শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
পাঠক মত

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি কি এক ধরনের দায়সারা মনোভাব!

আহনাফ তাহমিদ ঢাকা
  ১৭ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

করোনা মহামারির কারণে গত মার্চ মাস থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। মৃতু্যও হচ্ছে অনেক মানুষের। আর তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটিও বৃদ্ধি করা হচ্ছে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া দেশের সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত, শপিংমল দোকানপাট সব আগের মতো স্বাভাবিক নিয়মেই চলছে। দীর্ঘ সাত-আট মাস ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বেশি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স-মাস্টার্স ফাইনালের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা আটকে আছে তারা অনেকাংশে ক্ষতির সম্মুখীন। যদিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সেখানেও এক ধরনের বৈষম্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই অনলাইন ক্লাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ডিভাইস কিংবা ধীরগতির নেটওয়ার্কের কারণে তা ছাড়া দরিদ্র্যতাও রয়েছে। যদিও ইউজিসি থেকে শিক্ষার্থীদের ডিভাইস ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে নামমাত্র মূল্যে ডাটা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। তবে তা কতটা ফলপ্রসূ হবে তা আমার বোধগম্য নয়। আর তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই টিউশনি করিয়েই নিজের খরচ চালায় কেউ আবার ওই টাকা দিয়ে পরিবার চালায়, আর করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ তাই শিক্ষার্থীরা টিউশন হারিয়ে আর্থিকভাবে অসচ্ছল হয়ে পড়েছে। এছাড়া আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে যাতে শিক্ষার্থীরা ঘরে থাকে, আক্রান্ত না হয় তবে শিক্ষার্থীদের কি ঘরে আটকে রাখা যাচ্ছে! তারা কিন্তু ঠিকই বাইরে ঘোরাঘুরি করছে। নভেম্বরের শেষের দিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার একটা আভাস পাওয়া যাচ্ছে, আর যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলে তা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের অসমাপ্ত পরীক্ষাগুলো নেওয়া উচিত। এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যেতে পারে। করোনার টিকা আসবে তারপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে এটা কখনো যুক্তিযুক্ত হবে বলে আমার মনে হয় না। উল্টো এতদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীদের হতাশা বাড়বে, আর তারা একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হবে। তাই আশা করব কর্তৃপক্ষ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দিকে সুনজর দেবে এবং যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে