সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২

পার্বত্য শান্তিচুক্তির সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন : চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘ দুই যুগের রক্তক্ষয়ী সংঘাত, সহিংসতার অবসান ঘটিয়ে দেশের অখন্ডতা রক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় ১৯৯৭ সালে তৎকালীন সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে স্বাক্ষরিত এ চুক্তি ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছিল তা অনস্বীকার্য। তবে পাহাড়ে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় শান্তি এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। প্রায়ই ঘটছে হানাহানি-রক্তপাত। চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে রয়েছে অনুযোগ-অসন্তোষ।
ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ
  ১০ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০
পার্বত্য শান্তিচুক্তির সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন : চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

পার্বত্য শান্তিচুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর তার বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াকালেই চুক্তির পক্ষ ও বিপক্ষ দলের মধ্যে চরমভাবে ভাঙন ধরে এবং তারা বিভিন্ন দল ও উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এ প্রসঙ্গে তাদের কোথায় কি অবস্থান তা তুলে ধরা হলো। খাগড়াছড়ি জেলায় ইউপিডিএফের (প্রসীত খীসা) শক্ত অবস্থান রয়েছে। পাশাপাশি জেএসএস (সংস্কারপন্থি) ও ইউডিএফ (গণতান্ত্রিক) বর্তমানে বেশ কিছু এলাকায় যথেষ্ট আধিপত্য রয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলায় জেএসএস (সন্তু লারমা) কোনো কার্যক্রম নেই। বান্দরবান জেলায় জেএসএস (সন্তু লারমা) শক্ত অবস্থানে রয়েছে। পাশাপাশি জেএসএস (সংস্কার) তাদের কার্যক্রম বান্দরবান জেলাতে নতুন করে শুরু করেছে। অন্যদিকে আরাকান আমি (এএলপি) ও মগ পার্টি কার্যক্রম বান্দরবানে সীমিত আকারে রয়েছে। আর ইউপিডিএফের কার্যক্রম বান্দরবান জেলায় নেই। রাঙামাটি জেলায় জেএসএস (সন্তু লারমা) অবস্থান শক্তিশালী রয়েছে। পাশাপাশি ইউপিডিএফের (প্রসীত খীসা) কিছু কিছু এলাকায় শক্ত অবস্থান আছে। বর্তমানে জেএসএস (সংস্কার) রাঙামাটি জেলাতে শক্তিশালী অবস্থান তৈরির চেষ্টা অব্যাহত রেখে চলেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক দলগুলো ভাঙন ও উপদলে বিভক্ত হওয়ার পেছনে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ মদদ ও ইন্ধন আছে বলে সেখানকার রাজনৈতিক দল ও স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে। যেমন শক্তিশালী জেএসএসের (সন্তু লারমা) শক্তি কমাতে ভাঙন তৈরি করে প্রথমে সৃষ্টি করা হয় ইউপিডিএফ। পরে দ্বিতীয় দফায় জেএসএসকে ভেঙে তৈরি করা হয় জেএসএস (সংস্কারপন্থি)। অন্যদিকে ইউপিডিএফ সৃষ্টির পর তাদের কার্যক্রম ও শক্তি ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় ইউপিডিএফকে ভেঙে তৈরি করা হয় ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক)। গত বছর ২০১৯ সালে উপজেলা নির্বাচনে রাঙামাটি জেলাধীন বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার পথে নির্বাচনী গাড়ি বহরের ওপর সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে বহু লোকের প্রাণহানির ঘটনার নেপথ্যে ইউপিডিএফ (প্রসীত খীসা) ও জেএসএস (সন্তু লারমা) জড়িত রয়েছে বলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মনে করে। পরে নিরাপত্তা বাহিনী সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে ইউপিডিএফ (প্রসীত খীসা) ও জেএসএস (সন্তু লারমা) বেশ কয়েক জন নেতাকর্মীদের আটক করে। নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের ফলে ইউপিডিএফ (প্রসীত খীসা) ও জেএসএস (সন্তু লারমা) নেতাকর্মীরা অনেকেই বিভিন্নভাবে এলাকা ছেড়ে বর্তমানে আত্মগোপনে চলে গিয়েছে।

দীর্ঘ সশস্ত্র লড়াইয়ের পর পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি বাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের শান্তিচুক্তি সই হয়েছিল ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর। তারপর অতিক্রান্ত হয়েছে ২২ বছরেরও বেশি সময়। কিন্তু এ চুক্তির কতটা বাস্তবায়ন হয়েছে তা নিয়ে আছে বড় ধরনের বিতর্ক। সরকারপক্ষ বলছে, বাস্তবায়নের কাজ চলছে। কিন্তু পাহাড়িদের অভিযোগ-চুক্তিতে তাদের যে সব অধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল তার কিছুই তারা এখনো পায়নি। পার্বত্য চট্টগ্রাম গবেষক ও বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলছেন, 'পাহাড়িদের স্বশাসন দেওয়ার কথা ছিল। কথা ছিল যে তারা নিজেরাই নিজেদের শাসন করবে। কিন্তু সেরকমটা হয়নি। তাদের অনেক স্বপ্ন, অনেক আশা ছিল কিন্তু সে সব বাস্তবায়িত না হওয়ার কারণে একটা হতাশা তৈরি হয়েছে।' কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সরকারের সঙ্গে এ চুক্তি হয়েছিল, বর্তমানে ক্ষমতাসীন সেই সরকারের দাবি- চুক্তির অনেক কিছুই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যে সব এখনো হয়নি সেগুলো ধীরে ধীরে বাস্তবায়নের কাজ চলছে। চুক্তির ২২ বছর পার হয়েছে। জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমার (সন্তু লারমা) বক্তব্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে মাত্র ২৫টি ধারা বাস্তবায়িত হয়েছে। যদিও সরকারের তরফ থেকে ৪৮টি ধারা বাস্তবায়িত হয়েছে বলে দাবি করা হয়। ২২ বছরে চুক্তির মাত্র এক-তৃতীয়াংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। তাই চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য তারা দশ দফার ভিত্তিতে অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন। সাম্প্রতিক বক্তব্যে তিনি এ কথাও বলেন, চুক্তির কয়টি ধারা বাস্তবায়িত হয়েছে তা অঙ্কের হিসাবে মেলানোর বিষয় নয়, বিষয় হচ্ছে চুক্তির মূল 'স্পিরিট' বাস্তবায়িত হয়েছে কিনা তা দেখা। তার মতে, এ মূল বিষয়টি হচ্ছে পার্বত্য এলাকার অধিবাসীদের ক্ষমতায়ন।

পার্বত্য গোষ্ঠীগুলোর বাধার মুখে কাজ করতে পারছে না সরকারের ভূমি জরিপ কমিশন। উপজাতীয় নেতাদের আপত্তিতে সরকার গত বছর আইন সংশোধন করেও এর কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে পারছে না। পার্বত্যাঞ্চলের বাঙালি সংগঠনগুলো মনে করছে পার্বত্য চুক্তির এত বছরেও এ অঞ্চলে বসবাসরত বাঙালিদের কোনো প্রকার উলেস্নখযোগ্য উন্নয়ন ঘটেনি। প্রাণ অধিকার আন্দোলনের নেতা জাহাঙ্গীর কামাল ও বাঙালি ছাত্র পরিষদের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, বর্তমানে পাহাড়ে অসহ্য যন্ত্রণাময় পরিস্থিতিতে বাস করছি। পাহাড়ে ৪টি সশস্ত্র সংগঠন সৃষ্টি হয়ে ব্যাপকহারে বেড়েছে সশস্ত্র তৎরপরতা ও সংঘাত। পার্বত্য চট্টগ্রামে জমির মালিকানা নিয়ে আছে বিশেষ কিছু আইন। ব্রিটিশ আমলের সে সব আইন অনুসারে ভূমির মালিকানা প্রথাগতভাবে সেখানে যারা বসবাস করে আসছে সে সব পাহাড়ি মানুষের। এ সব ভূমির মালিকানার কোনো দলিলপত্র নেই তাদের কাছে। কিন্তু পরে বাঙালিদের যখন সেখানে নিয়ে গিয়ে তাদের জন্য বসতি গড়ে দেওয়া হলো তখন শুরু হলো ভূমি নিয়ে বিরোধ, যাকে দেখা হয় সঙ্কটের মূল কারণ হিসেবে। আমেনা মহসিন বলছেন, 'শান্তিচুক্তির মধ্যেই অনেক সমস্যা ছিল। চুক্তিতে ভূমি কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে; কিন্তু সেখানে বাঙালি সেটেলারদের কথার কোনো উলেস্নখ ছিল না। কিন্তু এদের কারণেই তো ভূমি নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়েছিল।' এ সমস্যা সমাধানের জন্য ২০০১ সালে গঠিত হয়েছিল ভূমি কমিশন। কিন্তু গত ১৯ বছরে তারা একটি বিরোধেরও নিষ্পত্তি করতে পারেনি। শুরুতে যে আইন তৈরি করা হয়েছিল তা নিয়েও ছিল অনেক সমস্যা। দেড় দশক পাল্টাপাল্টি বিতর্কের পর সেই আইনের সংশোধন হয়েছে ২০১৬ সালে। কিন্তু সেই আইন কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে তার জন্য যে সব রুলস বা বিধিমালার প্রয়োজন সেগুলো এখনো তৈরি হয়নি। সঞ্জীব দ্রং বলেন, 'এ আইন সংশোধন হতেই লেগে গেল ১৫ বছর। বিধিমালা হলো না এখনো। এ থেকে বোঝা যায় যে ভূমি কমিশন কার্যকর করার ব্যাপারে সরকার কতটা আন্তরিক।'

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের দুই দশক পরও এর বাস্তবায়ন নিয়ে সরকার ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মুখপাত্র জনসংহতি সমিতি এখন পাল্টাপাল্টি অবস্থানে। প্রায় দুই দশক আগে এ চুক্তির মাধ্যমে রক্তপাতের অবসান ঘটে। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক জাতীয় কমিটি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার অধিবাসীদের পক্ষ থেকে পার্বত্য জনসংহতি সমিতির মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চার খন্ডে ৭২টি ধারা বাস্তবায়নে দুই পক্ষ ঐকমত্যে পৌঁছায়। এ চুক্তির মূল বক্তব্য ছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম 'উপজাতি' অধু্যষিত এলাকা। আদিবাসীরা বলছেন, সরকার চুক্তির বরখেলাপ করেছে। তারা কাগজপত্রে পার্বত্য চট্টগ্রামকে উপজাতি অধু্যষিত বললেও, বাস্তবে তাদের কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে। যদিও সরকার এ বক্তব্যের বিরোধিতা করছে। চুক্তি, আইন, বিধি-বিধানের অসংগতি, রাষ্ট্রীয় বিধান, প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন মহলের প্রভাব এ সব নানান অসংগতি, ত্রম্নটি, সীমাবদ্ধতাকে কেন্দ্র করে চুক্তির রাজনীতিতে আর তার প্রতিরাজনীতির আবর্তে ঘুরছে পাহাড়িদের নিয়তি। স্থায়ী বাসিন্দা নির্ণয়, তার ভিত্তিতে ভোটার তালিকা প্রণয়ন, ভূমি জরিপ, ভূমি আইনের অসংগতি দূরীকরণ, স্থানীয় সরকারের আইন সংশোধন, ভূমি কমিশন কার্যকর করা, ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি করা ইত্যাদি সব প্রক্রিয়া-পদ্ধতির জটিলতা- আজ যেন জটিলতায় পরিণত হয়েছে। চুক্তির কটা ধারা বাস্তবায়ন হলো, কটা হয়নি, কেন হয়নি, কোথায় সমস্যা- এ সব প্রশ্নে মানুষকে ব্যতিব্যস্ত রাখার রাজনীতি আর প্রতি রাজনীতির মধ্যে মৌলিক প্রশ্নগুলোই সবার অলক্ষ্যে থেকে গেছে। আজ পর্যন্ত আঞ্চলিক পরিষদ নীতিমালাই প্রণিত করা হয়নি। চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটি অসাড় হয়ে আছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘ দুই যুগের রক্তক্ষয়ী সংঘাত, সহিংসতার অবসান ঘটিয়ে দেশের অখন্ডতা রক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় ১৯৯৭ সালে তৎকালীন সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে স্বাক্ষরিত এ চুক্তি ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছিল তা অনস্বীকার্য। তবে পাহাড়ে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় শান্তি এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। প্রায়ই ঘটছে হানাহানি-রক্তপাত। চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে রয়েছে অনুযোগ-অসন্তোষ।

