একুশে বইমেলার কেন্দ্রীয় আসর ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। বইমেলাটি রাজধানীকেন্দ্রিক হওয়ার কারণে আমাদের প্রত্যন্ত জেলাগুলোর সাধারণ মানুষ সেখানে অংশ নিতে পারে না। অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা তাদের স্কুল, কলেজের কারণে বইমেলা সফর করতে পারে না। এমনও শিক্ষার্থী আছে যাদের একুশে বইমেলা সম্পর্কে প্রত্যক্ষ কোনো ধারণা নেই। নতুন বই, নতুন লেখক কী জিনিস সে সম্পর্কে তেমন কিছুই জানে না। সে জায়গা থেকে নীলফামারী জেলা আরও দূরে; আরও প্রত্যন্ত এলাকা। তাই আমি মনে করি, বাংলাদেশের রাজধানীর জেলাগুলো বাদ দিয়ে বাহিরের জেলার সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে আমাদের নীলফামারী জেলাসহ জেলাভিত্তিক এমন নান্দনিক বইমেলা আসরের আয়োজন করা যেতে পারে। এতে অনেক ইতিবাচক দিক ফুটে উঠবে। সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের বইমেলা নিয়ে প্রত্যক্ষ ধারণা হবে। নতুন লেখকদের আঞ্চলিক পাঠকদের মধ্যে পরিচিতি বাড়বে। লেখক ও পাঠকের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে। সহসাই বইগুলো পৌঁছে যাবে তার পাঠকের কাছে। সমৃদ্ধ হবে আমাদের ব্যক্তিগত পাঠাগারগুলো। জেলাভিত্তিক বইমেলা আয়োজনের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকসহ আঞ্চলিক ও জাতীয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
জাকারিয়া আল হোসাইন
শিক্ষার্থী
নীলফামারী সরকারি কলেজ