অবৈধ রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে
প্রকাশ | ০৬ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকার অবৈধ রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে সেবা সংস্থাগুলো। সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ৩ শতাধিক রেস্তোরাঁয় অভিযান চালানো হয়। এ সময় ১৪টি ব্র্যান্ডের রেস্টুরেন্ট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অগ্নিনিরাপত্তার দুর্বলতায় ১টি ভবনে সিলগালা ও ৫ প্রতিষ্ঠানকে ৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রেস্তোরাঁ পরিচালনায় ত্রম্নটি পাওয়ায় সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জরিমানা পরিশোধের শর্তে তাদের জামিন দেন। সোমবার একযোগে ঢাকার সব এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এবং ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ত্রিমুখী সাঁড়াশি অভিযানে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন রেস্তোরাঁ মালিক ও রেস্তোরাঁর ভবন মালিকরা।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, হঠাৎ রেস্টুরেন্ট বন্ধের অভিযান অযৌক্তিক। কেননা, জাতীয় বিল্ডিং কোডে রেস্তোরাঁ কোথায় হবে, তার পরিষ্কারভাবে কোনো ক্যাটাগরি দেওয়া নেই। এজন্য বাণিজ্যিক ভবনে রেস্তোরাঁ গড়ে উঠছে, পেশাজীবীরাও একই সুপারিশ করছেন। বিষয়টি সমাধান করতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরকার সংশ্লিষ্টদের আলোচনার টেবিলে বসতে হবে। কোনো নোটিশ বা আলোচনা ছাড়া অভিযান করে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়ায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়বে এবং এতে অনেক মানুষ বেকার হবে; কার্যত কোনো সুফল মিলবে না। গত সোমবার ধানমন্ডির সাতমসজিদ সড়কে অভিযান পরিচালনা করে রাজউক। এ সময় ওই সড়কের গাউসিয়া টুইন পিক ভবনের রুফটপ রেস্তোরাঁ ভেঙে দেয় রাজউকের উচ্ছেদকারী দল। ভবনটিতে অফিস করার অনুমোদন দেওয়া থাকলেও রেস্তোরাঁ করার অনুমতি ছিল না।
এ ব্যাপারে ডিবিপ্রধানও বেশ সোচ্চার। যেসব রেস্টুরেন্টে অনিয়ম রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে উলেস্নখ করে ডিবিপ্রধান বলেন, ঢাকা শহরে এমন কোনো রেস্টুরেন্ট আছে কিনা যেগুলোতে অগ্নিনিরাপত্তা মানা হচ্ছে না, দ্রম্নত বের হওয়ার রাস্তা আছে কিনা, বাতাস চলাচলের রাস্তা আছে কিনা- আমরা সবকিছুর খোঁজ নিচ্ছি। কোনো অনিয়ম পেলে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব এবং পুলিশের আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উলেস্নখ্য, সোমবার থেকে ডিএমপির রমনা, লালবাগ, ওয়ারী, মতিঝিল, তেজগাঁও, মিরপুর, গুলশান ও উত্তরা বিভাগের ৫০টি থানা এলাকায় একযোগে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। নগরবাসীর নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে এসব ভবনে জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রয়েছে কিনা, তা দেখতেই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
আমরা মনে করি, এই অভিযান সারা বছর চালানো উচিত। কারণ এই নগরীতে মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই। সবার আগে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।