\হচুক্তির সিংহভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে সরকার দাবি করলেও জনসংহতি সমিতির অভিযোগ মূল ধারাগুলোই বাস্তবায়নের বাকি। অন্যদিকে চুক্তিবিরোধী একটি পক্ষ এখনো সক্রিয়। পার্বত্যবাসীর হতাশা-ক্ষোভের সুযোগ নিয়ে অশান্তি সৃষ্টিতে তৎপর এ মহল। চুক্তি বাস্তবায়নে অগ্রগতি দৃশ্যমান না হলে তাতে সাধারণ পাহাড়ি জনগণের হতাশা বাড়বে, অসন্তোষ দানা বাঁধবে এটাই সেখানকার বাস্তবতা। পাহাড়ে হানাহানি মারাত্মক রূপ নেওয়ার আগেই সরকারের নীতি-নির্ধারকদের বিষয়টিতে দৃষ্টি দেওয়া উচিত।

পার্বত্য শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য এবং বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে এবং চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় বিভিন্ন গোষ্ঠী নানা উদ্দেশ্য নিয়ে সক্রিয় থাকার সুযোগ পাচ্ছে এবং সে কারণে সেখানে অস্থিরতা বাড়ছে। বিভিন্ন গোষ্ঠীর অনেক রকম স্বার্থ তৈরি হয়েছে- সে জন্য সংকট ক্রমেই বেড়ে চলছে।

তার প্রতিপক্ষ গ্রম্নপের বক্তব্য হচ্ছে, 'পাহাড়িরা পূর্বে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারত না- পথে-ঘাটে তলস্নাশি করা হতো।' বর্তমানে তারা লেখাপড়ার অবাধ সুযোগ পাচ্ছে এবং সহজে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নিজেদের সম্পৃক্ত করছে। তবে নির্দ্বিধায় বলা যায় শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ার পিছনে কোনো এক পক্ষকে দোষারোপ করা যাবে না। বিভিন্ন পক্ষের পারস্পরিক অসহযোগিতায় ও অবিশ্বাসের কারণে তার কোনো সমাধান সূত্রের দিকে এগোতে পারছে না। তবে রাজনীতি, প্রতি-রাজনীতি, হিংসা, প্রতিহিংসা পার্বত্য চট্টগ্রামের এ অস্থিরতাকে জিইয়ে রাখছে। তবে একথা জোরের সঙ্গে বলা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় চুক্তি সম্পাদনকাল থেকে এ পর্যন্ত যা যা অর্জন তাতে অন্ততপক্ষে আমরা বলতে পারি যে পাহাড় আর আগের মতো অশান্ত নয়। পাহাড়ে আর আগুন জ্বলছে না। কোনো জিনিস একেবারে না হওয়ার চেয়ে তা সম্পাদিত হলে মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়। আর সেই আশাই একদিন বাস্তবে পরিণত হবে। আমরা আশা করি এবং দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে খুবই আন্তরিক। পরিশেষে বলা যায় যে সব পক্ষের সহযোগিতা, বিশ্বাস আর সরকারের আন্তরিকতায় পার্বত্য শান্তিচুক্তির দ্রম্নত বাস্তবায়ন হবে এবং পার্বত্যবাসীর অন্তর্দ্বন্দ্ব ও ক্ষোভের অবসান হবে।

ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ : সাবেক উপ-মহাপরিচালক বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, কলামিস্ট ও গবেষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে