বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উদ্বাস্তু রোহিঙ্গারা যেন দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে

আসহাবুল ইয়ামিন ঢাকা
  ১৫ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

রোহিঙ্গা নামটার সঙ্গে মিশে আছে শত বছরের অযত্ন ও অবহেলার। একসময় স্বাধীন-সার্বভৌমত্তের অধিকারী রোহিঙ্গারাই আজ পৃথিবীর বৃহত্তম উদ্বাস্তু জাতি। নিজ দেশ থেকে নির্যাতিত ও বিতাড়িত হয়ে পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে গেছে তারা। তবে হাজার সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও যে দেশটি আপন ভিটেয় তাদের ঠাঁই দিয়েছে, লাখ লাখ রোহিঙ্গাদের বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছে সে দেশটি হলো আমাদের বাংলাদেশ। তবে এ দেশের প্রতি তাদের কৃতজ্ঞতা বোধ নেই বললেই চলে! কৃতজ্ঞতা স্বীকার দূরের কথা তাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও রেহাই পায়নি তাদের হামলা থেকে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কথা বাদ দিলাম বরং যারা তাদের আপন ঘর ছেড়ে দিয়েছে তাদের জন্য সেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ওপরও হাত তুলতেও অতটুকু দ্বিধাবোধ করেনি তারা।

তবে বেশকিছু ঘটনায় বেশ ভাবিয়ে তুলেছে আমাদের। গত কয়েকদিন আগের ঘটনা, কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ৬ ও ৩ নাম্বর ক্যাম্পে পুলিশের ওপর জঘন্য হামলার ঘটনা ঘটে। আসামি ধরতে অভিযান চালালে রাতের অন্ধকারে শত শত সন্ত্রাসী রোহিঙ্গা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় ৪ কনস্টেবল গুরুতর আহত হন।

এ সব কার্যকলাপই রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির কথা মনে করিয়ে দেয়, তারাই গত বছর অক্টোবরে রাখাইনে পুলিশ ফাঁড়ির ওপর হামলা করে। মিয়ানমার এক বিবৃতিতে বলে এ গ্রম্নপটির নেতৃত্বে রয়েছে রোহিঙ্গা জিহাদিরা, যারা বিদেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তবে সংগঠনটি কত বড়, এদের নেটওয়ার্ক কতটা বিস্তৃত, তার কোনো পরিষ্কার ধারণা তাদের কাছে আজও নেই।

আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা 'ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রম্নপ' তাদের এক রিপোর্টে বলছে, সংগঠনটি মূলত গড়ে উঠেছে সৌদি আরবে চলে যাওয়া রোহিঙ্গাদের দ্বারা। আরাকানে যারা এ সংগঠনটির সঙ্গে যুক্ত, তাদের আধুনিক গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ আছে বলে মনে করা হয়। বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের এ সংগঠনটির প্রতি সমর্থন এবং সহানুভূতি আছে। আর এটাই মূল চিন্তার কারণ। আরসার প্রধান দাবি মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নাগরিকত্ব নিয়ে হলেও বর্তমানে অধিকাংশ রোহিঙ্গা যেহেতু বাংলাদেশে আছে তাদের সুবিধা দেওয়ার জন্য এ দেশেও তাদের কার্যপরিধি বিস্তার করাটা অমূলক নয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে