বাংলাদেশের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আছে, চলছে এবং ভবিষ্যতেও আসবে সে ভয় দেখানো হচ্ছে।র্ যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা, ভিসা নিষেধাজ্ঞা চলছে। আর বর্তমান আসা প্রতিনিধিদল নতুন নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে সে খুশীতে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল খুবই খুশি। মার্কিনিদের সব হুমকি ধমকি ষড়যন্ত্রের পরেও বাংলাদেশে গত নির্বাচন হয়েছে। নতুন সরকার তার দায়িত্ব শুরু করেছে। কিন্তু মার্কিনিদের নিষেধাজ্ঞার জুজুর ভয় চলছেই। দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পছন্দের কূটনৈতিক অস্ত্র হলো নিষেধাজ্ঞা- যা মার্কিন নীতিনির্ধারকদের একটি জনপ্রিয় হাতিয়ার। কারণ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে, সামরিক হস্তক্ষেপ করা যায়, কিন্তু যা মারাত্মক, ব্যয়বহুল এবং অজনপ্রিয়। সুতরাং, নিষেধাজ্ঞা কূটনৈতিক ও সামরিক হস্তক্ষেপ এই দুটি চরম বিকল্পের মধ্যে শূন্যতা পূরণ করে। নিষেধাজ্ঞাগুলো সাধারণত আমেরিকানদের রক্ত বা ধন-সম্পদ নষ্ট করে না- যা আমেরিকান রাজনীতিবিদদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তবুও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সোনালি দিন শিগগিরই শেষ হতে পারে।
বর্তমান বিশ্বে মার্কিনিদের নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রায়শই ব্যর্থ হয়ে উঠছে। মার্কিন ও পশ্চিমারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা কোনো অর্থবহ হয়নি। তবুও মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন রাশিয়া এবং তার ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েই যাচ্ছেন। জো বাইডেন দাবি করেছিলেন, 'পুতিন এবং তার আশপাশের সমস্ত লোকদের ওপর কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, প্রযুক্তির ব্যবহার বন্ধ করার পাশাপাশি বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থায় সব লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে- এটি ইতোমধ্যেই গভীর প্রভাব ফেলেছে'। বাস্তবতা হলো মার্কিন ও পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলোর ফলে মস্কোর রাজস্বে কোনো প্রভাব পড়েনি। গত বছর, রাশিয়া তেল-গ্যাস বিক্রি থেকে ১১৯ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। ২২ ফেব্রম্নয়ারি, ২০২২, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করেছিলেন। প্রাথমিকভাবে, নিষেধাজ্ঞা দুটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রাশিয়ান আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ঠহবংযবপড়হড়সনধহশ এবং চৎড়সংাুধুনধহশ এবং তাদের সহযোগী সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে দেওয়া হয়, যারা রাশিয়ান সামরিক বাহিনীকে অর্থায়ন করে। ২৪ ফেব্রম্নয়ারি, ২০২২-এ। দুটি বৃহত্তম ব্যাংক, ঝনবৎনধহশ এবং ঠঞই ব্যাঙ্কসহ অন্যান্য রাশিয়ান আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞাগুলোর মাধ্যমে রুশ অভিজাত ও তাদের পরিবারকে আর্থিকভাবে টার্গেট করা হয়। রাশিয়ার প্রযুক্তিগত পণ্য আমদানিতে বাধা দিতে রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কিন্তু প্রায় দুই বছরের সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞার পরও, মস্কোর অর্থনীতি এবং যুদ্ধ প্রত্যাশিত থেকে অনেক ভালো। যা দুর্ভাগ্যক্রমে মার্কিন ও পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞাগুলো কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনে ব্যর্থতার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হয়ে উঠেছে। ইউক্রেনীয় পাল্টা আক্রমণের ব্যর্থতার সঙ্গে, এটি ক্রমবর্ধমান বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠছে যে এই যুদ্ধটি অচলাবস্থায় শেষ হতে পারে; এমনকি রাশিয়ার বিজয়ও হতে পারে। মার্কিনরা রাশিয়ার অস্ত্র শিল্প, প্রযুক্তি রপ্তানি, বিদেশি সম্পদ, ব্যাংক, শক্তি সংস্থা এবং ধনী ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। মার্কিন ও পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো রাশিয়াকে বিশ্বব্যাপী আর্থিক বাজার থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। আশা ছিল যে, কঠোর নিষেধাজ্ঞার ব্যবস্থা শুধু রাশিয়ার ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করবে না বরং রাজনৈতিক অভিজাতদের সমর্থনকে এতটাই পঙ্গু করবে যে, পুতিনের শাসনের পতন ঘটবে। কিন্তু যুদ্ধের প্রায় দুই বছর হতে চলল, বিডেনের প্রতি মাসে নতুন নিষেধাজ্ঞা প্রবর্তন রাশিয়ান শাসনকে পতন করেনি বা ইউক্রেন থেকে প্রত্যাহারের জন্য পশ্চিমা দাবিতে সম্মত করাতে পারেনি। রাশিয়ার প্রতিরক্ষায় জাতীয় জিডিপির বর্ধিত বরাদ্দ- যা সর্বকালের সর্বোচ্চ ৬%-এ পৌঁচ্ছে। মস্কোর জিডিপি এই বছর ২.২% এর স্থিতিস্থাপক বৃদ্ধি পেয়েছে, আইএমএফ বলছে ২০২৪ সালে ২.৮% বৃদ্ধি হতে পারে। এই বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে রাশিয়ার চলতি অ্যাকাউন্টের উদ্বৃত্ত ১৬.৬ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে- যা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার সত্ত্বেও বৈদেশিক বাণিজ্যে একটি বড় বৃদ্ধির প্রতিফলন। সামগ্রিকভাবে, ডলারবিরোধী কৌশল এবং মুদ্রার অদলবদল রাশিয়াকে চীন, ইরান এবং তুরস্কের মতো দেশগুলোর কাছাকাছি এনেছে। ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে, রাশিয়া তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানির জন্য নতুন বাজার সোর্স করে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা, উনিশ-পঞ্চাশের দশকে কোরীয় যুদ্ধের পর প্রথম আরোপ করা হয়েছিল- যা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তিন প্রজন্মেরও বেশি সময় ধরে, কিম রাজবংশ আরও যুদ্ধরত, উন্নত সশস্ত্র এবং অনড় হয়ে উঠেছে। বাইডেন প্রশাসন বলেছে যে, রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলো 'ইরান মডেল'-এর ওপর ভিত্তি করে। কিন্তু তেহরানের ওপর চার দশকের নিষেধাজ্ঞা ব্যর্থ হয়েছে। ১৯৭৯ সালে তেহরানে ৫২ জন আমেরিকান কূটনীতিককে জিম্মি করার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে; তাদের মুক্ত করতে চৌদ্দ মাস লেগেছে। ইরানের পারমাণবিক বোমা তৈরির উচ্চাকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে সন্দেহের মধ্যে উনিশ-নব্বইয়ের দশকে এবং আবার ২০০৫ সালে নিষেধাজ্ঞাগুলো তীব্র করা হয়েছিল- যা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞার কোনো প্রভাব দেখা যায় না। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আরেকটি বিপদের চিত্র তুলে ধরে যে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মার্কিনিদের বৈশ্বিক শক্তিকে শক্তিশালী করাতো দূরে থাক, বরং নিষেধাজ্ঞা দেওয়া দেশগুলোকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর তাদের অর্থনৈতিক নির্ভরতা কমাতে বিশ্বের অন্যান্য দেশকেও উৎসাহিত করছে।
ইউএস ট্রেজারির অফিস অব ফরেন অ্যাসেট কন্ট্রোল বলেছে যে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞাগুলো তাদের বৈদেশিক নীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে অন্য দেশগুলোর ওপর বাণিজ্য বিধিনিষেধ এবং সম্পদের ওপর অবরোধ দেওয়া হয়। বাস্তবতা হলো যে, নিষেধাজ্ঞাগুলো কখনো কখনো কার্যকর হয়, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নয় এবং কখন তারা কাজ করবে তা সঠিকভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরওপ করে সে দেশগুলোর ওপর, যারা সন্ত্রাসবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা করে বা তাদের নিজের জনগণ এবং অন্যদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার স্বার্থকে হুমকির মুখে ফেলে এমন দেশগুলোর ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরওপ করে। ২০২৪ সালের ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দেশ, অঞ্চলগুলো বা তালিকাভুক্ত দেশগুলো হলো: আফগানিস্তান, বলকান, বেলারুশ, বার্মা/ মিয়ানমার, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, চীন, কিউবা, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র ইথিওপিয়া, হংকং, ইরান, ইরাক, লেবানন, লিবিয়া, মালি, নিকারাগুয়া, উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া, সোমালিয়া, সুদান, দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া, ইউক্রেন, ভেনেজুয়েলা, ইয়েমেন, জিম্বাবুয়ে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই বিভিন্ন দেশের আঞ্চলিক খাতকে লক্ষ্য করে বিশ্বব্যাপী ৮০০০ টিরও বেশি নিষেধাজ্ঞা আরওপ করেছে। গত দুই বছরে, এই সংখ্যাটি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের অফিস অব ফরেন অ্যাসেট কন্ট্রোল নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নামের সংখ্যা ক্রমাগতভাবে বেড়েছে, ২০০ সালে ৯১২ থেকে ২০২১ সালে ৯৪২১ হয়েছে, মূলত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যাঙ্কিং নিষেধাজ্ঞার ক্রমবর্ধমান ব্যবহারের কারণে? ট্রাম্প প্রশাসন তালিকায় দিনে প্রায় তিনটি নাম যুক্ত করেছে। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাটাবেস অনুসারে, অফিস অব ফরেন অ্যাসেট কন্ট্রোল ছয়টি দেশ এবং তিনটি অঞ্চলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। রপ্তানি নিষেধাজ্ঞাগুলো বেলারুশ, আফগানিস্তান, লিবিয়া, সুদান এবং জিম্বাবুয়েসহ ১৯টি দেশে দেওয়া হয়। মার্কিন-নেতৃত্বাধীন নিষেধাজ্ঞাগুলো দরিদ্র দেশের নাগরিকদের ওপর অসামঞ্জস্যপূর্ণ বোঝা চাপিয়ে, গণতন্ত্রীকরণকে বাধাগ্রস্ত করে এবং সবচেয়ে গুরুতর ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে মানবিক সংকটকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
সুতরাং, যদি নিষেধাজ্ঞাগুলো বেশিরভাগ সময় কাজ না করে, প্রায়শই ব্যাকফায়ার হয়, তাহলে কেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা নীতি ব্যবহার করে চলেছে? কারণ মার্কিনদের ও তার মিত্র ইউরোপের কাছে নিষেধাজ্ঞাগুলো একটি খুব জনপ্রিয় হাতিয়ার। যদি কোনো দেশ এমন কিছু করে- যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পছন্দ করে না, তাদের কাছে অনেক বিকল্প নেই. তখনই মার্কিনিরা তাদের সস্তা অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ব্যবহার শুরু করে। গত দুই দশক ধরে, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো মার্কিন নীতিনির্ধারকদের জন্য প্রথম অবলম্বনের একটি হাতিয়ার হয়ে উঠেছে- যা সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কগুলোকে ব্যাহত করতে, পারমাণবিক অস্ত্রের বিকাশ বন্ধ করার চেষ্টা করতে এবং স্বৈরশাসকদের শাস্তি দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে তাদের কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার উপায় হিসেবে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাকে কাজে লাগায়। তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ব্যর্থতা, কিউবার বিরুদ্ধে (ষাট বছর ধরে), ইরান, ইরাক, উত্তর কোরিয়া এবং অন্যত্র এই ধরনের ব্যর্থতা এটি প্রমাণ করে যে, নিষেধাজ্ঞা একটি অকার্যকর নীতি। মার্কিনিদের চমকে দিয়েছে আফগানিস্তান, ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে রীতিমতো পালিয়ে বাঁচে যুক্তরাষ্ট্র। আবার ফিলিস্তিন-ইসরাইল যুদ্ধে ইসরাইলের বর্বরতা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সারা বিশ্বকে স্তব্ধ করলেও ইসরাইলের ঘৃণ্য জঘন্যতম নারকীয় তান্ডবকে শর্তহীনভাবে সমর্থন দিচ্ছে মার্কিনরা এবং তার কতিপয় মিত্র। মার্কিন পক্ষপাতপূর্ণ আচরণকে ধিক্কার দিচ্ছে দলমতনির্বিশেষে বিশ্বের সব শান্তিপূর্ণ নাগরিক। মার্কিনরা নিজ স্বার্থে যে কত অন্ধ এবং নৃশংস তা বিশ্ববাসীর কাছে এখন প্রকাশ্য ও প্রমাণিত। বিশ্বে মার্কিনিদের অমানবিক, নীতিহীন কর্মযজ্ঞ ও নিষেধাজ্ঞা খেলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যে ধীরে ধীরে মার্কিন সূর্য অস্তমিত হচ্ছে। সৌদি আরব আগের মতো মার্কিনিদের কথায় চলছে না। ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করছে।
ইসরাইলের ঘৃণ্য মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে মুসলিমবিশ্ব। মার্কিনিরা বিশ্ব মেরুকরণে কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। মার্কিনিদের হুমকিতে ভয় পাওয়া দেশের সংখ্যা কমছে। মার্কিনিদের নিষেধাজ্ঞা অস্ত্র বিশ্বব্যাপী অকার্যকর হয়ে উঠছে। তবে কি নিষেধাজ্ঞার যুগের অবসান হতে চলেছে?
অভিজিৎ বড়ুয়া অভি : কলাম লেখক