রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান

অলোক আচার্য, সহকারী শিক্ষক, পশ্চিম বনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাবনা
  ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান
চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান

প্রশ্ন : আবাসস্থল কাকে বলে?

উত্তর : উদ্ভিদ যে জায়গায় জন্মে এবং প্রাণী যে বিশেষ জায়গায় বাস করে তাই তার আবাসস্থল।

প্রশ্ন : আশ্রয়স্থল কী?

উত্তর : আশ্রয়স্থল হলো প্রাণীর জন্য একটি নিরাপদ স্থান যা তাকে আক্রমণকারী প্রাণী বা বিরূপ আবহাওয়া থেকে রক্ষা করে।

প্রশ্ন : প্রাণীর দেহে পানি কি কাজ করে?

উত্তর : পানি প্রাণীর দেহে খাদ্য পরিপাকের কাজ করে।

প্রশ্ন : উদ্ভিদ বায়ুর কোন উপাদান গ্রহণ করে ও কোন উপাদান ত্যাগ করে?

উত্তর : উদ্ভিদ খাদ্য তৈরির সময় বায়ু থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে।

প্রশ্ন : বেঁচে থাকার জন্য জীবের কোন কোন উপাদান প্রয়োজন?

উত্তর : বেঁচে থাকার জন্য জীবের খাদ্য, আবাসস্থল, আশ্রয়স্থল, পানি এবং বায়ু প্রয়োজন।

প্রশ্ন : পরিবেশের পরিবর্তন কেন হয়?

উত্তর : প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন- বন্যা, খরা, ঝড় ইত্যাদি এবং মানুষের নানা কর্মকান্ডের কারণে পরিবেশের পরিবর্তন হয়।

প্রশ্ন : মানুষ কীভাবে পরিবেশের পরিবর্তন করছে?

উত্তর : মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে গাছপালা কেটে ও প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ করার মাধ্যমে পরিবেশের পরিবর্তন করছে।

প্রশ্ন : উদ্ভিদের দেহের কোন কোন অংশ রয়েছে?

উত্তর : উদ্ভিদের দেহে বিভিন্ন অংশ যেমন- মূল, কান্ড ও পাতা রয়েছে।

প্রশ্ন : চলন কী?

উত্তর : চলন হলো চলাচল করতে পারার ক্ষমতা। প্রাণীর সেই ক্ষমতা থাকলেও উদ্ভিদের তা থাকে না।

প্রশ্ন : প্রখর আলোযুক্ত স্থানে জন্মে এমন কয়েকটি উদ্ভিদের নাম লেখো?

উত্তর : প্রখর আলোযুক্ত স্থানে জন্মে এমন কয়েকটি উদ্ভিদ হলো- আম, জাম ও কাঁঠাল।

প্রশ্ন : মস ও ফার্ন জাতীয় উদ্ভিদ কেমন পরিবেশে জন্মে?

উত্তর : মস ও ফার্ন জাতীয় উদ্ভিদ ছায়াযুক্ত, সঁ্যাতসেঁতে শীতল স্থানে জন্মে।

প্রশ্ন : পানি ও মাটি উভয় পরিবেশেই জন্মে কোন কোন উদ্ভিদ?

উত্তর : কলমি ও হেলেঞ্চা পানি ও মাটি উভয় পরিবেশেই জন্মাতে পারে।

প্রশ্ন : শ্বাসমূল কী?

উত্তর : শ্বাসমূল হলো সুন্দরবনের মতো লবণাক্ত পরিবেশে জন্মানো উদ্ভিদের শ্বাস নেওয়ার জন্য এক ধরনের মূল। এ ধরনের উদ্ভিদ হলো- সুন্দরী, গরান ও কেওড়া।

প্রশ্ন : মাটিতে গর্ত করে বাস করে এমন কয়েকটি প্রাণীর নাম লেখো?

উত্তর : মাটিতে গর্ত করে বাস করে এমন প্রাণী হলো খরগোশ, ইঁদুর, সজারু, পিঁপড়া, কেঁচো ও গবুরেপোকা ইত্যাদি।

প্রশ্ন : মাটি ও পানি উভয় স্থানেই বাস করে এমন প্রাণী কোনগুলো?

উত্তর : ব্যাঙ, কচ্ছপ ও কুমিরজাতীয় প্রাণী মাটি ও পানি উভয় স্থানেই বসবাস করে।

প্রশ্ন : পৃথিবীতে জীবের বসবাসের জন্য কোন কোন ধরনের পরিবেশ রয়েছে?

উত্তর : পৃথিবীতে জীবের বসবাসের জন্য মাটি বা স্থলজ পরিবেশ, পানি বা জলজ পরিবেশ, সামুদ্রিক পরিবেশ,মরুভূমির পরিবেশ, বনজ পরিবেশ ও মরু অঞ্চলের পরিবেশ রয়েছে।

প্রশ্ন : ক্যাকটাস কোন ধরনের পরিবেশে জন্মে?

উত্তর : ক্যাকটাস মরুভূমির মতো শুষ্ক পরিবেশে জন্মে।

প্রশ্ন : উট কীভাবে মরুভূমির মতো পরিবেশে বেঁচে থাকে?

উত্তর : উট তার পিঠের কুঁজে চর্বি জমিয়ে রাখে। এই চর্বি তাকে দীর্ঘ সময় পানি ও খাবার ছাড়া মরুভূমির পরিবেশে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে।

প্রশ্ন : বনজ পরিবেশ বলতে কি বোঝায়?

উত্তর : যখন কোনো স্থানে প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ প্রচুর পরিমাণে জন্মায় তখন সেখানে যে পরিবেশ গড়ে ওঠে তাকে বনজ পরিবেশ বলে।

প্রশ্ন : জলজ পরিবেশে বাস করে এমন প্রাণী ও উদ্ভিদের নাম লেখো?

উত্তর : জলজ পরিবেশে বাস করে এমন প্রাণী হলো ঝিনুক, চিংড়ি ও মাছ এবং উদ্ভিদ হলো শাপলা, কচুরিপানা ও ক্ষুদিপানা ইত্যাদি।

প্রশ্ন : সামুদ্রিক পরিবেশ সম্পর্কে দুটি বাক্য লেখো।

উত্তর : সামুদ্রিক পরিবেশ হলো লবণাক্ত পানির সুবিশাল ভান্ডার। এই পরিবেশে তিমি, ডলফিনের মতো নানা ধরনের প্রাণী বাস করে।

প্রশ্ন : মরু অঞ্চলে প্রাণী তীব্র শীতে কীভাবে বেঁচে থাকে?

উত্তর : মরু অঞ্চলের প্রাণী তীব্র শীতে বেঁচে থাকার জন্য এদের প্রাণীর চামড়া অত্যন্ত পুরু হয় এবং পশমে ঢাকা থাকে।

প্রশ্ন : পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়েছে এমন দুটি প্রাণীর নাম লেখো।

উত্তর : পৃথিবী থেকে ইতিমধ্যেই বিলুপ্ত হয়েছে এমন দুটি প্রাণী হলো- ডোডো পাখি এবং তাসমেনিয়ান বাঘ।

প্রশ্ন : বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত হয়েছে এমন প্রাণীর নাম লেখো।

উত্তর : বাংলাদেশ থেকে লাল শির ও জাভা গন্ডার এবং রাজ শকুন বিলুপ্ত হয়েছে।

প্রশ্ন : মাটি কী?

উত্তর : মাটি হলো পৃথিবীর উপরিভাগের নরম আবরণ।

প্রশ্ন : মাটিতে সারের কাজ কী?

উত্তর : সার মাটির হ্রাসকৃত বা হারানো পুষ্টি উপাদান ফিরে পেতে সাহায্য করে।

প্রশ্ন : সার কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণ দাও।

উত্তর : সার দুই প্রকার। যথা- জৈব সার ও অজৈব সার। গোবর ও কম্পোস্ট জৈব সার এবং ইউরিয়া ও টিএসপি অজৈব সার।

প্রশ্ন : ফসল আবর্তন কাকে বলে?

উত্তর : ফসল আবর্তন হলো জমিতে একই ফসল বারবার চাষ না করে একই জমিতে বিভিন্ন ফসল চাষ করে মাটির উর্বরতা শক্তি বজায় রাখার একটি প্রক্রিয়া।

প্রশ্ন : মাটি দূষণের দুইটি কারণ লেখো।

উত্তর : মাটি দূষণের দুইটি কারণ হলো- ১) যেখানে-সেখানে আবর্জনা ফেলা ও ২) কৃষি কাজে কীটনাশক ও আগাছানাশক ব্যবহার করা।

প্রশ্ন : মাটি দূষণের দুইটি ফলাফল লেখো।

উত্তর : মাটি দূষণের ফলে জীবের বাসস্থান ধ্বংস হয় এবং মাটির উর্বরতা শক্তি হ্রাস করে।

প্রশ্ন : মাটি দূষণ রোধের দুইটি উপায় লেখো।

উত্তর : মাটি দূষণ রোধের দুইটি উপায় হলো- ১) নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা এবং ২) পলিথিন ও পস্নাস্টিকজাতীয় জিনিসপত্রের ব্যবহার কমানো।

প্রশ্ন : মাটি ক্ষয় বলতে কি বোঝো?

উত্তর : মাটি ক্ষয় হলো বায়ুপ্রবাহ বা অতি বৃষ্টিতে মাটির উপরের স্তর সরে যাওয়া।

প্রশ্ন : মাটি ক্ষয়ের ফলে কি ঘটে?

উত্তর : মাটি ক্ষয় হলে জমি উর্বরতা হারায় এবং মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পায়।

প্রশ্ন : মাটির ক্ষয় কীভাবে রোধ করা যায়?

উত্তর : বৃক্ষরোপণ করে এবং জমিতে ঘাস লাগিয়ে মাটির ক্ষয় রোধ করা যায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে