থেমে নেই অগ্নিকান্ডের ঘটনা। এবার চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গি বাজারের টেকপাড়া বস্তি ও লাগোয়া এয়াকুব নগর বস্তিতে আগুন গেলে পুড়ে গেছে প্রায় দুইশ' ঘর। সোমবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে ওই বস্তিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে নন্দনকানন, লামারবাজার, চন্দনপুরা ও আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের নয়টি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফিরিঙ্গি বাজারের মেরিনার্স রোডসংলগ্ন টেকপাড়া বস্তিতে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হলো, তা জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। আগুন লাগার পর দূর থেকেও কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা যাচ্ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। বস্তির বেশিরভাগ টিনশেড ঘরই পুড়ে গেছে। স্থানীয়রা জানায়, বস্তির এসব ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার ছিল, তবে আগুন লাগার পর তাৎক্ষণিকভাবে সেগুলো বের করে ফেলা সম্ভব হয়। আগুনে কারো আহত হওয়ার তথ্য মেলেনি। বৈদু্যতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে বলে স্থানীয়দের ধারণা।
কিছুদিন আগে রাজধানীর বেইলি রোডে ঘটেছে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা। বহুতল একটি ভবনে অগ্নিকান্ডে নিহত হয়েছে অর্ধ শতাধিক মানুষ। অগ্নিকান্ডের মতো ঘটনা কতটা ভয়াবহ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যখন একের পর এক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে, তখন তা আমলে নেওয়ারও কোনো বিকল্প থাকতে পারে না।
এর আগেও রাজধানী ঢাকায় বিভিন্ন সময়ে হৃদয়বিদারক এবং ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামেও। সঙ্গত কারণেই সামগ্রিকভাবে অগ্নিকান্ডের মতো ভয়াবহ ঘটনাগুলো আমলে নিতে হবে এবং পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সব ধরনের উদ্যোগ নিতে হবে। যদি একের পর এক আগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটতে থাকে, তবে তা জননিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
বিভিন্ন সময়ে সারাদেশে যে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে তাতে দেখা যাচ্ছে শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়, অনেক মানুষ চলে গেছে না ফেরার দেশে।
যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। গত কয়েক বছরে শুধু কেমিক্যালের কারণে অনেকগুলো অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। বস্তিতেও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বেশ কটি। এবারও ঘটলো চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গি বাজারে টেকপাড়া বস্তি ও লাগোয়া এয়াকুব নগর বস্তিতে।
কেমিক্যাল গোডাউন, আধুনিক বহুতল, শপিংমলসহ বিভিন্ন ধরনের স্থাপনায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বেশ কয়েক বার। দেশের বস্তি থেকে শুরু করে আবাসিক ও বাণিজ্যিক বহুতল ভবন, দোকানপাট, গুদাম, মার্কেট কোনো কিছুই আগুনের গ্রাস থেকে মুক্ত নয়। অগ্নিকান্ডের পুনরাবৃত্তি রোধ করা যাচ্ছে না কেন, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অতীতে ঘটে যাওয়া বড় বড় অগ্নিদুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা গ্রহণ ও সতর্ক না হওয়ায় অগ্নিদুর্ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমরা মনে করি, এই বিষয়গুলোকে আমলে নিতে হবে। নিতে হবে কার্যকর পদক্ষেপ এবং এর কোনো বিকল্প নেই।