সহজভাবে বললে যারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে লেখালেখি করেন, তাদের আমরা লেখক বলতে পারি। লেখক তার পছন্দ অনুযায়ী, তার যে বিষয়ে ভালো জ্ঞান আছে, সাধারণত লেখক সে বিষয়ে তার জ্ঞান এবং ধ্যান-ধারণাগুলো অন্যের মধ্যে প্রকাশ করার জন্য, মানুষকে সচেতন করার জন্য, উদ্বুদ্ধ করার জন্য, অনুপ্রাণিত করার জন্য লেখালেখি করেন। হতে পারে, সেটা সাহিত্যের কোনো বিষয় অথবা বিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, চিকিৎসা, ধর্মীয় কিংবা আত্ম উন্নয়নমূলক কোনো লেখা। লেখকরা রাষ্ট্রের সম্পদ, লেখক তার লেখালেখির মাধ্যমে দেশের মানুষের, সমাজের বিভিন্ন ভুল তুলে ধরার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের সহায়তা করেন। একজন সাধারণ মানুষ সারাদিন কাজ করে, শত চেষ্টা করে যেটা করতে পারেন না, লেখক তার জ্ঞান, চিন্তাধারা ও প্রজ্ঞার মাধ্যমে সহজে সে কাজ করে ফেলতে পারেন। লেখক যেকোনো বিষয়ে লেখার মাধ্যমে কৌশলে বিভিন্ন প্রশ্ন রেখে যাবে, বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে যাবে, আপনি চিন্তা করে লেখকের লেখা থেকে সেই উত্তর এবং সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করবেন। আপনি লেখকের সঙ্গে একমত না হতে পারেন। লেখকের যুক্তি আপনার মনের মতো না হতে পারে। লেখকের লেখা আপনার ভালো না লাগতে পারে। তাই বলে আপনি লেখককে অসম্মান করতে পারেন না। ভালো না লাগলে আপনি সে নির্দিষ্ট লেখককে এড়িয়ে চলতে পারেন। তার লেখা বই কিংবা যেকোনো লেখনি না পড়ে আপনার পছন্দের লেখকের লেখা পড়তে পারেন। লেখকের যেমন লেখার অধিকার এবং স্বাধীনতা রয়েছে, ঠিক তেমনি আপনারাও পাঠক হিসেবে যেকোনো লেখকের লেখা পড়ার অধিকার এবং স্বাধীনতা দুটিই রয়েছে। সর্বশেষ একটা কথা বলব; বেশি বেশি বই পড়ুন, মনকে বড় করুন এবং লেখকদের সম্মান করতে শিখুন।
আমি ইয়াছিন আরাফাত
কবি, গল্পকার ও প্রাবন্ধিক