষতি করতে। এমন কিছু তারা আগে কখনো করতে পারেনি। আমরা 'আয়রন শিল্ড' অভিযানের জন্য প্রস্তুত ছিলাম। এদিকে ইরানের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল আব্দুর রহিম মুসাভি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, তার দেশের বিরুদ্ধে যে কোনো ধরনের আগ্রাসনের 'ঝঞ্ঝাক্ষুব্ধ ও সমন্বিত' জবাব দেওয়া হবে। তিনি সোমবার ইরানের জাতীয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। জেনারেল মুসাভি বলেন, ইরানের সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনী এ দেশের জন্য একটি মহাপ্রতিরক্ষা বলয় গড়ে তুলেছে। ইরান গোটা বিশ্বের কাছে এ বার্তা পাঠিয়েছে যে, এ দেশের জাতীয় স্বার্থ, সীমান্ত ও নিরাপত্তা বিপন্ন হলে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী 'ঝঞ্ঝাক্ষুব্ধ ও সমন্বিত' জবাব দেবে। ইরানের এই শীর্ষ কমান্ডার বলেন, দামেস্কের ইরানি কূটনৈতিক মিশনে দখলদার ইহুদিবাদীদের আগ্রাসনের যে কঠোর জবাব তেহরান দিয়েছে তাতে বিশ্বের সব নির্যাতিত জাতি বিশেষ করে ফিলিস্তিনি জনগণ আনন্দিত হয়েছে। জেনারেল মুসাভি বলেন, ইরান 'সত্য প্রতিশ্রম্নতি অভিযান' নামক যে পাল্টা আঘাত হেনেছে, তাতে ইরানের সামরিক সক্ষমতার ক্ষুদ্র একটি অংশ প্রদর্শিত হয়েছে। ইরানের হামলার পর দেশটির ভাষায় 'ইসরাইলের সব অপকর্মের প্রধান সহযোগী' আমেরিকা তেল আবিবকে ইরানের বিরুদ্ধে আবার কোনো হামলা না চালানোর আহ্বান জানিয়েছে। ইসরাইল ইরানি পরমাণু স্থাপনাগুলোতে হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ পরমাণু নজরদারি সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রসি। আইএইএ মহাপরিচালক গ্রসি ইরানি পরমাণু স্থাপনাগুলোতে ইসরাইলের হামলার সম্ভাবনার ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, 'আমরা সব সময় এই সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন।' তিনি 'সর্বোচ্চ সংযম' প্রদর্শনের আহ্বান জানান। বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা হিসাব-নিকাশের মধ্য দিয়ে দুটি দেশের প্রতিক্রিয়া নির্ভর করবে। আর আগামী দিনগুলোতে তা স্পষ্ট হবে। বিশ্বকে কোনো যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়া কারো জন্যই শুভ হবে না- এটা অনেকেই মনে করেন। আহমদ মতিউর রহমান : প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক