সারা দেশে সরকারি হিসাব মতে, ২০২৩ সালে ৩ লাখ ২১ হাজারেরও বেশি ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে মৃতু্য হয়েছে রেকর্ড ১ হাজার ৭০৫ জনের। চলতি বছরের শুরু থেকে মার্চ পর্যন্ত এক জরিপে দেখা যায়, সারা দেশে হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৬০০ জনের বেশি। আর মৃতু্য হয়েছে অন্তত ২২ জনের।
কীটতত্ত্ববিদদের তথ্য মতে, ২০২৩ সালের তুলনায় রাজধানীতে মশার ঘনত্ব বেড়েছে দ্বিগুণের চেয়েও বেশি। এত এত হিসাবের সমীকরণ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, আবারও চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু। ২০০০ সালে দেশে প্রথম ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা গিয়েছিল। সে বছর মারা যায় ৯৩ জন ডেঙ্গু রোগী। ২০১৮ সালে সারা দেশে ১০ হাজার ১৪৮ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০১৯ সালে সবচেয়ে বেশি ১৭৯ জনের মৃতু্যর তথ্য সামনে আসে। সেবারে আক্রান্ত হয়েছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন মানুষ।
করোনা মহামারি শুরুর বছরে আক্রান্ত এবং মৃতু্যর হার কমেছিল অনেকটাই। যদিও বলা হয়, সে সময় তথ্য-উপাত্তের কমতির কারণেই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কম দেখা যায়। পরের বছর ২০২১ সালে ১০৫ জন এবং ২০২২ সালে মৃতু্য হয়েছিল ২৮১ জন ডেঙ্গু রোগীর। ২০২৩ সালে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। আর মৃতু্য হয়েছিল ১ হাজার ৭০৫ জনের। যা অতীতের সব রেকর্ড অপেক্ষা সর্বোচ্চ মৃতু্য। সেবার অর্থাৎ ২০২৩ সালে সরকারি হিসাব মতে, ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় মৃতু্য হয় ৯৮০ জনের। আর সারা দেশের হিসাবে পা দাঁড়ায় ৭২৫ জনের।
২০২৩ সালে শুধু মশার কামড়ে এত মানুষের মৃতু্যর পর এ বছরে মশার আনাগোনা দেখতে চালানো হয় গবেষণা। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত রাজধানী এবং এর আশেপাশে ১২টি ফাঁদে মশা ধরে গবেষণা চালায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। জরিপে দেখা যায়, প্রতিমাসের ব্যবধানে মশা বেড়েছে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে ফাঁদপ্রতি গড়ে যেখানে মশা ধরা পড়েছে ২০০টি, ডিসেম্বরে সেটি হয়েছে ২২৩টি। আর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ৩০০টি আর ফেব্রম্নয়ারিতে যেটি পৌঁছেছে ৩৮৮টিতে। আর মার্চের প্রথম ১১দিনে সেটি ছাড়িয়েছে ৪৮০টি। যেখানে দেখা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটির তুলনায় মশা বেড়েছে ঢাকা উত্তর সিটি এলাকায়। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উত্তরে আর দক্ষিণখানে। যেখানে ফাঁদপ্রতি ধরা পড়েছে ৬০০টির বেশি মশা।
আমরা জানুয়ারি মাসেই বলেছিলাম যে, মার্চ মাসে মশার ঘনত্ব বেশ চরমে পৌঁছাবে। যেখানে ডোবা, নালা, জলাশয় বেশি আছে, সেই জায়গাগুলোতেই বেশি। ১৭ নম্বর সেক্টরের আশপাশে যেগুলো আছে, মিরপুর ডিএসএসের পেছনে একটা খাল আছে, উত্তরাতে অনেকগুলো লেক আছে। যেগুলো এখন কচুরিপানায় পরিপূর্ণ এখন। এই জায়গাগুলোতে এখন প্রচুর মশার ঘনত্ব দেখছি আমরা। দক্ষিণখানের দিকেও ডোবা-নালা আছে। শ্যামপুরেও কিছু ডোবা-নালা আছে। এই ডোবা-নালা যেখানে আছে, যেখানে কচুরিপানা পরিপূর্ণ ডোবা-নালা আছে বা ময়লাযুক্ত ডোবা-নালা আছে সেখানেই মশার ঘনত্ব বেশি।
ফাঁদে পড়া মশার বেশির ভাগ গোদ রোগের বাহক তাদের গবেষণায় ওঠে আসে এবং ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশার তথ্যও। কীটপতঙ্গ নিয়ে কাজ করা এই গবেষক জানান, রাজধানীসহ দেশের বেশ কিছু জায়গায় এডিস মশার যে ঘনত্ব তারা পেয়েছে তা গত বছরের হিসাবে এই বছরের জন্য বেশ উদ্বেগের।
আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, এ বছর কিছু কিছু জেলাতে অনেক বেশি ডেঙ্গু হবে। অন্যান্য বছরের তুলনায় আমরা দেশের কয়েকটি জায়গাকে মশার ঘনত্ব নির্ণয়ে চিহ্নিত করি। মশার ঘনত্বের গবেষণায় ওঠে আসে- চট্টগ্রাম, বরিশাল, বরগুনা, চাঁদপুর, মানিকগঞ্জ ও নরসিংদী জেলা। এসব জেলাতে এখন যেখানে বৃষ্টিপাত নেই, সেখানে এখনই বেশ ভালো মাত্রায় এডিস মশার উপদ্রব দেখছি। যখনই বৃষ্টিপাত হবে এসব জায়গাতে বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন পাত্রে পানি জমা হবে। এডিস মশার প্রজনন আরও বেড়ে যাবে। বৃষ্টি মৌসুমে বা বর্ষা মৌসুমে এসব জেলায় নিশ্চিতভাবে বলতে পারি ডেঙ্গু বেড়ে যাবে। ড. কবিরুল বাশারের গবেষণা এবং তার সতর্কতা কতটুকু আমলে নিয়েছিল সংশ্লিষ্ট মশক নিধন কর্তৃপক্ষ?
ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা অনুসন্ধানের চিত্রে ওঠে আসে প্রতিটি সড়কেই বেহাল অবস্থা। রাস্তার পাশেই ড্রেন আর মূল সড়কেই জমে আছে পানি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, কয়েক সপ্তাহ আগের বৃষ্টির পানি এখনো নামেনি মূল সড়ক থেকে। সড়কের কোথাও কোথাও হাঁটু সমান ঝোপঝাড় আর ছোট নালায় জমে আছে পানি। কাছ থেকে দেখা যায়, প্রতিটি জমাট বাঁধা পানি যেন মশার আশ্রয়স্থল। বাসাবাড়ি, ঝোপঝাড় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে চায়ের দোকান সর্বত্র যেন মশার আনাগোনা। বিকাল হলেই ঘিরে ধরে মশা। দিনেও নাকি মশারি টাঙিয়ে থাকতে হয় এসব এলাকার বাসিন্দাদের। তাদের অভিযোগ- কয়েক মাসের মধ্যেও মশা মারার কোনো উদ্যোগ তাদের চোখে পড়েনি।
রাজধানীর উত্তরা দিকের অনুসন্ধানের চিত্রে উঠে আসে
দক্ষিণখানের চেয়েও ভয়াবহ চিত্র উত্তরাজুড়ে। খোদ বিআরটিএ ভবনের সামনে পিচঢালা সড়কের পাশে জমে আছে পানি। সেখানেও আবাসস্থল গড়েছে মশা। আর ড্রেনের কথা না বললেই নয়। প্রতিটি ড্রেনের অবস্থা দেখেই বুঝা যায়, অন্তত কয়েক মাস পরিষ্কার করা হয় না ড্রেনগুলো।
জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞদের মতে- নিয়মিত আচরণ পরিবর্তন করছে ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশা। এদিকে এখন ময়লা, ডোবা-নালা, নোংরা জলাবদ্ধ পানিতেও ডিম পাড়ছে এডিস মশা। সেই সঙ্গে পরিবর্তন হচ্ছে ডেঙ্গু রোগের ধরনও। একবার আক্রান্ত হওয়ার পর দ্বিতীয় বার, তৃতীয় বার ফের ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হলে বাড়ে রোগের তীব্রতা। এতে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে বাড়তে পারে মৃতু্যর ঝুঁকি।
এছাড়া বর্তমানে মশা মারতে যে ওষুধ ছিটানো হয়, তা যথেষ্ট কার্যকর নয়। এছাড়া একই কীটনাশক বারবার ব্যবহারের ফলে মশা এতে অভ্যস্ত হয়ে যায়। বাড়ে তাদের বেঁচে থাকার সামর্থ্য। যেহেতু ডেঙ্গু মৌসুমি রোগের মধ্যে পড়ে না। তাছাড়া পরিবর্তন হয়েছে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণও। তাই ভাইরাস, মশা আর চিকিৎসা ব্যবস্থার পরিবর্তন দরকার বলে মত প্রকাশ করেন এই চিকিৎসক। সেই সঙ্গে দরকার বছরব্যাপী গবেষণা। আর চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণ।
দেশের অন্যতম বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরের এক সাক্ষাৎকারে ডা. লেনিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ডেঙ্গু মৌসুমি রোগ থেকে কিন্তু বার্ষিক রোগে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে এটির আগে যে লক্ষণগুলো ছিল তাতেও বেশ পরিবর্তন এসেছে এবং এডিস মশার জন্ম ও উৎপন্ন হওয়ার জায়গাও কিন্তু পরিবর্তন এসেছে। ইতোমধ্যেই আমরা দেখেছি, ময়লা পানিতে, ড্রেনের পানিতেও এডিস মশা জন্মাচ্ছে। শুধু তাই নয়, দিনে-রাতে সারাক্ষণই কামড়াচ্ছে। সব মিলে একদিকে যেমন রোগের কারণে পরিবর্তন এসেছে, অন্যদিকে মশার আচরণেও পরিবর্তন এসেছে।
প্রথমবারের চেয়ে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত ডেঙ্গু রোগীর অবস্থা হচ্ছে, রোগের তীব্রতা বাড়ে, তৃতীয়বার আরও বেড়ে যায়। ফলে এবার যাদের ডেঙ্গু হবে, তারা প্রধানত তৃতীয়বার অন্তত দ্বিতীয়বার। ফলে মৃতু্যঝুঁকি বেড়ে যাবে। ভাইরাসের পরিবর্তন, এডিস মশার পরিবর্তন এবং রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসায় পরিবর্তন। এই তিনটি জায়গায় গবেষণা নিরন্তর চালানো দরকার। তা না হলে কিন্তু ডেঙ্গুর আগত যে ভেরিয়েন্টের কথা আমরা বলছি তাকে মোকাবিলা করা বা তার বিরুদ্ধে লড়াই করা কঠিন হবে।
গত বছর ১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মৃতু্য ঘটিয়ে ডেঙ্গু এখন আতঙ্কের নাম। গতবারের আক্রান্ত এবং মৃতু্যর গতি সংখ্যা দেখে বুঝা যায়, সারা বছরই বহু মানুষ এডিস মশার কামড়ে আক্রান্ত হচ্ছে ডেঙ্গুজ্বরে। তবে সামনে বর্ষা মৌসুম, ডেঙ্গুর বিগ সিজনকে সামনে রেখে মশা প্রতিরোধে দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে বৈঠক বসেন নতুন দায়িত্ব পাওয়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বৈঠকে সবচেয়ে বেশি যেখানে মশার রাজত্ব, সেই উত্তর সিটির মেয়র জানালেন, বিভিন্ন সংস্থার অসহযোগিতায় গতি আসছে না মশা নিধনে। তিনি আরও জানান, সচেতনতা বৃদ্ধিসহ তার নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা।
