তরুণরা আজ কোন পথের পথিক
প্রকাশ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০
অনলাইন ডেস্ক
বতর্মান বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তরুণের দেশ বাংলাদেশ। কিন্তু অনেকেই ধাবিত হচ্ছে নেশার দিকে, অপরাজনীতির দিকে। তথাপি কিছু কিছু তরুণ নিজেদের দক্ষ ও সক্রিয় নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন সভা-সেমিনারে ও ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহণ করে থাকে। ব্রিটিশ কাউন্সিল সারাবিশ্বের তরুণদের সক্রিয় নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও অপঃরাব ঈরঃরুবহ ণড়ঁঃয খবধফবৎংযরঢ় ঞৎধহরহম (অঈণখঞ) পরিচালনা করছে। বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ৭টি সহযোগী প্রতিষ্ঠান এই ট্রেনিংটি দিয়ে থাকে।
তার মধ্যে ‘ডেমোক্রেসিওয়াচ’ হচ্ছে অন্যতম। যেখানে গত ৩ আগস্ট থেকে ৬ আগস্ট পযর্ন্ত ২০১৮-১৯ সেশনের প্রথম ট্রেনিং অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ২৭ জন শিক্ষাথীর্ ট্রেনিং গ্রহণ করে ও ৫ জন প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ প্রদান করে। এই সেশনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও পেশাজীবীরা অংশগ্রহণ করে। অঈণখঞ এ অংশগ্রহণ করার যোগ্যতা হলো ১. বয়স ১৮-২৫ বছর হতে হবে। ২. সমাজ উন্নয়নমূলক কাজে আগ্রহ থাকতে হবে।
ডকুমেন্ট : ১.জীবন বিত্তান্ত ২. দুই কপি পাসপোটর্ সাইজ ছবি। ৩. জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধন
ট্রেনিংটি মূলত দুই অংশে বিভক্ত। প্রথম অংশে চার দিনের হাতে কলমে ট্রেনিং গ্রহণ করতে হয়। যেখানে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। দ্বিতীয় অংশে একটি সামাজিক উদ্যোগ (ঝড়পরধষ অপঃরড়হ ঢ়ৎড়লবপঃ -ঝঅচ) গ্রহণ করা ও বাস্তবায়ন করতে হয়। এর মধ্যে সমাজের কোনো সমস্যা সম্পকের্ সচেতনতা সৃষ্টি করে। যা ন্যূনতম ছয় মাস পরিচালিত করতে হয়। শুধু তাত্তি¡ক শিক্ষার মাধ্যমে পূণার্ঙ্গ শিক্ষা অজর্ন করা যায় না। তাই আমাদের মাঠ পযাের্য় ন্যূনতম ছয় মাস কাজ করতে হয়।
ঝঅচগুলো মূলত সমাজের ছোট-ছোট সমস্যাগুলো সম্পকের্ সচেতনতার ক্যাম্পেইন বা এমন কোনো কাজ করা যা সমাজের ঔই সমস্যার সমাধানের দিকে পরিবতর্ন হয়। এই কোসের্র শিক্ষাথীর্রা প্রায় ১৬টি প্রস্তাবিত আইডিয়া থেকে ‘গড়নরষব ধং ধ ঝরষবহঃ করষষবৎ’ নামে একটি ঝঅচ গ্রহণ করে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো মোবাইল ব্যবহারে সচেতনা সৃষ্টি করা। আমরা মোবাইল ব্যবহার করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ি। মোবাইল আমাদের মাথার কাছে রেখে ঘুমাই। কিন্তু তা আমাদের স্বাস্থের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। মোবাইল থেকে যে রেডিয়েশন হয় তা অনেক ক্ষতিকর। এসব বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এ প্রজেক্টটি নেয়া হয়।
এই প্রোজেক্টটি মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথীর্, বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষাথীর্ ও সাধারণ মানুষদের সচেতনতার জন্য বিভিন্ন সেমিনার ও অন্যান্য কাযর্ক্রম পরিচালনা করা হবে। তাছাড়া ফেসবুক পেজ ও গ্রæপের মাধ্যমেও তারা সচেতনতা বৃদ্ধি করবে। প্রশিক্ষণাথীের্দর মতে, যদি আমরা মোবাইল ব্যবহারে সচেতন হই তবে আমরা মোবাইলের নানা রকম ক্ষতিকর দিক থেকে রক্ষা পেতে পারব। এভাবে যদি তরুণরা বিভিন্ন সামাজিক কাজে যুক্ত থাকে তবে বাংলাদেশ একটি সুখি, সমৃদ্ধ, ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হবে বলে আশা প্রকাশ করছে।
মো. জাকারিয়া
শিক্ষাথীর্, দশর্ন বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়