আমাদের ভাষাবোধ ও বইমেলা

মনে রাখতে হবে, আমাদের ভাষা আন্দোলন কেবল অতীতের স্মৃতি নয়, ভবিষ্যতের জন্য পথপ্রদর্শক। আসলে মাতৃভাষার মাধ্যমে জ্ঞানচর্চাই জাতীয় অগ্রগতির চাবিকাঠি। চীন, জাপান, কোরিয়া, জার্মানি প্রভৃতি রাষ্ট্র মাতৃভাষাকে কেন্দ্র করে আত্মনির্ভরশীল হতে পারলে আমরা কেন ইংরেজিনির্ভর থাকব! আমাদের মূল বাধা কোথায়? আমাদের মধ্যে ভাষাবোধ ভাষাচেতনা জাগাতে হবে। বিকাশ ঘটাতে হবে দেশপ্রেম, স্বজাতিপ্রীতি এবং সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধের।

প্রকাশ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

সালাম সালেহ উদদীন
মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনা প্রতিটি বাঙালি সত্তায় মিশে আছে। বাঙালি জাতিসত্তার স্মারক এই অমর একুশে। বাঙালির আত্মপরিচয় ও আত্মানুসন্ধানের উজ্জ্বল প্রতীক। ভাষা আন্দোলনের রক্তাক্ত পথ ধরেই এসেছে মহান মুক্তিযুদ্ধ। মাতৃভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতির একটি গৌরবময় অধ্যায়, তেমনি মুক্তিযুদ্ধও বাঙালি জাতিসত্তার মূলমন্ত্র। এ বছর বাঙালি পালন করছে স্বাধীনতার ৫৩ বছর। একমাত্র বাঙালি জাতি ছাড়া পৃথিবীর কোনো জাতি ভাষার জন্য প্রাণ দেয়নি, এত প্রাণ যায়নি অন্য কোনো দেশের স্বাধীনতার জন্যও। এ দুটোই বাঙালির অহংকার। মানুষের ভাষা ব্যবহারের সংখ্যাতাত্ত্বিক হিসেবে বাংলা ভাষার অবস্থান সপ্তম। আমাদের মাতৃভাষার জন্য এ এক বিশাল গৌরব। পৃথিবীতে চার সহস্রাধিক ভাষার মধ্যে সপ্তম স্থানে থাকা বাংলা ভাষা প্রকৃত অর্থেই দাবি করতে পারে গৌরবের আসন। প্রায় ২৫ কোটিা অধিক মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে। এ সংখ্যাতত্ত্বও আমাদের মাতৃভাষার গৌরবের অন্যতম ভিত্তি। এ ছাড়াও বাংলা জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে মর্যাদা পাওয়ার অপেক্ষায়। অচিরেই হয়তো এ ঘোষণা আমরা শুনতে পাব। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এর জন্য বিশাল বাজেট প্রয়োজন। পৃথিবীতে বেদনা ও গৌরবের আশ্চর্যজনক বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে দেশে দেশে। আমাদের রয়েছে গৌরবময় দুটো ঘটনা- যার মধ্যে শোক ও বেদনা নিহিত। একটা ভাষা আন্দোলন, ১৯৫২ সালে যার বিপুল স্ফুরণ ও আত্মত্যাগ হয়েছিল। আর একটা স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম, ১৯৭১ সালে। বিপুল আত্মত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে পাওয়া। মূলত একাত্তরের সূচনাই হয়েছিল বায়ান্নতে। পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় সব মানুষ ভাষা আন্দোলনে প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষভাবে যোগ দিয়েছিল। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে তা হয়নি। মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান রক্ষার জন্য একটি বিশেষ গোষ্ঠী মরিয়া হয়ে উঠেছিল। আর সে কারণে একুশে ভাষার জন্য যুদ্ধ এবং একাত্তরে স্বাধীনতা বা স্বাধিকার অর্জনের জন্য যুদ্ধ প্রকরণগতভাবে ভিন্ন হলেও এর উদ্দেশ্য ও মূল সুর চেতনা একই। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পরপরই স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্ব রোপিত হয়েছিল। সেই রোপিত বীজের নাম ভাষা আন্দোলন, রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা ভাষার প্রতিষ্ঠা। ১৯৪৮ সালে প্রথম প্রতিবাদ উঠেছিল। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ইতিহাসে এ সম্ভাবনাময় দেশ পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে এক ভূখন্ডের লড়াইয়ে লিপ্ত বাঙালি ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতা। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে শহীদ হয়েছে বাংলাদেশের ভাষাপ্রাণ মানুষ সালাম, রফিক, শফিক, জব্বারসহ অনেকেই। মূলত বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনই বাঙালির স্বাধিকার অর্জনের প্রকৃত ভিত্তি। এর রক্তাক্ত পথ বেয়েই বাঙালি স্বাধিকার অর্জনের পথে এগিয়ে যায়। যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তবে এ ক্ষেত্রে তমদ্দুন মজলিসের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৪৭ সালের অক্টোবর মাসব্যাপী ভাষা আন্দোলনের পক্ষে গণসংযোগ ও আইন পরিষদ সদস্যদের সঙ্গে তমদ্দুন মজলিস মতবিনিময় কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য তমদ্দুন মজলিস দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমর্থন আদায়ে মাঠে নেমেছিল। সে জন্য কয়েকটি মেমোরেন্ডামে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযানে তারা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবির প্রতি সমর্থন আদায় করেছে। ১৯৪৭ সালের ১২ ডিসেম্বর উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার দাবিদার একদল সন্ত্রাসী বাস ও ট্রাকযোগে স্স্নোগান দিতে দিতে মেডিকেল কলেজ হোস্টেলে হামলা করলে, সে ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে পলাশী ব্যারাকে তমদ্দুন মজলিস প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। সন্ত্রাসীদের নগ্ন হামলার বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন নেতারা এবং বাংলাকে অবিলম্বে রাষ্ট্রভাষারূপে গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান। ওই ঘটনার প্রতিবাদে পরদিন ১৩ ফেব্রম্নয়ারি ঢাকার সরকারি অফিসে ধর্মঘট আহ্বান করে তমদ্দুন মজলিস। ৩০ ডিসেম্বর, ১৯৪৭ তারিখে গঠিত হয় তমদ্দুন মজলিসের রাষ্ট্রভাষা সাব-কমিটি নামে প্রথম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। ভাষা আন্দোলন নিয়ে রচিত হয়েছে বহু অমর গান। গীত হয়েছে সংগ্রামী গণসঙ্গীত। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের সময় ভাষাসৈনিক গাজীউল হক রচিত ও সুরারোপিত গান ভুলবো না, ভুলবো না একুশে ফেব্রম্নয়ারি, কবিয়াল রমেশ শীল লিখলেন ও গাইলেন ভাষার জন্য জীবন হারালি/বাঙালি ভাইরে রমনার মাটি রক্তে ভাসালি। আবদুল লতিফ লিখলেন ও গাইলেন ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়। আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী রচিত ও শহীদ আলতাফ মাহমুদ সুরারোপিত 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রম্নয়ারি। অতুল প্রসাদের গানে রয়েছে ভাষার কথা, যে ভাষার জন্য শহীদ হয়েছে বাংলা মায়ের অকুতোভয় সন্তানরা। সে গানের ভেতরে খুঁজে পাওয়া যায় সম্ভাবনার বাণী। তার অমর সেই গান মোদের গরব মোদের আশা, আ-মরি বাংলা ভাষা। তোমার কোলে তোমার বোলে কতই শান্তি ভালোবাসা, কী জাদু বাংলা গানে, গান গেয়ে দাঁড় মাঝি টানে; গেয়ে গান নাচে বাউল, গান গেয়ে ধান কাটে চাষা। গণসঙ্গীত বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা, আজ জেগেছে এই জনতা; 'নওজোয়ান নওজোয়ান বিশ্বে জেগেছে নওজোয়ান; যখন প্রশ্ন ওঠে যুদ্ধ না শান্তি, আমরা জবাব দিই শান্তি, শান্তি। এমনি ধরনের গানে সম্ভাবনার বাংলাদেশের রূপই ফুটে ওঠে। আর এ রূপটি একাত্তরের ২৬ মার্চ বাস্তবায়িত হয় বাংলাদেশ নামে, আমাদের প্রাণপ্রিয় এই দেশের অভু্যদয় ঘটে- যার মূল প্রেরণা বাঙালির ভাষা অন্দোলন। ভাষা অন্দোলনের চেতনাবাহী অমর একুশের বইমেলা। এই মেলায় দেখা যায় বিপুলসংখ্যক বাংলা বইয়ের উপস্থিতি। গল্প, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধসহ অসংখ্য বিষয়ের বাংলা বই। বাংলা একাডেমির বইমেলা প্রাঙ্গণজুড়ে হাজার হাজার আবালবৃদ্ধবনিতা বাংলায় কথা বলছে প্রাণের আবেগে। এটাই আমাদের ভাষা আন্দোলনের অর্জন ও সফলতা। সর্বস্তরে বাংলা ভাষার সুষ্ঠু ব্যবহার হচ্ছে না বলে যে দুঃখ, তা মূলত প্রমিত বাংলার জন্য। মাতৃভাষা তো শিখতে হয় না। দেশের নিরক্ষর মানুষও মাতৃভাষায় কথা বলে অনর্গল। তা নিয়ে কারোর কোনো আক্ষেপ নেই। কিন্তু আনুষ্ঠানিক পরিবেশে আনুষ্ঠানিক শোভন পোশাকের মতো শোভন ভাষাটা আমরা চাই। ঘাটতি আমাদের সেখানেই। আর এটা যদি আমরা সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠিত করতে না পারি তাহলে বাংলা ভাষার জন্য আমাদের আন্দোলন-সংগ্রাম বৃথা হয়ে যাবে। বই হচ্ছে একজন লেখকের জন্য সন্তানতুল্য। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হলো, বইয়ের কদর ও উপযোগিতা ধীরে ধীরে উঠে যাচ্ছে। সব শ্রেণির শিক্ষিত মানুষের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে উঠছে না। বরং তথ্যপ্রযুক্তির চরম বিকাশের যুগে মানুষের জীবনযাপন কঠিন ও অধিকতর সংগ্রামশীল হওয়ায় মানুষ আস্তে আস্তে বইবিমুখ হয়ে পড়ছে। এই বন্ধ্যাভাব কাটিয়ে ওঠার জন্য রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা, উদ্যোগ ও পরিকল্পনা দরকার। সরকারি উদ্যোগে বই কেনা, পাড়ায় পাড়ায় লাইব্রেরি গড়ে তোলা, বইকেন্দ্রিক সেমিনার-সিম্পোজিয়াম করা এ ক্ষেত্রে খুবই জরুরি। কেবল ফেব্রম্নয়ারি মাস এলে বাঙালির মধ্যে ভাষাবোধ ভাষাচেতনা জাগ্রত হবে, বাঙালি বইমুখী হবে আর সারা বছর থাকবে উদাসীন; এটা গ্রহণযোগ্য নয়। বই এমন জিনিস যা কেউ না কেউ পড়বেই। বই জলের মতো গড়িয়ে তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছায়। কিন্তু বইকে তো গড়ানোর সুযোগ দিতে হবে। আর সে জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। তৃণমূল পর্যায়ে কীভাবে বই পৌঁছে দেয়া যায় তার সফল পরিকল্পনা ও উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকেই। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে কেবল একটি স্বাধীন ভূখন্ড নয়, নৃতত্ত্ব জাতিতত্ত্বের মতো ভাষাতত্ত্বের অনেক সম্পদ আমরা উত্তরাধিকারসূত্রে লাভ করেছি। আমাদের আজকের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষা সমগ্র জাতির শত-সহস্র বছরের সাধনার ফসল। তবে আমাদের দুর্ভাগ্য যে, মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে কেন্দ্র করে যখন জাতিসত্তার বিকাশ ঘটতে থাকে তখন থেকেই আমরা একটা বৈরী পরিবেশের মধ্যে পড়ে যাই। ভাষা আন্দোলন সরাসরি আঘাত করল সামন্ত সংস্কৃতিকে জোরদার করার ওই রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের গোড়াতে। ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের জায়গায় সে নিয়ে এলো ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদকে। তবে ভাষার ব্যাপারে বাঙালি আগে থেকেই আপসহীন প্রতিবাদী ছিল। সতেরো শতকের কবি আবদুল হাকিম সুউচ্চ কণ্ঠে বলেন, বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে যে ব্যক্তি হিংসে বঙ্গ বাণী, সে ব্যক্তি যেন এ দেশ ত্যাগ করে অন্য দেশে চলে যায়। তিনি তার জাত তুলেও কটু মন্তব্য করেন। উনিশ শতকে মীর মশাররফ হোসেন বলেন, 'মাতৃভাষার প্রতি যাহার ভক্তি নাই, সে মানুষ নহে'। এখন প্রশ্ন হলো, মাতৃভাষার এত বড় গৌরব ও অর্জনকে আমরা কি সঠিক উপলব্ধি করতে পেরেছি? আমাদের মধ্যে কি ভাষাবোধ জাগ্রত হয়েছে? আজকাল প্রবীণদের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েরা গোলস্নায় গেছে। ইংরেজি বলা তো দূরের কথা, শুদ্ধ করে বাংলা পর্যন্ত বলতে পারে না। সরকারি- বেসরকারি উপর মহল থেকে হামেশা বলা হচ্ছে বিশ্বায়নের যুগে আমাদের টিকে থাকতে হলে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে হবে। বিশেষ করে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান, তথ্যপ্রবাহ, মুক্তবাজার অর্থনীতি ইত্যাদির কারণে ইংরেজি ভাষাজ্ঞান ও লিখন-কথনের দক্ষতা ছাড়া গত্যন্তর নেই। অতএব, আমাদের ইংরেজি শিখতেই হবে। পরিস্থিতি এমন যে ইংরেজি বিদ্যা অর্জন করতে না পারলে কোনো শিক্ষা হয় না, সব বিফলে যায়। এ মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। পাশাপাশি রোধ করতে হবে বাংলা ভাষার বিকৃতিও। কারণ ইদানীং সিনেমা, নাটকে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে যে ভাষা ব্যবহার করা হয় তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এর জন্য কি বাঙালি ভাষার জন্য রাজপথে রক্ত দিয়েছিল? মনে রাখতে হবে, আমাদের ভাষা আন্দোলন কেবল অতীতের স্মৃতি নয়, ভবিষ্যতের জন্য পথপ্রদর্শক। আসলে মাতৃভাষার মাধ্যমে জ্ঞানচর্চাই জাতীয় অগ্রগতির চাবিকাঠি। চীন, জাপান, কোরিয়া, জার্মানি প্রভৃতি রাষ্ট্র মাতৃভাষাকে কেন্দ্র করে আত্মনির্ভরশীল হতে পারলে আমরা কেন ইংরেজিনির্ভর থাকব! আমাদের মূল বাধা কোথায়? আমাদের মধ্যে ভাষাবোধ ভাষাচেতনা জাগাতে হবে। বিকাশ ঘটাতে হবে দেশপ্রেম, স্বজাতিপ্রীতি এবং সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধের। \হএর জন্য আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় এর প্রতিফলন ঘটাতে হবে। দেশ, সমাজ, সংস্কৃতি ও মাতৃভাষাকে উপেক্ষা করে এসব অর্জন করা যাবে না। সালাম সালেহ উদদীন : কবি, কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক ও কলাম লেখক