গাড়িতে আগুন যথাযথ পদক্ষেপ জরুরি
প্রকাশ | ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
অনলাইন ডেস্ক
একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছেই। যা স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিকে স্পষ্ট করে। এক্ষেত্রে বলা দরকার, একদিকে নানাভাবে সড়কে যেমন দুর্ঘটনার কারণে মানুষ চলে যাচ্ছে না ফেরার দেশে, তেমনি ঘটছে যানবাহনে অগ্নিকান্ডের ঘটনাও। ফলে সামগ্রিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি বলেই প্রতীয়মান হয়। প্রসঙ্গত, সাভারে তেলের ট্যাংকার উল্টে ৪ গাড়িতে আগুন এবং দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরের তথ্য মতে, রাজধানীর অদূরে সাভারের হেমায়েতপুরে তেলবাহী একটি ট্যাংকার উল্টে লাগা আগুনে আরও দুটি ট্রাক ও একটি প্রাইভেট কার ভস্মীভূত হয়। আর এই ঘটনায় দুইজনের মৃতু্য ও সাতজন দগ্ধ হয়েছেন। তথ্য মতে, মঙ্গলবার ভোরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জোড়পুল এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
আমরা বলতে চাই, অগ্নিকান্ডের এই ঘটনা আমলে নিতে হবে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে। উলেস্নখ্য যে, দগ্ধদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড পস্নাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল পরিদর্শন করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'দগ্ধদের মধ্যে কেউ শঙ্কা মুক্ত নন।' অগ্নিকান্ডের এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জানা যায়, মহাসড়কের জোড়পুল এলাকায় সড়ক বিভাগের ডিভাইডার নির্মাণকাজ চলায় পাথর দিয়ে ইউটার্ন করা হয়েছিল। ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে একটি তেলবাহী ট্যাংকার গাবতলী থেকে সাভার যাওয়ার সময় ইউটার্নের পাথরে লেগে উল্টে যায়। এতে ট্যাংকারটিতে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পেছনে আটকে থাকা কয়েকটি গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে এই ঘটনার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে করণীয় নির্ধারণ ও তার যথাযথ বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে হবে সংশ্লিষ্টদেরই।
আমরা বলতে চাই, এর আগেও নানাভাবে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। যেখানে অসচেতনতা, অসবাধনতার বিষয়ও আলোচনায় এসেছে। এবারের ঘটনাটি আমলে নিতে হবে এবং এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সড়ক বিভাগের ডিভাইডার নির্মাণকাজ চলায় পাথর দিয়ে ইউটার্ন করা হয়েছিল আর তেলবাহী ট্যাংকার পাথরে লেগে উল্টে যায়। এতে ট্যাংকারটিতে আগুন ধরে যায়। ফলে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সচেনতার বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া দরকার। কেননা, এটা ভুলে যাওয়া যাবে না, বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে অসাবধানতাবশত। এর আগে এমন আলোচনাও এসেছে যে, সাবধানতা অবলম্বন করলে অনেক দুর্ঘটনাই রোধ করা সম্ভব। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।
এছাড়া বলা দরকার, রাজধানীর ডেমরার কোনাপাড়া এলাকায় গ্যারেজে রাখা লন্ডন এক্সপ্রেসের ১৪টি ভলভো বাস আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে। যে ঘটনা স্বাভাবিক নাকি নাশকতা তা খতিয়ে দেখছের্ যাব, এমনটি খবরে উঠে এসেছে। জানা যায়, সোমবার রাতে বাসগুলো পুড়েছে। তথ্য মতে, সোমবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। এরপর ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ৯টা ৪৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তার আগেই আগুনে লন্ডন এক্সপ্রেসের ১৪টি ভলভো বাস পুড়ে যায়। আমরা মনে করি,র্ যাব এই ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে তা ইতিবাচক। একইসঙ্গে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। কেননা, এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, নাশকতার ঘটনা এর আগে নানা সময়ে ঘটেছে, যেখানে যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে লন্ডন এক্সপ্রেসের ১৪টি ভলভো বাস আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে সংশ্লিষ্টদেরই।
সর্বোপরি আমরা বলতে চাই, নানাভাবেই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে। ফলে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি এড়ানোর সুযোগ নেই। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বাস-ট্রাকসহ যানবাহনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফলে, এবারের ঘটনা আমলে নিতে হবে। পুনরাবৃত্তি রোধে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ ও তার যথাযথ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে এবং দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সব ধরনের পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে এমনটি কাম্য।