বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল

দ্রম্নত কার্যকর উদ্যোগ নিন
  ০৩ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল

অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার। দেশের ব্যবসায়ীরা সরকারি নির্দেশ মানছে না। মার্চের শুরু থেকেই সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১০ টাকা কমানোর কথা থাকলেও এখনো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে বোতলজাত সয়াবিন তেল। লিটারপ্রতি ১০ টাকা কমে ১৬৩ টাকায় বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও সেই নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। এমনকি খোলা তেলেরও দাম কমেনি। খোলা তেল ১৪৯ টাকায় বিক্রির কথা থাকলেও সেখানেও নেই দাম কমার প্রভাব। বাজারে সব ব্যবসায়ীই আগের দামেই তেল বিক্রি করছেন। মার্চের শুরুতে লিটারে তেলের দাম কমার নির্দেশনা যেন সরকারি দপ্তরের কাগজে-কলমেই রয়ে গেছে। আগের দামেই বাজারে তেল বিক্রি হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন ভোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হচ্ছে সরকারি নির্দেশনাকেও। এটা সত্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে সৃষ্ট উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। হাতে নগদ টাকা কমে যাওয়ায় ক্রয়ক্ষমতাও কমে গেছে। ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার ব্যাপক অবমূল্যায়ন ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে আয়ের সব টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে জীবন ধারণে। যার প্রভাব পড়েছে সর্বত্র।

আমরা মনে করি, ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হলে চলবে না। তাদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এরা জনগণের স্বার্থের দিকে কখনোই নজর দেয় না। এরা বাজারসন্ত্রাসী। কীভাবে অসৎ উপায় অবলম্বন করে দ্রম্নত ধনী হওয়া যায় সেটাই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য। বাজারে মূল্য তালিকা টাঙিয়ে যথাযথ তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের অসহায় জনগণকে জিম্মি করে তারা পকেট কাটবে এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এর আগে তারা চাল, চিনি, ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছিল। লবণের ক্ষেত্রেও চেষ্টা চালিয়েছিল, সফল হয়নি। এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর কী হতে পারে।

বাজার নিয়ে অতীতে অনেক পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে, প্রচুর লেখালেখি হয়েছে, কোনো কাজ হয়নি। বিক্রেতাদের মানসিকতার কোনো পরিবর্তন হয়নি। এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। কেবল রমজানে নয়, সারা বছর বাজার মনিটরিং করতে হবে। আমরা মনে করি, বিক্রেতাদের মানসিকতার পরিবর্তন যতদিন না ঘটবে ততদিন নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির থাকবেই এবং দেশের জনগণও তাদের কাছে জিম্মি থাকবে। জনগণকে অসহায়ত্বে বা জিম্মিদশায় ফেলে দেয়া কোনো গণতান্ত্রিক সরকারের কাজ নয়। দেশের উন্নয়ন হচ্ছে ভালো কথা, সেই উন্নয়নের সুফল যেন সাধারণ মানুষ ভোগ করতে পারে সেদিকে সরকারকে বিশেষ নজর দিতে হবে। এ জন্য দ্রম্নত বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এর আগেও আমরা দেখেছি, সরকার পণ্যের দাম কমালেও বাজারে তার প্রভাব পড়েনি। অথচ দাম বৃদ্ধির ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়। এ ব্যাপারে সরকারের কার্যকর কঠোর উদ্যোগই কেবল পারে জনগণকে হয়রানি ও দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে