মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

জন্মশতবর্ষে শেখ মুজিব :আমাদের করণীয়

বঙ্গবন্ধুই আমাদের একমাত্র দিশারি, বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করেই আমরা সৎ ও সচেতন হতে পারি, দক্ষ কর্মী হতে পারি, দেশপ্রেমিক হয়ে দেশকে গড়ে তুলতে পারি।
মোনায়েম সরকার
  ১৭ মার্চ ২০২১, ০০:০০
জন্মশতবর্ষে শেখ মুজিব :আমাদের করণীয়

১৭ মার্চ, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ। বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ পূর্ণ হলো আজ। বাংলার মানুষের প্রাণপ্রিয় নেতার জন্মশতবর্ষ ঘিরে দেশে-বিদেশে নানামুখী কর্মকান্ড গৃহীত হয়েছে। এসব কর্মকান্ডে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন যেমন গুরুত্ব পেয়েছে, তেমনিভাবে সম্মানিত হচ্ছে উদীয়মান বাংলাদেশের গণমুখী কার্যক্রম। যে মহামানবের জন্ম না হলে বাংলাদেশ পরাধীনতার নাগপাশ থেকে মুক্ত হতে পারত না, তাকে ঘিরে একটু অন্যরকম আনন্দ-উৎসব হবে- এটাই স্বাভাবিক। বঙ্গবন্ধুর মর্যাদা বৃদ্ধি পেলে বাঙালি জাতিও সম্মানিত হন। কেননা বঙ্গবন্ধুর লড়াই-সংগ্রামের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল বাঙালির জীবনমান উন্নতকরণ। নিপীড়িত বাঙালির ত্রাতা হিসেবে- জননায়ক শেখ মুজিবুর রহমানের আপসহীন নেতৃত্ব চিরদিন বাঙালি জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। বঙ্গবন্ধুই বাঙালি সর্বশ্রেষ্ঠ পরিচয়। এই পরিচয় চিহ্ন কোনোদিনই মুছে যাওয়ার নয়।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপন সমগ্র বাঙালি জাতির জন্যই আনন্দঘন উৎসবে পরিণত হচ্ছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আমি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মৌখিকভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপন করার প্রস্তাব উত্থাপন করি। আমার প্রস্তাব ছিল ২০১৯ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত বছরব্যাপী জন্মদিন পালন। কিছুদিন পরে প্রধানমন্ত্রী এই প্রস্তাবের সঙ্গে তার নিজের কিছু পরিকল্পনা যুক্ত করে তিনি এটাকে ২০২০-২০২১ সাল পর্যন্ত সম্প্রসারিত করেন। এর ফলে দুটো সুবিধা হয়েছে, একটি হলো- সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন, অন্যটি হলো- স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন। এই দুটি বিষয়ের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। সুতরাং আমি বিবেচনা করে দেখলাম- প্রধানমন্ত্রী যে চিন্তা থেকে 'মুজিববর্ষ' ঘোষণা করেছেন এবং যে সময় তিনি নির্ধারণ করেছেন (২০২০-২০২১) তা যথার্থই হয়েছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনাই মেনে নিলাম। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষকে কীভাবে গ্রহণ করেছেন জানি না, তবে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ ২০১৮ সাল থেকেই বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। আমরা একটু আগে থেকেই এই চিন্তা করেছিলাম বলে বেশকিছু মূল্যবান গ্রন্থ রচনা ও সম্পাদনা করতে পেরেছি। বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন একটি ছোট্ট গবেষণা প্রতিষ্ঠান হলেও এর কর্মকান্ড আজ আর ছোট করে দেখার অবকাশ নেই। মুজিববর্ষ ঘিরে আমরা বিশটির মতো বই প্রকাশ করেছি, মৌলিক দুটি কালজয়ী গান নির্মাণ করেছি এবং দেশব্যাপী বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন প্রচার-প্রসারের ক্ষেত্রে পোস্টার, লিফলেট প্রকাশ করেছি। শুধু বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনই নয়, এরকম আরও অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এখন মহাসমারোহে মুজিববর্ষ উদযাপন করছে। আমরা চেয়েছিলাম, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে শিশু-কিশোরদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনা গেঁথে দিতে, বর্তমান সরকার সে বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক বলেই মনে হচ্ছে।

বিশ্ব এখনো করোনা মহামারির ভয়ঙ্কর থাবা থেকে পুরোপুরি মুক্ত হতে পারেনি। করোনার কারণে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের উৎসব কিছুটা ধীরগতিতে হয়েছে বটে, তবে এবার যদি তেমন কোনো বিপর্যয় না ঘটে আশা করি ১৭ মার্চের কর্মসূচি নিঃসন্দেহে বর্ণাঢ্য ও সফল হবে। বঙ্গবন্ধু আজ শুধু আর বঙ্গবন্ধু নন, তিনি এখন বিশ্ববন্ধু। তার চিন্তা-চেতনা, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা পৃথিবীর মানুষকে চমকিত করেছে, তার মতো সাহসী ও আপসহীন নেতা শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। এ কারণেই বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা যেমন- টঘঙ, টঘঊঝঈঙ বঙ্গবন্ধুকে সম্মানিত করার জন্য অবিরাম চেষ্টা করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে এসব আন্তর্জাতিক সংস্থা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ১২টি ভাষায় অনুবাদ করে প্রকাশ করেছে। টঘঊঝঈঙ বঙ্গবন্ধুর নামে শান্তিপদকও ঘোষণা করেছে। টঘঊঝঈঙ বিশ্বের শোষিত মানুষের মুক্তির দূত বঙ্গবন্ধুর নামে শান্তিপদক ঘোষণা করে একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিলেন বলেই আমি বিশ্বাস করি।

বঙ্গবন্ধু জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করেছিলেন- 'বিশ্ব দুই শিবিরে বিভক্ত, শোষক আর শোষিত- আমি শোষিতের পক্ষে।' আমৃতু্য বঙ্গবন্ধু শোষিত মানুষের পক্ষেই লড়াই করে গেছেন। এ কারণেই তিনি বাংলাদেশের কৃষক-শ্রমিককে যুক্ত করে 'বাকশাল' গঠন করে দ্বিতীয় বিপস্নবের ডাক দিয়েছিলেন। আজকের বিশ্বব্যবস্থায় 'শোষিতের গণতন্ত্র'ই নিরন্ন মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারে, বঙ্গবন্ধু অনেক আগেই এ কথা ভেবেছিলেন। এজন্যই তিনি 'শোষিতের গণতন্ত্র' প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শোষিতের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারলে বাংলা সত্যিকার অর্থেই সোনার বাংলা হয়ে উঠত। ঘাতকের দল বঙ্গবন্ধুকে সেই সুযোগ না-দিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে পা-দিয়ে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। এর ফলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ, মুখ থুবড়ে পড়ে বঙ্গবন্ধুর আজন্মলালিত স্বপ্ন।

বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিতার প্রদর্শিত পথেই নিরলসভাবে হেঁটে চলেছেন। তিনি একক নেতৃত্বে বাংলাদেশকে সম্মানের সঙ্গে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তার উন্নয়নমূলক গণমুখী কর্মকান্ড বাংলাদেশের মানুষের মনে আশার সঞ্চার করেছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে বাংলাদেশ সর্বদিক থেকেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি নয় লাখ গৃহহীন পরিবারকে গৃহ প্রদান করে প্রধানমন্ত্রী একটি ঐতিহাসিক কাজ করেছেন। বাংলার মানুষ না খেয়ে থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না, তারা ভাত-কাপড়-বাসস্থান সবকিছুই পাবে- তাদের মুখে একদিন হাসি ফুটবে- এমন স্বপ্নই খেলা করত বঙ্গবন্ধুর চোখে। বঙ্গবন্ধু তার স্বপ্ন পুরোপুরি বাস্তবায়ন না করতে পারলেও তার কন্যা বঙ্গবন্ধুর অসম্পূর্ণ কাজগুলো নানান প্রতিকূলতার মধ্যেও ধীরে ধীরে সম্পন্ন করছেন, লড়াকু বাঙালি জাতিকে আর দাবায়ে রাখা কারও পক্ষেই সম্ভব নয়।

বঙ্গবন্ধুই আমাদের একমাত্র দিশারি, বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করেই আমরা সৎ ও সচেতন হতে পারি, দক্ষ কর্মী হতে পারি, দেশপ্রেমিক হয়ে দেশকে গড়ে তুলতে পারি।

এ কথা এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে, বঙ্গবন্ধুই আমাদের ঐতিহ্য, বঙ্গবন্ধুই আমাদের ভবিষ্যৎ। বঙ্গবন্ধু আমাদের মঙ্গলের জন্যই, দেশের কল্যাণের জন্যই জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু প্রদর্শিত পথে অগ্রসর হয়ে যদি আমরা এ দেশে শোষিতের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি, যদি এ দেশের নিপীড়িত জনগণের জন্য অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারি তবেই শুধু বঙ্গবন্ধুর আত্মদান সার্থক হবে। আর এ কার্যসাধনে বঙ্গবন্ধুর অমলিন স্মৃতিই হবে আমাদের পথপ্রদর্শক। আজ যদি আমরা বঙ্গবন্ধুকে ভুলে যাই, তার আদর্শকে বিস্মৃত হই তবে যে জাতি হিসেবে আমাদের ভবিষ্যৎ বিপন্ন হয়ে পড়বে শুধু তাই নয়, পৃথিবীর জন্যও তা এক মহাক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কারণ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের শোষিত ও নিপীড়িত জনগণের জন্য প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যেসব বাস্তব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তা সারা পৃথিবীর মানুষের পক্ষে শিক্ষণীয় ও অনুকরণীয় বিষয়।

এতদিন মুজিবপ্রেম ছিল বাঙালির বাইরে- বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে তা মননে ঢুকতে শুরু করেছে। এটা শুভলক্ষণ। আগে বঙ্গবন্ধুর জন্ম ও শাহাদাত দিবসে নেতাকর্মীরা মাইক বাজাতো, তোরণ বানাতো আর খিচুড়ি খেতো, এখন এই প্রবণতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রচনা প্রতিযোগিতা, কুইজ ও নানামুখী সাংস্কৃতিক কর্ম। আজ বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর হয়েছে, প্রকাশিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু রচিত 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী', 'কারাগারের রোজনামচা' ও 'আমার দেখা নয়া চীন'। তার এবং স্বাধীনতার স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হচ্ছে নানারকম ভাস্কর্য ও স্মৃতিসৌধ, যেমন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গস্নাসটাওয়ার, শিখা চিরন্তন, শেখ মুজিবের জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়ার অবকাঠামোগত উন্নয়ন ইত্যাদি। '৭৫-এর মুজিব সমাধির যে চেহারা ছিল আজ তা নেই। তার বাড়ির ভাঙা দরজাও আজ বদলে গেছে। এই ছবিগুলো আছে 'হু কিলড মুজিব' আর 'বাংলাদেশের সমাজবিপস্নবে বঙ্গবন্ধুর দর্শন' গ্রন্থে। ছবিগুলো সে সময় দিলিস্নতে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত দিয়েই 'হু কিলড মুজিব' গ্রন্থের লেখক এ এল খতিবের (আবদুল লতিফ খতিব) হাতে পৌঁছেছিল। ছবিগুলো সংগ্রহের ক্ষেত্রে আমারও কিছু ভূমিকা ছিল। কিন্তু আমাদের শুধু এখানেই তৃপ্তির ঢেঁকুর গিললে হবে না, আরও ব্যাপকভাবে কাজ করতে হবে। মুজিব হত্যাকান্ডের পর শেখ মুজিবের বিশ্বস্ত কর্মীরা কেউ মাথায় পাগড়ি বেঁধে ফেরিওয়ালা হয়ে পালিয়েছিল, কেউ স্বেচ্ছায় গ্রেপ্তার হয়েছিল ঘরের মধ্যে বসে থেকে। আমার ভয় হয় আবার যদি ১৫ আগস্টের মতো কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশের অবস্থা কী হবে? আমরা আশা করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবের আদর্শ, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও সাংস্কৃতিক শুদ্ধতা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়ে যাবেন।

আজকের সভ্য মানুষ সমান অধিকারে আর বিশ্বাস রাখে না, তারা চাচ্ছে শান্তিপূর্ণ সুখী জীবন। একটি শান্তিপূর্ণ জীবন পেলে, সার্বিক নিরাপত্তা পেলে ব্যক্তিমানুষের আর কোনো আকাঙ্ক্ষা থাকে না। মাথা গণনায় সব মানুষ সমান থিওরির চেয়ে যোগ্যতার প্রশ্নে সব মানুষ সমান হলে তবেই সমাজের মঙ্গল হতো। কিন্তু সমাজতন্ত্র সে পথে হাঁটেনি। জোর করে কোনোকিছু করে প্রগতিকে রোধ করা যায় না। বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, বিশ্ব এগিয়ে যাবে, তবে নতুন বিশ্ব কোন পথে চলবে, নতুন দিনের সমাজতাত্ত্বিকদের সেই কথাটাই ভাবতে হবে। এ ক্ষেত্রে আবেগকে প্রাধান্য না দিয়ে যুক্তিকেই মূল্য দিতে হবে। পৃথিবী অতীতে দুটি বিশ্বযুদ্ধ, সমাজতন্ত্র, ধনতন্ত্র ও সাম্রাজ্যবাদের রক্তাক্ত ইতিহাস প্রত্যক্ষ করেছে, ভবিষ্যতে সমাজতন্ত্রের কাল্পনিক কাব্যকথা শুনতে মানুষ রাজি নয়। পৃথিবীব্যাপী মানুষ আজ একটি (ঐঁসধহব ড়িৎষফ ড়ৎফবৎ) মানবিক বিশ্বব্যবস্থা ও আইনের শাসন কামনা করছে।

আমি আমার জীবনের অর্ধশতাব্দী অতিবাহিত করেছি সমাজতন্ত্রের সার্বক্ষণিক রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে। পৃথিবীর বহু দেশের অসংখ্য যুবকও তাদের লড়াকু যৌবন উৎসর্গ করেছিল সমাজতন্ত্রের স্বপ্নীল মন্ত্রে। আজ আমি উপলব্ধি করছি, যে সমাজতন্ত্রের জন্য আমার মতো অসংখ্য মানুষ তাদের জীবন-যৌবন বিলিয়ে দিয়েছিল তাদের মোহভঙ্গ ও স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে বা হচ্ছে। তারাও আজ কামনা করছেন নতুন মানবিক ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট। বঙ্গবন্ধু ঘোষিত শোষিতের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলেই গড়ে তোলা সম্ভব হবে আগামী দিনের সুখী, সমৃদ্ধিশালী, সুন্দর বাংলাদেশ তথা পৃথিবী।

মোনায়েম সরকার : রাজনীতিবিদ, লেখক, কলামিস্ট, প্রাবন্ধিক, গীতিকার ও মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে