মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
পাঠক মত

মোবাইলের ভয়ংকর ক্ষতি থেকে শিশুদের রক্ষা করা পরিবারের দায়িত্ব

  ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
মোবাইলের ভয়ংকর ক্ষতি থেকে শিশুদের রক্ষা করা পরিবারের দায়িত্ব

আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, এ রকম একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে সমাজে। শিশুর ভবিষ্যৎ সুন্দর করতে শিশুর চারদিকের পরিবেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বর্তমানে অধিকাংশ শিশু বেড়ে উঠছে একটি খারাপ পরিবেশের মধ্য দিয়ে। যে সময়টা তারা অতিক্রম করবে, নানান রকম খেলাধুলার মধ্য দিয়ে, সে সময়টা তারা পার করছে মোবাইলের কিছু আসক্তিকর গেমস, ইউটিউব, ফেসবুকের মাধ্যমে। এর জন্য প্রথমে দায়ী হচ্ছি আমরা পরিবারের মানুষজন। কেননা, আমরা শিশুর কান্না থামাতে, খাবার খাওয়াতে মোবাইল ব্যবহার করি, তাদের খেলাধুলার সময়টাতে মোবাইল দিয়ে ভুলিয়ে রাখি। যা তাদের আসক্তি আরও বাড়িয়ে দেয়। যা একদিকে মোবাইলের নীল আলোকরশ্মি তাদের চোখের ক্ষতি করছে, ভালো চিন্তা থেকে দূরে রাখছে এবং অতিরিক্ত আসক্তির ফলে দিন দিন শরীর ও মনকে খারাপভাবে প্রভাবিত করছে। আমাদের উচিত, মোবাইলের বিকল্পে তাদের সময় দেওয়া, ভালো কাজে, খেলাধুলায়, পড়াশোনায় উৎসাহিত করা। এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো, শিশুদের সামনে আমাদের আচরণ, কথাবার্তা, অভ্যাস ও ব্যবহার মার্জিত করা। কেননা, শিশু যেভাবে তার মা থেকে ভাষা শেখে, ঠিক সেভাবেই সে তার আশপাশের মানুষদের অভ্যাস, আচরণ নিজের মধ্যে লালন করে। সুতরাং, তাদের সঙ্গে নিয়ে আমরা ভালো কাজ করি, আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে গল্প করি, বিভিন্ন বই নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করি এবং শিশুদের জন্য হলেও নিজেকে পরিবর্তন করি। শিশুদের ভবিষ্যৎ সফল করতে তাদের সামনে তুলে ধরি সুন্দর একটি পরিবেশ।

আবদুলস্নাহ

শিক্ষার্থী

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

সড়ক দুর্ঘটনা

\হবন্ধ হবে কবে

বর্তমান বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ যেমন অর্থনীতি খাতে, সামাজিক খাতে, প্রযুক্তির দিকে ইত্যাদি শুধু পরিবর্তন হচ্ছে না সড়ক দুর্ঘটনার পরিস্থিতি, কমছে না সড়ক দুর্ঘটনা। বছরের পর বছর বৃদ্ধি হচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতু্য এবং পঙ্গু মানুষের সংখ্যা। ২০২৩ সালের সড়ক দুর্ঘটনা রিপোর্ট অনুযায়ী, ৬ হাজার ২৬১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ৯০২ জন নিহত এবং ১০ হাজার ৩৭২ জন আহত হয়েছে। যার মধ্যে ছিল ৯৬৭ জন সাধারণ পথচারী, ৪৮৫ জন পরিবহণ শ্রমিক, ৬৯৭ জন শিক্ষার্থী যারা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দেশের উন্নয়নের জন্য প্রধান সরঞ্জাম, ৯৭ জন শিক্ষক, যারা ভবিষ্যৎ দেশের লাঠি তৈরি করার কারিগর, ১৫৪ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, যারা দেশের জন্য নিজের প্রাণ দিতে কুণ্ঠাবোধ করে না, ৯৮৫ জন নারী, যারা দেশের উন্নয়নে অর্ধেক অবদান রাখছে, ৬১২ জন শিশু, যারা মায়ের বুকের একটি অংশ, ১৬ জন ১৯৭১ সালে দেশকে স্বাধীন করার কিছু সংগ্রামি ব্যক্তি, ৩০ জন সাংবাদিক, যারা সত্য প্রকাশে অগ্রগামী, ৩২ জন দেশের অসুস্থ মানুষ সুস্থ করার কারিগর, ১০ জন প্রকৌশলী এবং ১১১ জন রাজনৈতিক ব্যক্তি।

কিছু ব্যক্তির জন্য হঠাৎ যাচ্ছে প্রাণ, সে ক্ষেত্রে যেমন ড্রাইভারের ভুল আর তেমন পথচারীরও ভুল, তবে প্রধান ভুল ড্রাইভারের কারণ অনিয়ন্ত্রিতভাবে গাড়ি চালানো, রাস্তায় আইনকানুন না মানা, প্রশিক্ষণহীনভাবে গাড়ি চালানো, লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো। ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সব মন্ত্রী এবং এমপি সংসদ সদস্যরা নতুনভাবে শপথগ্রহণ করলে ও সড়ক দুর্ঘটনার রোধে কোনো শপথগ্রহণ করা হয়নি, যার ফলে দিনের পর দিন যাচ্ছে, কত মানুষের প্রাণ, বাছাই হচ্ছে না শিশু- কিশোর, বয়স্ক বক্তি, যার ফলে দেশের অনেক অভিজ্ঞ ব্যক্তির প্রাণ যাচ্ছে।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যার কারণে দেশে জ্ঞানী ব্যক্তি এবং দেশের উন্নয়নের পরামর্শদাতা হারানোই দেশটা উন্নত দেশ হতে পারেনি এবং বুদ্ধিজীবী শূন্য হয়ে যায় দেশটা। ঠিক তেমনি করে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ যাচ্ছে সমাজের সব শ্রেণির ব্যক্তির, যারা উন্নয়নে অবদান রাখার কিছু অংশ। এ রকম করে সড়ক দুর্ঘটনায় যাচ্ছে হাজারও প্রাণ আর কর্মহীন পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে হাজারও মানুষ।

এভাবে চলতে থাকলে সড়ক পথ ব্যবহার করা খুব কঠিন হয়ে যাবে। আর বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর বাড়ি ফিরে আসবে- সেটা নিশ্চিত দেওয়া যাবে না। কিছু সতর্কতা সাধারণ জনগণ আর ড্রাইভারের হতে হলেও প্রধান সতর্কতা সরকারের। সরকারের কড়া নিরাপদ আর সড়কের আইন তৈরি করা বিশেষ প্রয়োজন। সতর্কতার সঙ্গে সড়ক পথ ব্যবহার করুন এবং নিজে বাঁচুন অন্যকে বাঁচতে সাহায্য করুন।

মোহাম্মদ ছরোয়ার

শিক্ষার্থী

সরকারি আলাওল কলেজ

বাঁশখালী, চট্টগ্রাম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে