ফেরি ডুবি দ্রম্নত কার্যকর পদক্ষেপ নিন
প্রকাশ | ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
অনলাইন ডেস্ক
পাটুরিয়ার কাছে ঘন কুয়াশার মধ্যে যানবাহন নিয়ে পদ্মায় ডুবে গেছে একটি ফেরি। বুধবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটে বিআইডবিস্নউটিসির ফেরি রজনীগন্ধা-৭ ডুবে যায়। এরপর আরিচা ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি ইউনিট সেখানে গিয়ে কাজ শুরু করে। ঢাকার সিদ্দিকবাজার থেকে আরো একটি ডুবুরি ইউনিট ঘটনাস্থানে যায়। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা সেখানে ছয়জনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে কারো মৃতু্যর তথ্য মেলেনি, তবে পরে একজন মারা গেছে। ফেরির সেকেন্ড ড্রাইভার হুমায়ূন কবিরের (৩৯) খোঁজ মেলেনি। ইউটিলিটি ফেরি রজনীগন্ধা মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে দৌলতদিয়া থেকে সাতটি ছোট ট্রাক এবং দুটি বড় ট্রাক নিয়ে পাটুরিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। কিন্তু পাটুরিয়ার কাছাকাছি গিয়ে ঘন কুয়াশার কারণে নদীতে নোঙর করে। সকালে আবার রওনা হয়ে ৫ নম্বর ঘাটের কাছাকাছি গিয়ে সেটি দুর্ঘটনায় পড়ে। অনেকেই বলছেন, কোনো বাল্কহেড ধাক্কা দেয়নি। নিচ দিয়ে পানি উঠে ডুবে গেছে। নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে ফেরিটি ঘাটের কাছাকাছি নোঙর করা ছিল। একটি ছোট মালবাহী জাহাজ ফেরিটিকে ধাক্কা দিলে সেটি ডুবে যায়। অন্যদিকে, নদীতে ডুবোচরে ধাক্কা খেয়ে ফেরির তলা ফেটে গিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে নৌপুলিশ। তবে ফেরিতে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা বলছেন, ফেরিতে পানি উঠে কাত হয়ে ধীরে ধীরে ফেরিটি তলিয়ে যায়। জেলা প্রশাসক রেহানা আকতার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও খোঁজখবর নেন। ফেরিডুবির কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, কী কারণে ফেরিটি ডুবেছে, তা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। ডুবে যাওয়া ফেরিটি উদ্ধারে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে পাটুরিয়ায় পৌঁছেছে বিআইডবিস্নউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা। আরেক উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তমও মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ঘাট থেকে রওনা হয়েছে। যে করেই হোক এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে হবে। আমরা দীর্ঘদিন থেকেই লক্ষ্য করে আসছি, প্রায়ই নদী পথে দুর্ঘটনা ঘটছে। শীত মৌসুমে ঘন কুয়াশার কারণেও ঘটছে দুর্ঘটনা। এসব বিষয়ে সচেতন হতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে নদী পথে যাতায়াতের নিরাপত্তা।
আমরা মনে করি, যে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যথাযথ তদন্ত শেষে কমিটি সঠিক রিপোর্ট দেবে। এর আগেও আমরা দেখেছি, কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি রিপোর্টও দেয়। কিন্ত কাজের কাজ কিছুই হয় না। আবার দুর্ঘটনা ঘটে। মানুষ মারা যায়। যে করেই হোক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে হবে। সরকারের পরিকল্পিত উদ্যোগই কেবল পারে নৌপথে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে।