বিষমুক্ত খাবার চাই, বাঁচতে চাই আমরা
সরকারকে জনগণের জন্য ভেজালমুক্ত খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। আমরা চাই সুস্থ সবল সোনার দেশ। চাই সুস্থ মানুষ।
প্রকাশ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
মীর আব্দুল আলীম
ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগ-ব্যাধি আমাদের পেয়ে বসেছে। হঠাৎ করে কিডনি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, হার্ড বিকল হচ্ছে, ফুসফুস ঝাঁজরা হয়ে যাচ্ছে। ভেজাল আর বিষাক্ত খাবার খেয়ে পঁচে যাচ্ছে আমাদের দেহ। রোগী বেড়েছে, রোগের সঙ্গে পালস্না দিয়ে দেশে বেড়েছে হাসপাতালও। প্রতিদিন মানুষ লাশ হচ্ছে। আমার পরিবারের কষ্টের কথাটাই আগে বলছি। ক্যান্সারে মারা গেছেন চাচা-চাচী, মামা, শ্বশুর আর ফুফতো ভাই। অচেনা রোগে বাবাকে হারিয়েছি বছর দুই আগে। মা অসুস্থ হয়ে বিছানায়। ৫ বছর আগে ভাইয়ের একটা কিডনি ফেলে দিতে হয়েছে। আরেকটাতে ক্যান্সার বাসা বেঁধেছে। মায়ের মতো বড় বোনটা বেশ ভালোই ছিলেন এতদিন। হঠাৎ শুনি তার ফুসফুসের এমন অবস্থা যে চিকিৎসকের ভাষায় সেটা নাকি ঝাঁজরা হয়ে আছে, তার হার্টের অবস্থা প্রায় যায় যায়, কিডনিও শেষ পর্যায়ে। এদেশের প্রতিটি পরিবারেই আমার মতো এমন কষ্টের অনেক গল্প আছে।
প্রতিনিয়তই খাবারের সঙ্গে বিষ আমাদের পেটে পড়ছে। আমরা খাবার খাব আর সেই খাবার হবে বিশুদ্ধ- বিশুদ্ধ খাবার নিশ্চিত করবে রাষ্ট্র। এটা তো আমাদের অধিকার। আমরা কি বিশুদ্ধ খাবার পাচ্ছি? মাছে, ভাতে, আমে, জামে, কোথায় নেই বিষ? ক'দিন আগে এক বিখ্যাত কলামিস্ট তার লেখায় লিখেছিলেন, "আমরা প্রতি জনে, প্রতি ক্ষণে, জেনেশুনে করেছি বিষ পান।" প্রতিদিন আমরা যে খাবার খাচ্ছি তাতে কোন এক মাত্রায় বিষ মেশানো আছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। খাদ্যে ভেজালের শাস্তি ৭ থেকে ১৪ বছর কারাদন্ড। ক'জনকে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। বোধ করি একজনকেও না। তাই ভেজালকারবারিরা ভেজাল মিশাতে সাহস পাচ্ছে। উন্নত দেশগুলোতে খাদ্যে ভেজাল নেই বললেই চলে। আমাদের পাশের দেশ ভারত, ভুটানেও ভোক্তা অধিকার আইন খুবই কার্যকর। সেসব দেশে খাদ্যে ভেজাল প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তিও হয়। আর ভেজাল পণ্য বাজার থেকে উঠিয়ে নেওয়া হয়। বাংলাদেশে ভেজার খাদ্যের কঠোর আইন আছে। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো ঠিকভাবে ফলোআপ করে না। লোক দেখানো অভিযানও চলে মাঝেমাঝে। কেউ ধরা পড়লে আইনে ফাঁকফোকরে আবার বেরিয়ে যায়, শাস্তি হয় না। তাই তারা ভেজাল মেশাতে সাহস পায়। কঠিন শাস্তি দরকার।
ভেজাল খাদ্যের বিষই আমাদের তিলে তিলে মৃতু্যর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কেবল হাসপাতালগুলোতে গেলেই বুঝা যায়, কত প্রকার রোগই না এখন মানব দেহে ভর করে আছে। আমরা যা খাচ্ছি তার অধিকাংশতেই কোনো না কোনো বিষ মিশানো। তরতাজা মাছ কিনে নিয়ে যাচ্ছি বাসায় সে মাছে হরমোন, অ্যান্টিবায়টিকসহ নানা ক্ষতিকারক উপাদান রয়েছে। মাংস কিনছি সেটা গরু, ছাগল কিংবা মুরগি সব কিছুই এখন মোটাতাজা করতে গিয়ে নানা ক্ষতিকর উপাদান তাতে যুক্ত হচ্ছে। দেশি মোরগ-মুরগির নামে বাজার থেকে যা কিনছি তাও দ্রম্নত বড় করতে ওজন বাড়াতে অ্যান্টিবায়টিকসহ ক্ষতিকর খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। চাল কিনছি তা নাকি বিষাক্ত ক্রোমিয়াম যুক্ত। একটু স্বাধের জন্য চিকন চাল খাব তাও মোটা চাল কেটে কেটে নাকি চিকন করে আমাদের খাওয়ানো হচ্ছে। শরীর তাজা করতে ফল খাব সেখানেও কোনো না কোনো বিষ মিশানো। এসব খেয়ে রোগাক্রান্ত হব আর ঔষধ কিনে খাব এদেশে সে ঔষধেও ভেজাল করা হয়। এসব কষ্টে বাজার থেকে একটু বিষ এনে খাব বিষেও নাকি মহাভেজাল। মদপানির কথা না হয় নাই বললাম। ভেজাল মদ খেয়ে যে মানুষ প্রায়ই মরছে তা তো খবরের কাগজে আমরা দেখছিই। এদেশে বিশুদ্ধ খাবার কি তা হলে দুষ্প্রাপ্য?
ভেজাল আমাদের জীবনে যেন রন্ধ্রে রন্ধ্রে। তেল, মসলা, লবণ, মুড়ি, চিনি, মাছ, দুধ, ফলমূল, সবজি, গুঁড়াদুধ, কেশতেল, কসমেটিকস সর্বত্রই ভেজাল। ফলের জুস, কোমল পানীয় এসবের বেশির ভাগই কৃত্রিম কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি- যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ফল প্রথমে ক্যালসিয়াম কার্বাইড দিয়ে পাকানো হয়, পরে ফরমালিন দিয়ে প্রিজারভ করা হয়। দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অসাধু ব্যবসায়ীরা খাবারের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য বিরিয়ানি, জিলাপি, জুস, মিষ্টিসহ বিভিন্ন খাবারে সস্তা দামের টেক্সটাইল গ্রেড বিষাক্ত রং ব্যবহার করে থাকে- যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। খাবারে কৃত্রিম রং এবং জুসে ব্যবহৃত প্রিজারভেটিভ ক্যান্সার সৃষ্টিতে সহায়তা করে। এমন কি আমাদের জীবন রক্ষাকারী ওষুধও ভেজাল থেকে শতভাগ মুক্ত নয়। খেতে ফলানো চালে, ডালেও ভেজাল। ক্রোমিয়াম নামক বিষ পাওয়া যাচ্ছে ওসবে। ক্যালসিয়াম কার্বাইড এবং ইথোফেন ব্যবহার করে আম, কলা, পেঁপে, আনারস, বেদানা, ডালিম, আপেলসহ এমন কোনো ফল নেই যা পাকানো না হয়। আবার ১০০/২০০ মি. গ্রা. বোতলজাত প্রভিট (ইথোফেন) বাজারজাত করা হয়- যা সবজির সজীবতা রক্ষা করে। এই প্রকারের কেমিক্যালটি ব্যবহার করে তরি-তরকারিকে দীর্ঘস্থায়ী করা হয়- যা বাজারের সবজির মূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। শুধু ফলমূল, মাছ আর সবজিতেই নয়, মিষ্টির দোকান হতে শুরু করে মুদি দোকানের নিত্যপণ্য আর মনোহারি প্রসাধনীর এমন কোনো বস্তু নেই যাতে কেমিক্যালের সংশ্রব নেই।
সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিটি মানুষের প্রয়োজন বিশুদ্ধ ও পুষ্টিকর খাদ্য। এদেশের মানুষরূপী কিছু মানব বাংলাদেশে বিশুদ্ধ খাবার প্রাপ্তি কঠিন করে ফেলছে। দেশে ভেজাল দাতার জন্য আইন প্রণয়ন হয়েছে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃতু্যদন্ড? তবে এ আইনের প্রয়োগ নেই বললেই চলে। ভয়ংকর কোনো শাস্তির ব্যবস্থা করা না গেলে দেশে ভেজাল সন্ত্রাস কোনোভাবেই বন্ধ করা যাবে না। ভেজালকারবারিরা ইতোমধ্যে ২ কোটি মানুষকে কেবল কিডনি রোগে মৃতু্যর দিকে ঠেলে দিয়েছে অবলীলায়। এর মধ্যে প্রায় ৫০-৬০ হাজার লোক ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে জীবনধারণ করছে। ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজার। এ ছাড়া অন্তঃসত্ত্বা মায়ের শারীরিক জটিলতাসহ গর্ভজাত বিকলাঙ্গ শিশুর সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। ক্যান্সারসহ কোনো না কোনো রোগে আক্রান্ত আর আরও ২ কোটি মানুষ। প্রতিনিয়ত ভেজাল দ্রব্য খেয়ে কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়ার অপেক্ষায় আছে বাকি ১৪ কোটি মানুষ। এসব তথ্য জনমনে আতংক তৈরি করে বৈকি! কেবল ক্যান্সারের কারণে বাংলাদেশে প্রতিদিন অন্তত ২৭৩ জনের মৃতু্য হয় বলে খোদ তথ্য দিয়েছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ক্যান্সার সম্পর্কিত গোবোক্যানের তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতি বছর দেড় লাখ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। যার মধ্যে ৯১ হাজারের অধিক মানুষই মৃতু্যবরণ করেন। এদিকে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক বলছেন, প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়েও বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যের উদ্ধৃতি বাংলাদেশে ৬০ ভাগ ক্যান্সার রোগী প্রায় ৫ বছরের মধ্যে মারা যায়। দেশে ক্যান্সার রোগীর মৃতু্যর হার বর্তমানে প্রায় ৮ ভাগ এবং এই সংখ্যা ২০৩০ সালে এটি ১৩ ভাগে উন্নীত হবে। দেশের উন্নয়নের কথা শুনছি, হচ্ছেও। জঙ্গি দমন করেছে সরকার, শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনেছে, স্বপ্নের পদ্মা সেতু হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জেলা, বিভাগীয় শহর এমনকি উপজেলা পর্যায়েও ফ্লাইওভার হয়েছে, দেশের বিভিন্ন নদী পথে ফেরি বদলে সেতু হয়েছে, রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। ঘটেছে মানব উন্নয়নও। বলতেই হয় বহিঃবিশ্বেও দেশের মর্যাদা বেড়েছে। এতসব কাদের জন্য? এদেশের মানুষের জন্যই তো? দেশের মানুষ সুস্থ না থাকলে, বেঁচে না থাকলে এসবে ফায়দা কি? মানুষকে সুস্থ রাখতে সরকার কঠোর হচ্ছে না কেন? এ ব্যাপারে তো রাষ্ট্রের কোনো দুর্বলতা থাকার কথা নয়। তাহলে এ জায়গাটাতে সরকারের এত কার্পণ্যতা কেন?
আসলে দেশে যারা লিডিংয়ে আছেন তাদের নিরাপদ খাদ্যের কথা বেশি ভাবতে হবে। সেই ভাবনাটা দেশে বোধ করি একটু কমই আছে। তানা হলে এত ভেজাল খাবার কেন দেশে? আইন থাকলেও ভেজাল ব্যবসায়ীদেরকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না কেন? সচেতন মহলের অভিযোগ, দেশে ল্যাব পরীক্ষা করার সুযোগ থাকলেও শিশু খাদ্যের অন্যতম উপাদান দুধে ফরমালিন মেশানোর বিষয়টিতে এখনো গুরুত্ব দেয়নি বিএসটিআই। এছাড়া সিটি কর্পোরেশন আমলে না নেওয়ায় নগরীর ছোট বড় অধিকাংশই দুগ্ধজাত প্রতিষ্ঠানে অবাধে ভেজাল ও বিষাক্ত উপাদানযুক্ত দুধ, চাল, আটা, ডাল, মাছ ও ফলমূলসহ নানা বিষাক্ত খাদ্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে। কোনো কোনো বছর রমজানের সময় মোবাইল কোর্ট বসিয়ে ভেজাল এবং নিম্নমানের খাদ্যপণ্য বিক্রেতা ও উৎপাদনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে বিষাক্ত খাদ্যের ছোবল থেকে দেশকে বাঁচাতে এখনো সময়োপযোগী কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। শুধু বাজারই বিষ মেশানো খাদ্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে না। নামিদামি হোটেল, চায়নিজ রেস্টুরেন্ট, রেস্তোরাঁ ও ফাস্টফুডের দোকানদাররা এ ধরনের খাদ্য দেদারছে বিক্রি করছে। আর আমরাও জেনেশুনে প্রতিনিয়ত বিষ খেয়ে চলেছি।
যত অনৈতিকই হোক, যতই বিষাক্ত হোক, মানুষ বেঁচে থাকুক আর মরুক তাতে যায় আসে না এদেশের মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের কাছে। তা তাদের কোনো বিবেচনার বিষয়ও নয়। মাছ, ফল, সবজি, দুধ, সব কিছুতেই ফরমালিন মিশিয়ে দীর্ঘদিন টাটকাভাব রাখার জন্য যে কৌশল তা সত্যিই খুই অনৈতিক। মাছ তাজা রাখার জন্য সাধারণত বরফ দেওয়া হয়ে থাকে। এটা বহুকাল ধরে চলে আসছে। বরফ দেওয়া কোনো অপরাধের বিষয় নয়। যেহেতু বরফের চেয়ে ফরমালিনের দাম কম, অল্পতেই কাফি! তাই বরফের বদলে ফরমালিন দিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। ফরমালিনের কার্যকারিতা বেশি বলে বরফেও কয়েক ফোঁটা ফরমালিন মিশিয়ে দেওয়া হয় এখন। তাতে ভেজালটা ধরবার ক্ষমতা নেই। ভাবা কি যায় নৈতিকতার মান কোথায় নেমেছে! আজকাল নাকি কিছু ঠকবাজ ব্যবসায়ী ফরমালিন মেশানো মাছের ওপর কিছু গুড়, চিনি জাতীয় খাবার ফেলে রাখে। তাতে মাছে মাছি এসে বসে। এসব দেখে ক্রেতা ভাবে মাছ ফরমালিন মুক্ত। এভাবে ক্রেতাদের ধোঁকা দেওয়ার কৌশলও তারা আবিষ্কার করছে। ছি! কী সর্বনাশের কথা! জাতি হিসেবে আমরা কত নিচে নেমে গেছি।
কেমিক্যাল একটি সংরক্ষিত ক্ষতিকর পদার্থ, যা সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে অতি সাবধানতায় বিশেষ বিশেষ কাজে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু অধুনা সর্বত্র এর যথেচ্ছ ব্যবহার দেখে মনে হচ্ছে এটা লবণের মতো অতি সস্তা, সহজলভ্য এবং ব্যবহারযোগ্য। আর এসব কেমিক্যাল মিশ্রিত ভেজাল খাবার খাচ্ছি আমরা। রোগবালাইও হচ্ছে। শরীরে ক্যান্সারের মতো কঠিন ব্যাধি বাসা বাঁধছে। ফরমালিনসহ খাবারে ব্যবহৃত ক্ষতিকারক কেমিকেল বিভিন্ন কাজে লাগে। ক্ষেত্রবিশেষ এটা দরকারিও। তাই আমদানি একেবারে নিষিদ্ধ করার উপায় নেই। তবে আমদানি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আমদানিকারক ও ক্রেতাদের ওপর নজরদারি রাখতে হবে। ফরমালিন বা অনুরূপ রাসায়নিক দ্রব্যে বিক্রয় ও ব্যবহারে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে।
ভাবা কি যায় আমাদের নৈতিকতার মান কোথায় নেমেছে? ছি! জাতি হিসেবে আমরা কত নিচে নেমে গেছি। দেশের মানুষকে আগে সুস্থ রাখতে হবে। ভেজালমুক্ত খাদ্য মানুষের হাতে তুলে দেওয়ার বিকল্প নেই।
সরকারকে জনগণের জন্য ভেজালমুক্ত খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। আমরা চাই সুস্থ সবল সোনার দেশ। চাই সুস্থ মানুষ।
মীর আব্দুল আলীম : সাংবাদিক, সমাজ গবেষক, মহাসচিব-কলামিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