২০২৩ সালে ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রাণহানির তথ্যের পর আবারও আসছে ডেঙ্গুর মৌসুম। তাই বাড়তি সতর্কতার কথা জানান মন্ত্রী। রোগী বাড়তে থাকায় সব হাসপাতালকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেন।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ২০২৩ সালে যে সাতটি দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ তীব্রতর হয়েছিল তালিকার শুরুতে রয়েছে বাংলাদেশের নাম। এডিস মশা পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, মশার বসবাসের উপযোগী পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ডেঙ্গুর উপযোগী আবহাওয়া, ভঙ্গুর স্বাস্থ্যব্যবস্থা, একই সঙ্গে ডেঙ্গুর একাধিক ধরনের বিস্তার এবং সুনির্দিষ্ট লক্ষণ না থাকায় ডেঙ্গু শনাক্তকরণ সমস্যাসহ ডেঙ্গু বাড়ার যে ১৩টি কারণ উলেস্নখ করা হয়েছে, তার মধ্যে সবগুলোই বাংলাদেশে বর্তমান।
পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে কাজ করা গবেষক গওহার নঈম ওয়ারা বলেন, মশা তৈরির আগেই যেখানে নির্মূল করা সম্ভব, সেখানেই উল্টোটা করা হচ্ছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ঘাটতি, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, পরিচ্ছন্নতার অভাব এবং দেশীয় স্বাস্থ্যব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে বাড়ছে ডেঙ্গু। সরকারি-বেসরকারি সব সংস্থার উদ্যোগ এবং জনগণকে যুক্ত করতে পারলেই কমবে এডিস মশা। এছাড়া সেই সঙ্গে কমবে ডেঙ্গুতে প্রাণহানি।
যেহেতু বিগত বছরগুলোর অভিজ্ঞতা আর বাস্তবতা বলছে, সারা বছর এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু হচ্ছে। শীতকালেও তাপমাত্রা বাড়ায়, জমে থাকা পানিতে এডিস মশার লার্ভা দেখতে পাওয়া যায়। তাই কোনো নির্দিষ্ট সময়ে নয়, সচেতনতা চালাতে হবে বছরব্যাপী। মশা মারা আর চিকিৎসার যে প্রতিরোধ এবং তা নির্মূলের তাগিদ দেন গবেষকরা।
ডেঙ্গুর লার্ভা দুই বছর পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে। আবার পানি ফেলে সেটা আরও সক্রিয় হবে। বৃষ্টি হবে, পানি জমে থাকবে কিন্তু সেই সঙ্গে এটার ব্যবস্থাপনাটাকেও মানুষকে সম্পৃক্ত করে করতে হবে। যেমন ধরুন, ওয়ার্ড কমিশনাররা তাদের লোকজন দিয়ে কাজটা খুব সহজে করতে পারেন। তাদের তো চাঁদা তোলার জন্য লোক আছে, তাদের মারামারি করার জন্য লোক আছে এবং হেলমেট বাহিনী আছে। তাদেরকে কেন আমরা মশক নিধনে ব্যবহার করি না?
ডেঙ্গু অল্প অল্প যে জায়গাগুলোতে আছে, সেই বাড়িগুলোকে কেন্দ্র করে স্ট্রে করে ডেঙ্গুর যে বাহক এডিস মশাটাকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করে দিতে হবে ওই বাড়িকে। কারণ ওই মশাটি ভাইরাস ইনফেক্টেড। ভাইরাস ইনফেক্টেড মশাকে এই মুহূর্তে বাঁচিয়ে রাখা যাবে না। যদি ভাইরাস ইনফেক্টেড মশাকে আমরা নির্মূল করে দিতে পারি, তাহলে মশা অনেক বেড়ে গেলেও ডেঙ্গুটি কিন্তু বাড়বে না।
যেহেতু সারা বছরই ডেঙ্গু রোগীর মৃতু্য আর হাসপাতালে ভর্তির খবর সামনে আসে, তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মশক নিধনসহ ডেঙ্গু নির্মূলে কাজ করতে হবে বছরব্যাপী। এছাড়া যেহেতু ডেঙ্গু বারবার ধরন পরিবর্তন করছে, তাই চিকিৎসা ব্যবস্থায়ও আনতে হবে বড় ধরনের পরিবর্তন।
এমতাবস্থায় সরকারের পাশাপাশি, জনগণ এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার উদ্যোগই পারে ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশাকে পুরোপুরি নির্মূল করতে।