পাঠক মত

প্রবীণরা অবহেলার শিকার না হোক

প্রকাশ | ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মানুষের জীবনকালের একটি বড় অংশজুড়ে রয়েছে বার্ধক্যের সময়। বিশ্বের অধিকাংশ দেশগুলোতে ৮০ বছরের বেশি বয়সকে বার্ধক্যের সময় ধরা হলেও বাংলাদেশে ৬০ বছরের অধিক বয়সকে বার্ধক্যের সময় ধরা হয়। বাংলাদেশ সরকারের হিসাবে, বর্তমানে দেশে এক কোটি ৫০ লাখের অধিক প্রবীণ রয়েছে। যেটির সংখ্যা ২০২৫-এ এক কোটি ৮০ লাখ এবং ২০৫০-এ চার কোটি ৫০ লাখ ছাড়াবে। বার্ধক্য হলো সেই সময়, যে সময় থেকে মানুষের শারীরিক দুর্বলতা এবং রোগব্যাধি মানুষকে মারাত্মকভাবে গ্রাস করে এবং তাদের পক্ষে একা চলা বা একা সব কাজ করা সম্ভব হয়ে উঠে না আর। ফলে তাদের যত্নে, দেখাশোনায় সর্বদা কারও সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। বার্ধক্যতে একজন ব্যক্তির পক্ষে আর কঠিন পরিশ্রমের কাজ করা সম্ভব হয়ে উঠে না। যার দরুন তাদের উপার্জন করা ছেড়ে দিতে হয়। বার্ধক্যকালে শরীরে দেখা দেয় নানা রোগ, কমে যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, শরীরের শক্তি ও সবলতা। তবে বার্ধক্যকালেও অভাবের তাড়নায় অনেকেই ভারী ও কঠিন কাজ করে থাকে। যা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকির কারণ। এ ছাড়া এই বয়সে পরিবার থেকে অবহেলার শিকারও হয়ে থাকে অনেক বৃদ্ধরা। অনেকে সঠিক চিকিৎসার কারণে অসুস্থতায় দিনযাপন করে থাকে। কেউ কেউ সন্তান না থাকায় বা সন্তানদের অবহেলার কারণে থাকেন বৃদ্ধাশ্রমে। সরকার থেকে বয়স্কদের জন্য বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য। তাই প্রবীণ বা বয়স্কদের সুরক্ষায় এবং যত্নে আমাদের সবার একইসঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রবীণদের কল্যাণে সরকারের উচিত বয়স্ক ভাতা বৃদ্ধি করা এবং তাদের জন্য সরকারি মেডিকেলগুলোতে ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেওয়া। প্রবীণদের সন্তানের অবহেলায় শাস্তির যে বিধান রয়েছে, তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা। প্রতিবছর ১ অক্টোবর, বিশ্ব প্রবীণ দিবসে প্রবীণদের সুরক্ষায় ও যত্নে বিশেষভাবে গণসচেতনতা গড়ে তোলা উচিত, যাতে অবহেলিত না হয় একজন প্রবীণও। মিনহাজুর রহমান মাহিম শিক্ষার্থী বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া আমরা কীসে ভয় করি? মানুষ সবসময় আপাদমস্তক ভেবেই জীবনে চলতে ভালোবাসে। তা যে যার বয়সের সীমায় চিন্তায় জীবন-যাপন করে। দুরদর্শী চিন্তা করতে পারে এমন বুদ্ধিদীপ্ত রণকৌশলী মানুষ খুব কম জন্মায় তাও নয়।পৃথিবী চৌকস মানুষ দ্বারা এগিয়ে যায়।আর কিছু বোকাসোকা লোকের দ্বারা পৃথিবী পরিবারের অবনয়ন ঘটে। এই পরিস্থিতিতে হাল ধরার লোক তাই খুবই প্রয়োজন। আমরা সামাজিক জীব। যদিও আমরাই সমাজ তৈরি করি এবং সাজাই। কিন্তু এরপর শুরু হয় সমাজের বিরাজমান নানা চিন্তার মানুষদের নিয়ে গবেষণা কে কী ভাববে তার ভয় আর আশংকা। আপনি দেখবেন সমাজকে ঢালি ঢালি দিয়ে যদি সম্মান করা যায় তাহলে আপনি ভালো ও উদার মনের সৎ মানুষ। কিন্তু যে কাজটি ঘটে গেছে যেকোনো ভাবে তার কঠিন সত্যটা দাঁড় করাতে গেলে শুরু হয় তার নামে নানা বদনাম ও সমাজ থেকে বিতাড়িত করার নানা অপকৌশলের আশ্রয়। সেই মানুষটি তখন কোথাও ঠাঁই না পেয়ে অবসাদে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে আমরা বেগ পাই অচেনা অজানা পথে হাঁটছি বলে। অথচ এটা বুঝি না মায়ের গর্ভ থেকে আসার পর এ পৃথিবীর সবকিছুই আমাদের অচেনা অজানা ছিল। আমরা দৃঢ় অবস্থান জানান দিয়ে পরতে পরতে সব শিখছি এবং জানছি। একে অপরের আপন হচ্ছি। দেশ বিদেশ বলতে যা বুঝি সবই একটি পৃথিবীর বিভিন্ন ভূখন্ড মাত্র। আমরা মহাবিশ্বের দুর্গ প্রাচীরে এক ও অভিন্ন। আমরা কেন এত ভয় পাই সামনে এগুতে? তার কারণ হলো মানুষের ভিতর মানবতা, বিনয়ী কোমল হৃদয় আজ অনেকটা ফিকে হয়ে গেছে। মানুষই হত্যা করছে মানুষকে অবলীলায়। বর্তমান ফিলিস্তিন ইসরাইলের কিংবা রাশিয়া, ইউক্রেনের কথায় বলি। অহমিকা, ক্ষমতার দাপট দেখিয়েই চলেছি আমরা। অথচ একদিন মৃতু্যতে সব ছেড়ে চিরতরে চলে যাব। মানুষকে মায়া ও ভালোবাসা দিয়ে পাশে থাকাই বর্তমান বিশ্বে শান্তির অনন্য উপায়। সেবাই পরম ব্রত হওয়া উচিত। মানুষের সাথে প্রকৃতির নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠলে নিশ্চিত হানাহানি অরাজকতা বন্ধ হবে। সম্পর্ক এগিয়ে যাবে তখন শান্তির বার্তা হয়ে। দূর থেকে কাছের হয়ে আপন আলোয় আলোকিত করবে পরিবার, সমাজ তথা গঠিত হবে একটি উন্নত জাতির শান্তির পৃথিবী। পারভীন আকতার চট্টগ্রাম