যে কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে গণতন্ত্রের বিকাশ ও সাধারণ জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য নির্বাচন হচ্ছে তার প্রতিফলন। সে নির্বাচন স্থানীয় বা জাতীয় যে পর্যায়ের হোক না কেন। কিন্তু নির্বাচন যদি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ না হয় সেটা হবে গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত। গণতন্ত্র বিকাশের বড় বাধা। তাই জনগণ সব সময় চায় একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হবে। আমরা মনে করি, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।
ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ বিজয়ের ৫২ বছর পাড়ি দিয়েছে। এ দীর্ঘ সময় আমাদের অর্জন অনেক। বেশ কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য রয়েছে। অর্থনৈতিক সূচকে বাংলাদেশ বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। নানা ঘাত-প্রতিঘাত, রাজনৈতিক হানাহানি, বিশ্বাস-অবিশ্বাসের মধ্যেও বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ ধরে রাখা একেবারে হালকা করে দেখার বিষয় নয়। প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ হওয়ায় জনগণের মাথাপিছু আয় ও জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। বাংলাদেশ এখন নিম্নমধ্য আয় থেকে মধ্য আয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে, শিক্ষার হার বাড়ছে। নারী শিক্ষার প্রসার ঘটছে, কৃষি উৎপাদন বেড়েছে ও তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ঘটছে। আর্থিক ও সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ এখন অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে। এসবই সম্ভব হয়েছে জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে। বাংলাদেশে কখনো রাজনৈতিক বিবাদ ছাড়া রাজনীতি চলেনি। যখন যে দল বা জোটই ক্ষমতায় এসেছে নানা দ্বন্দ্ব সংঘাতে, ঝগড়া বিবাদ রাজনৈতিক হানাহানিতে শাসক দলকে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হয়েছে। এ রকম নানা প্রতিকূলতার মাঝেও বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিক উন্নয়নের সূচকে বিশ্ববাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছে। সন্ত্রাস, দুর্নীতিকে না বলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সর্ব ক্ষেত্রে সুশাসন ও প্রকৃত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কারণ মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমতাভিত্তিক অর্থনৈতিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা। আর প্রকৃত গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা গড়তে গেলে অবশ্যই যে কোনো নির্বাচনই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়া যাতে করে জনমতের প্রতিফলন ঘটে আর সমাজের সর্বক্ষেত্রে সুশাসনের জন্য প্রয়োজন সুষ্ঠু নির্বাচন।
বিএনপি ও সমমনা দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে নির্বাচন বর্জন করেছে। বিএনপি'র মতো একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জনে জনমনে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতারাও নির্বাচন বর্জনকে ভালো চোখে দেখছেন না। শুধু বর্জনই নয়, হরতাল, অবরোধ, জ্বালাও-পোড়াও, অগ্নিসংযোগসহ নানা ধরনের নেতিবাচক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি আগামী নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত থাকার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন। গত ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতারা আটক হয়েছেন। বিএনপির নেতৃত্বের ও নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরসহ অনেকেই মেনে নিতে না পারায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। আর ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর এখন আওয়ামী লীগে যোগদান করে নৌকা মার্কার নির্বাচন করছেন। অন্যদিকে জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপিসহ অনেক রাজনৈতিক দল এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। প্রতীক বরাদ্দ হওয়ায় ইতিমধ্যে সারা বাংলাদেশে সরকার দলীয় প্রার্থীসহ যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন তারা নির্বাচনী প্রচারাভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি অংশগ্রহণ না করায় আগামী নির্বাচন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এখন ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতিই মূল ফ্যাক্টর। ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের সরব উপস্থিতি ও নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে ভোটের শতাংশ যেমন বাড়বে তেমনি বহির্বিশ্বে নির্বাচনটি গ্রহণযোগ্যতাও বাড়বে। তবে এবারের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও জনগণের অংশগ্রহণমূলক হবে এমনটি আশা করা যায়।
অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু আছে তা শত ভাগ স্বচ্ছ বলা যাবে না। তবুও যে গণতন্ত্রের ওপর রাষ্ট্র দাঁড়িয়ে তাকে আরও কীভাবে পরিশীলিত করা যায়, কীভাবে গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটানো যায়, কীভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা যায় সেটাই বড় প্রশ্ন। কেননা, একটি জনপ্রতিনিধিত্বমূলক শাসনব্যবস্থায় পরিচ্ছন্ন ও সুষ্ঠু নির্বাচন অপরিহার্য। এর ব্যত্যয় হলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে না এবং অযোগ্য, অসৎ দুর্নীতিবাজরা জয়ী হলে সমাজে দুর্বৃত্তায়ন বাড়বে। সর্বক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা দূরূহ হয়ে পড়বে। সুশাসন, গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া আবশ্যক। আমরা যে গণতন্ত্রের চর্চা করছি তার মধ্যে কিছু ত্রম্নটি-বিচু্যতি থাকলেও তা থেকে বেড়িয়ে এসে জনগণের অংশ গ্রহণের একটি উন্নত টেকসই গণতন্ত্র চাই- যা একটি রাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে সুসংহত করবে। তবে সুশাসন নিশ্চিত করতে সৎ, যোগ্য নেতৃত্বকে নির্বাচনের মাধ্যমে ভোটারদের বেছে নেয়া উচিত। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে যখন এ রকম সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বকে নির্বাচিত করার সুযোগ পাবে ভোটাররা তখন গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় এক ধাপ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। গণতন্ত্রই সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত সরকার ব্যবস্থা, উন্নয়নের জন্য গণতন্ত্রের প্রয়োজন। তাই গণতন্ত্রকে ধরে রাখতে হবে। মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা গেলে গণতন্ত্রকে ধরে রাখা যায়। তাই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন গণতন্ত্রের শর্ত। আবার নির্বাচনই গণতন্ত্রের শেষ কথা নয়। গণতন্ত্র এখন সারা বিশ্বে উন্নত শাসনব্যবস্থার মডেল এবং চলমান প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়াকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানো, শক্তিশালী করা শুধু সরকারি দলেরই কাজ নয়, এর বাইরে যে প্রশাসন ব্যবস্থা রয়েছে এবং বিরোধী ছোট বড় যে রাজনৈতিক দল রয়েছে তাদের সমন্বিত উদ্যোগ ও প্রচেষ্টার দ্বারা গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়। কিন্তু আমাদের দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বৈরী মনোভাবের কারণে গণতন্ত্র আজও প্রাতিষ্ঠানিক রূপলাভ করেনি। একটি নির্বাচনের কার্যক্রমের সঙ্গে যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান জড়িত তারা যদি প্রকৃতপক্ষে জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব দেয় তাহলে গণতন্ত্র সুসংহত হবে।
গণতন্ত্রকে শক্তিশালী টেকসই করতে গেলে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। এমন ধরনের সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন যে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থিরা সমান সুযোগ-সুবিধা পাবে, যাকে বলা হয় লেভেল পেস্নয়িং ফিল্ড। সবার ক্ষেত্রে সমান সুযোগের মাধ্যমে একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনই হবে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার অন্যতম দিক। নির্বাচনের আগে যে সব অনিয়ম অভিযোগ ওঠে নির্বাচন কমিশন যদি তাৎক্ষণিকভাবে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তাহলে কমিশনের ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা বাড়ে। কারণ নির্বাচন কমিশনের প্রধান দায়িত্ব হলো একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন জাতিকে উপহার দেয়। একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও জবাবদিহিতামূলক নির্বাচন করা কমিশনের প্রধান দায়িত্ব। মূলত নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতহীন আচরণই গণতন্ত্রকে টেকসই করার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রাখতে পারে। তবে এক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলগুলোরও ভূমিকা রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে ডিসি, ইউএনও, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার রদবদল ও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করায় নির্বাচন কমিশন স্বাধীন বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। আমাদের দেশ গণতান্ত্রিক হলেও গণতন্ত্র এখনো দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়ায়নি। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হলে তা হবে দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য শুভ। তাই আগামী নির্বাচন ভোটের রাজনীতিতে একটি ভালো দৃষ্টান্ত স্থাপিত হোক। দেশের নির্বাচন কমিশন যদি স্বাধীন হয়, নিরপেক্ষ হয়, তাহলে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সুষ্ঠু ও অবাধ একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে পারে, তাহলে সেটা হবে নির্বাচন কমিশনের কৃতিত্ব।
অথচ মালয়েশিয়ার দিকে তাকালে দেখা যাবে তারা উন্নত রাষ্ট্রগুলোর সারিতে নাম লিখিয়েছে। তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আমাদের চেয়ে ৪/৫ বছর আগে ভিয়েতনাম স্বাধীনতা অর্জন করে তারা ইতিমধ্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমানবিক বোমায় বিধ্বস্ত হয় জাপান। ভূমিকম্প ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়েও তারা ফিনিক্স পাখির মতো ঘুরে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষা-দীক্ষা তথ্যপ্রযুক্তির দিক থেকে তারা এখন বিশ্বের সেরা। কিন্তু ৫ দশক পরও আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারছি না কেন? আমাদের স্বপ্ন ছিল স্বাধীন দেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ পরিচিতি অর্জন করবে। এ প্রসঙ্গে একটি কথা আমার মনে পড়ে গেল, ভারতে জাতীয় কংগ্রেস, কলকাতা কেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবী, উচ্চবিত্ত হিন্দুদের প্রবল আপত্তি ও বিরোধিতার মুখে ১৯১১ সালে শেষ পর্যন্ত বঙ্গভঙ্গ রদ ঘোষণা করেন দিলিস্নর দরবারে সম্রাট পঞ্চম জজ। এক পর্যায়ে তিনি রাজনৈতিক নেতা গোখলেকে প্রশ্ন করলেন, 'তোমরা স্বাধীনতা চাও কেন।' তখন গোখলে উত্তর দিলেন, 'আমরা স্বাধীন হলে আমাদের আত্মমর্যাদা ফিরে পাব।' আমরাও স্বাধীনতা চেয়েছিলাম আত্মমর্যাদার স্বার্থে, আমরা এখনো আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারিনি। তবে সে যাত্রায় আমরা অনেকটা এগিয়ে।
শুধু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র সুসংহত হওয়ার একমাত্র মানদন্ড নয়। এক্ষেত্রে প্রার্থীর যোগ্যতা, গ্রহণযোগ্যতা, সততার প্রশ্নটিও জড়িত। কেননা অসৎ দুর্নীতিবাজরা যদি টাকা ছিটিয়ে নির্বাচিত হয়, যা এ যাবত পর্যন্ত হয়ে এসেছে। তাহলে তাদের কাছে ভালো কিছু আশা করা যায় না। তাদের দ্বারা গণতন্ত্রও সুসংহত হয় না। গণতন্ত্রকে টেকসই ও সার্থক করতে অবশ্যই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে সজ্জন শিক্ষিত রুচিবোধ সম্পন্ন হওয়া চাই।
\হকিন্তু গণতন্ত্র যেহেতু জনগণের শাসন তাই সেখানে যোগ্যতা, শিক্ষিত, সততার বিষয়টি গৌণ। ফলে কালো টাকা, পেশী শক্তিও প্রভাবশালীরা নির্বাচিত হয়। বর্তমান রাজনীতি জনকল্যাণের পরিবর্তে বাণিজ্যকরণ হয়েছে। অথচ রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য জনগণের জন্য কিছু করা। এ কারণে যে কোনো নির্বাচনে সৎ, যোগ্য, দুর্নীতিমুক্ত মনোভাবসম্পন্ন প্রার্থী রাজনীতে গুণগত পরিবর্তন আনতে পারে। কোনো সিস্টেম বা পদ্ধতি রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনতে পারে না। একটি বিষয় আমাদের রাজনীতিবিদদের মনে রাখা দরকার, পদ্ধতি নয় ব্যক্তি শুদ্ধ না হলে রাজনীতি শুদ্ধ হবে না। রাজনীতিতে পরিবর্তন আসবে না। আমাদের রাজনীতিকরা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয় এমন ব্যক্তিদের নমিনেশন দেন, স্বচ্ছ রাজনৈতিক ব্যক্তিরা অধিকাংশ সময় উপেক্ষিত হয় বিতর্কিত ব্যক্তিরা নমিনেশন পান কীভাবে? তাহলে কী রাজনীতিতে এখন বাণিজ্যকরণ ঘটছে? দেশের উন্নয়ন হচ্ছে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আইনের শাসন, ন্যায়বিচার সুশাসনের পথে বাংলাদেশ। এখন প্রয়োজন জবাবদিহিতামূলক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা। আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক। কোনো বাধা ভয়ভীতি গণতন্ত্র কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে বাধ্য। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনই জনগণ প্রত্যাশা করে। তাই গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতিই মূলকথা।
মোহাম্মদ নজাবত আলী : শিক্ষক ও কলাম লেখক