নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীরা আত্মবিশ্বাসী হোক
নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ ও শ্রেণিকক্ষের বাইরে শিক্ষকগণের সহযোগিতায় নতুন শিক্ষাব্যবস্থা হাতে-কলমে শিখবে ও আত্মবিশ্বাসী হবে। তারা মেধা, মননে, দক্ষতায়, সৃজনশীলতায় নিজেকে যে কোনো পরিবেশে উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে সক্ষম হবে এবং একই সঙ্গে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন করবে। পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে টিকে থাকার প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হবে।
প্রকাশ | ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
মোহাম্মদ নজাবত আলী
আধুনিক যুগের ইতিহাস আলোচনা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, যুগে যুগে দেশে দেশে যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে এর মূলে রয়েছে শিক্ষা। শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি উন্নতি করতে পারে না এটা যেমন সত্য, তেমনি শিক্ষা জাতি গঠনেরও মূল স্তম্ভ। জাপানের এক ভদ্রলোককে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আপনার দেশ যুদ্ধবিধ্বস্তের পরও এত উন্নত কেন? ভদ্রলোকটি তাৎক্ষণিক উত্তর দিয়েছিলেন শিক্ষা। যুদ্ধের পর শিক্ষাই জাপানকে উন্নতি, সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে গেছে। এ কারণে যুগে যুগে জ্ঞানী গুণী, মনীষীরা শিক্ষার মাহাত্ম্যের কথা বর্ণনা করেছেন প্রবন্ধ, পুস্তক, পুস্তিকা আকারে। তাই শিক্ষাকে সভ্য জাতির মূল স্তম্ভ হিসেবে ধরা হয়।
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার কিছু ত্রম্নটিবিচু্যতির মাঝেও যথাসময়ে পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া বাংলাদেশের শিক্ষার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা। প্রতিবছর ১ জানুয়ারি সারা দেশে পাঠ্যবই উৎসব পালিত হয়ে আসছে। নতুন বছরে নতুন আশা উদ্দীপনা, স্বপ্ন নিয়ে শিক্ষার্থীরা নানা রঙ বে-রঙয়ের নতুন বই হাতে পেয়ে তাদের মাঝে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে প্রতিবছর ১ জানুয়ারিতে যে শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেওয়া হয় সেটা সরকারের একটি মহতি উদ্যোগ এতে কোনো সন্দেহ নেই। নতুন বছরে নতুন শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নতুন বইয়ের সোদাগন্ধে আনন্দে আত্মহারা। তাদের উচ্ছ্বাস ও আনন্দ দেখে মনে হয় এরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যতে তাদের মেধায় দেশ এগিয়ে যাবে ও আলোকিত সমাজ গড়ে উঠবে। মানসম্মত শিক্ষাই পারে দেশকে সার্বিক দিক থেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। এ কারণে প্রতিটি দেশ যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করে থাকে। সমাজ ও যুগের চাহিদা এবং সমকালীন জ্ঞানের যে বিস্তার ঘটেছে তার দিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের দেশেও শিক্ষানীতি চালু করে। এ শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে যেন সর্বোত্তম ফল লাভ করা যায়। সেজন্য শিক্ষা নিয়ে গবেষণা বা ভাবনার শেষ নেই। যুগে যুগে প্রতিটি দেশে জ্ঞানী গুণী মনীষীদের ভাবনায় শিক্ষাই প্রাধান্য পেয়েছে। তাই একক সময়ে শিক্ষাব্যবস্থা পরিবর্তন, বিয়োজন ও নিত্যনতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করে শিক্ষাকে অর্থবহ করা হয়েছে।
বর্তমান সরকার একটি নতুন ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা ও পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করেছেন। ইতিমধ্যে দু'ধাপে শিক্ষকগণের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণও সম্পন্ন হয়। নতুন এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা গেলে একজন শিক্ষার্থী সব পরিবেশ পরিস্থিতিতেই নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবে এবং জীবন জীবিকার ব্যবস্থা করতে পারবে। প্রকৃত শিক্ষা একজন ব্যক্তির শ্রীবৃদ্ধি করে সামনে এগিয়ে চলার সব বাধাবিপত্তি অপসারণ করে। আবার শিক্ষার লক্ষ্য হলো একজন ব্যক্তিকে রুচিশীল করা এবং এর ধারাবাহিকতায় দক্ষ মানবসম্পদ তৈরী ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। নতুন শিক্ষাক্রমে একজন শিক্ষার্থী নিজেকে একজন সজ্জন সম্মানীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত করতে পারবে। অন্তর্নিহিত শক্তি ও সম্ভাবনা জাগ্রত হবে। সুকুমার বৃত্তির উন্বেষ ঘটিয়ে সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাবে। শিক্ষাক্রম একটি জাতির ঐতিহ্য সংস্কৃতিকে ধারণ করে এবং বর্তমান ও অনাগত প্রজন্মকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করে। সাধারণত শিক্ষাক্রম বলতে যা বুঝায়, সুনির্দিষ্ট কয়েকটি লক্ষ্যের ভিত্তিতে নির্ণিত শিখন অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীর বয়স ভেদে পঠন, পাঠন সামগ্রী এবং শিক্ষাদান কার্যাবলির সমন্বিত রূপকেই শিক্ষাক্রম বলে। বর্তমান শিক্ষাক্রমে পরীক্ষা ও পাঠ্যপুস্তকের বোঝা কমিয়ে আনা, মুখস্থবিদ্যা পরিহার, শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক পড়াশুনা, খেলাধুলা ও সৃজনশীলতার বিকাশ, জীবন ও জীবিকার সঙ্গে সম্পর্কিত শিক্ষা, শিখন কাজ শ্রেণিকক্ষেই সম্পন্ন, শিক্ষার্থীর অভিজ্ঞতা ও কার্যক্রম ভিত্তিক শিখনে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। জ্ঞান, দক্ষতা, মূল্যবোধ, দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনে শিক্ষার্থীর যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়েছে। একজন শিক্ষার্থীর শিখন দক্ষতা বা পারদর্শিতা শিক্ষক মূল্যায়ন করবেন প্রারম্ভিক, অন্তর্বর্তীকালীন এবং পারদর্শিতায়। মূলত বলা যায়, একজন শিক্ষার্থী এ শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাসী যেমন হবে তেমনি নতুন কোনো পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ব্যক্তি স্তরভেদে কথা ও ভাষাজ্ঞানে দক্ষ হয়ে উঠবে। বিগত শিক্ষানীতির কিছু নির্দেশনাও রয়েছে। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করতে গেলে একজন শিক্ষককে আগে থেকেই পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের টিজি গাইড অনুসরণ করার কোনো বিকল্প নেই। যে কোনো শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করেন শিক্ষকরা। তাই শিক্ষকদের আরও দায়িত্বশীল হয়ে শিক্ষার্থীদের সত্যিকার অর্থে জ্ঞান, দক্ষতা, মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনে শিক্ষকরাই বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবেন। এখানে মুখস্থের তেমন কিছু নেই। শ্র্রেণিকক্ষের বাইরেও শিক্ষার্থীর শেখার বিষয় রয়েছে। শিখন শিক্ষণ পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। একজন শিক্ষার্থী বাস্তব অভিজ্ঞতার মাধ্যমে নতুন পরিস্থিতিতে নিজেকে কীভাবে মর্যাদা বজায় রেখে গড়ে তুলবে সেটা তারা শিখবে। বাস্তবায়নে কিছুটা চ্যালেঞ্জ থাকলেও সময়ের প্রয়োজনে তা ঠিক হয়ে যাবে আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা তাই বলে।
আমাদের দেশও শিক্ষায় পিছিয়ে নেই। একটি দক্ষ জনগোষ্ঠীও আলোকিত সমাজ গঠনে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। তাই শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি উন্নতি করতে পারে না। বিশ্বে যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত। কেননা একটি জাতির উন্নতির প্রথম সোপানই হচ্ছে শিক্ষা। এ পেশায় যারা জড়িত তারা অত্যন্ত কষ্ট করে নিজের মেধা, কলাকৌশল প্রয়োগ করেন শ্রেণিকক্ষে। যাতে করে প্রিয় শিক্ষার্থীরা শিক্ষায় আগ্রহী হয়ে ওঠে। একজন শিক্ষক তার অন্তরের সব কিছু উজাড় করে দেন শিক্ষার্থীর মাঝে। দেশের শিক্ষক সমাজ এমন একটি পেশা বা প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যায়। আর এ প্রক্রিয়ার নাম হচ্ছে শিক্ষা দান প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একজন শিক্ষক শিক্ষার্থীর সুপ্ত প্রতিভার উন্মেষ ও বিকাশ ঘটিয়ে শিক্ষার্থীকে মানবিক করে তোলে। একটি পরিপূর্ণ মানুষরূপে গড়ে তোলে। একজন শিক্ষক শিক্ষার দ্বারা শিক্ষার্থীর সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটিয়ে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করে। একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলায় শিক্ষার উন্যতম লক্ষ্য- যা অর্জনের মধ্য দিয়ে একজন মানুষ প্রকৃত খাঁটি মানুষে পরিণত হয়। একজন মানুষ মনুষ্যত্বের অধিকারী হয়ে তার মনের কুপ্রবৃত্তিগুলো দূরিভূত করে সত্য ও ন্যায়বোধ জাগ্রত করে। আলো-হাওয়া স্বাদবঞ্চিত মানুষগুলোকে একজন শিক্ষক মানবিক মূল্যবোধ অর্জনে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। কাজেই প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত একজন মানুষ একটি দেশের সম্পদ। তাই শিক্ষিত জনগোষ্ঠী একটি জাতির শক্তি। শিক্ষাই জাতির আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। তাই বলা হয়, শিক্ষা একটি জাতিকে উন্নতির শিখরেই পৌঁছে দেয় না, একই সঙ্গে একটি সুন্দর আলোকিত সমাজ গঠন ও বিপুল জনগোষ্ঠীকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে।
শিক্ষা শুধু যে মানবজাতির পরিবর্তন ঘটায় তা নয়, রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, ন্যায়বিচার, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, অসাম্প্র্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। শিক্ষা সম্পর্কে বিভিন্ন মনীষী দার্শনিক তাদের সুচিন্তিত অভিমত ব্যক্ত করেছেন। প্রাচীন দার্শনিক পেস্নটো শিক্ষাকে বলেছেন, চরিত্র গঠনের হাতিয়ার। আবার অ্যারিস্টটল বলেন, শিক্ষার শিকড় যতই তিতো হোক, এর ফল মিষ্টি। এ কথার দ্বারা এটাই প্রতীয়মান হয় যে, আত্মদর্শন ভবিষ্যৎ জীবন সম্পর্কে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে যারা শিক্ষা গ্রহণে ব্রতী হয়েছেন তারা যেমন নিজেকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন, তেমনি সে শিক্ষার দ্বারা সমাজ, সভ্যতা দেশ, মানবসেবা, মানবতাবাদী চেতনায় সমৃদ্ধ একটি জাতি গঠনে সক্ষম হবে। এর ব্যত্যয় হলে শিক্ষা হবে ব্যক্তিকেন্দ্রিক, সমষ্টিগতভাবে সে শিক্ষা মানবজাতির কল্যাণে তেমন কোনো অবদান রাখতে পারে না। জাতিকে তখন অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে আসা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে। প্রকৃত শিক্ষা একজন ব্যক্তির শ্রীবৃদ্ধি করে সামনে এগিয়ে চলার সব বাধাবিপত্তি অপসারণ করে। আবার শিক্ষার লক্ষ্য হলো একজন ব্যক্তিকে রুচিশীল করা এবং এর ধারাবাহিকতায় দক্ষ মানবসম্পদ তৈরী ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। শিক্ষাই মানুষের অন্তরের সব পশুশক্তিকে দমন করে, সব সম্প্র্রদায়ের মানুষের কাছে নিজেকে একজন সজ্জন সম্মানীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত করে। অন্তর্নিহিত শক্তি ও সম্ভাবনাকে জাগ্রত করে। সুকুমার বৃত্তিগুলোর উন্বেষ ঘটিয়ে সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটায়। সর্বোপরি সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলার দৃঢ় মানসিকতা ও সামাজিক মূল্যবোধ মনুষ্যত্বের অধিকারী করে গড়ে তোলে। শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি উন্নতি লাভ করতে পারে না। যুগে যুগে যেসব জাতি উন্নতির চরম শিকড়ে আরোহন করেছে এর মূলে রয়েছে শিক্ষা।
কিন্তু স্বাধীনতার ৫২ বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের অর্জন যেমন একেবারে কম নয় তেমনি শিক্ষা ক্ষেত্রে আমাদের সাফল্যও ঈর্ষণীয়। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে গুণগত মান নির্ণয়ে ভিন্নতা বা পার্থক্য বা এক না হলেও শিক্ষায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবছর শিক্ষার হার বাড়ছে। ফলে ব্যাপক শিক্ষার্থী প্রতি বছর স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চ শিক্ষা লাভ করছে। শিক্ষা পদ্ধতি ও পরীক্ষায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিনামূল্যে বই প্রদান ও উপবৃত্তি প্রবর্তন শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারের বড় ধরনের সাফল্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনেছে। শিক্ষাব্যবস্থায় আধুনিকীকরণ মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করার ফলে গোটা শিক্ষাব্যবস্থা একটি ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। আগে উলেস্নখ করা হয়েছে, শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতির উন্নয়ন করতে পারে না। ব্রিটিশ ভারতে কলকাতায় ব্যাপক শিক্ষার প্রসারে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল, যার ফলে কলকাতায় ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছিল। শিক্ষা ও উন্নয়ন একই সূত্রে গাঁথা। বাংলাদেশে বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। একটি দেশে জনসংখ্যা রাষ্ট্রের বোঝা হয় ব্যাপক কর্মসংস্থানের অভাবে। বর্তমান নতুন শিক্ষাক্রম যথাযথ বাস্তবায়িত হলে একজন শিক্ষার্থী আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনে অনেকটা সক্ষম হবে। এক্ষেত্রে অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সহযোগিতা দরকার।
নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ ও শ্রেণিকক্ষের বাইরে শিক্ষকগণের সহযোগিতায় নতুন শিক্ষাব্যবস্থা হাতে-কলমে শিখবে ও আত্মবিশ্বাসী হবে। তারা মেধা, মননে, দক্ষতায়, সৃজনশীলতায় নিজেকে যে কোনো পরিবেশে উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে সক্ষম হবে এবং একই সঙ্গে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন করবে। পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে টিকে থাকার প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হবে।
মোহাম্মদ নজাবত আলী : শিক্ষক ও কলাম লেখক