শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাজিক

প্রকাশ | ২৮ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

তাপস হালদার
করোনা মহামারিতে সারাবিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা এখনো টালমাটাল। দীর্ঘদিন স্থবির থাকার পর ধীরে ধীরে শুরু হচ্ছে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড। বিশ্বের ধনী রাষ্ট্রগুলোর অর্থনীতিও বিপর্যস্ত। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, অর্থনীতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে কমপক্ষে দু'বছর সময় লাগবে। অথচ খুব অল্পসময়ের মধ্যেই বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। বিগত এক দশক ধরে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার সময়েও বাংলাদেশের অর্থনীতির বিস্ময়কর উত্থান হয়েছে। জিডিপি আট শতাংশের ওপরে বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা, প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদরা, বিশ্বের নামিদামি সংবাদ মাধ্যমগুলো বারংবার বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছে, বাংলাদেশের এই সাফল্যের ম্যাজিক কী? বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাজিকই হলো শেখ হাসিনা। গভীর দেশপ্রেম, মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধই তাকে অনন্য সাধারণ ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে। করোনা মহামারির সময় বিশ্বের ধনী দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানরাও পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছে। সেখানে বাংলাদেশের পরিস্থিতিটা ছিল আরো কঠিন। বিপুল জনসংখ্যা, সীমিত সম্পদ, অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে লড়াই করতে হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শুরু থেকেই গণভবন বসে নিয়মিত মনিটরিং, যে কোনো সমস্যা সমাধানে দ্রম্নত পদক্ষেপ গ্রহণ, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্বাস্থ্যকর্মী, সামাজিক ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি দিক নির্দেশনা মাঠপর্যায়ে প্রশাসন ও জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকর প্রভাব পড়েছে। বিশ্বে তিনিই একমাত্র সরকারপ্রধান যিনি জীবন ও জীবিকাকে সমান গুরুত্ব দিয়ে কাজ করেছেন। মানুষের জীবন বাঁচানোর পাশাপাশি যখন মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে, তখন নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের জন্য জরুরি বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ৫ কোটিরও বেশি লোককে রেশনের আওতায় এনে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণের ব্যবস্থা, আরও ১ কোটি পরিবারকে ত্রাণ দেয়া হয় (যার ফলে আরও ৫ কোটি লোক ত্রাণ সুবিধা ভোগ করে), মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ৫০ লাখ পরিবারকে নগদ ২৫০০ টাকা এককালীন সহায়তা, নন-এমপিওভুক্ত ৮১ হাজার শিক্ষক, ২৫ হাজার কর্মচারী, ৪৬ গ্রামপুলিশ, মসজিদের ইমাম, খতিব, গার্মেন্টশ্রমিক, দুস্থ সাংবাদিক, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষসহ সমাজের পিছিয়ে থাকা সব মানুষকেই সহায়তা প্রদান করা হয়। যতই দুর্যোগ আসুক একটি মানুষকেও যাতে না খেয়ে মরতে না হয়, সে বিষয়ে তিনি শুরু থেকে সতর্ক পদক্ষেপ নিয়েছেন। দেশরত্ন শেখ হাসিনার সঠিক ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে দ্রম্নত বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। মহামারির শুরুতেই সোয়া লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ দেয়া হয়। তখন দেশের এক শ্রেণির অর্থনীতিবিদরা বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিল। অথচ আজকে যে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা সেটা প্রণোদনারই ফসল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও বাংলাদেশের জনগণের অপরাজেয় শক্তি সব বাধা উপেক্ষা করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির একটা বড় অবদান প্রবাসী শ্রমিক ভাইদের পাঠানো অর্থ বা রেমিট্যান্স। ধারণা করা হয়েছিল রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে বিশাল ধস নামবে। হয়েছে উল্টোটা। গত অর্থবছর থেকে এ বছরে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৮ দশমিক ৫৭ শতাংশের বেশি। এর অন্যতম কারণ হলো, আগে অবৈধ পথে হুন্ডির মাধ্যমে টাকাটা বেশি আসত। সরকার বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেয়ার ফলে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশ বাংকের রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী একটি দেশে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থাকতে হয়। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশে এক বছরের ব্যয় মেটানোর মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আছে। যা অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত ভালো খবর। অর্থনীতির আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হলো তৈরি পোশাক খাত। ইউরোপ ও আমেরিকা যখন করোনার ভয়াল থাবায় আক্রান্ত তখন পোশাক খাতে নতুন অস্থিরতা তৈরি হয়। একে একে ক্রয়াদেশ স্থগিত হয়ে যায়, নতুন অর্ডার বিদেশি ক্রেতারা বন্ধ করে দেয়। সেই মহাসংকটে প্রথমে প্রণোদনা দিয়ে শ্রমিকদের বেতনের ব্যবস্থা, একমাস পরেই শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে কারখানাগুলো খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। এটি ছিল অত্যন্ত সাহসী সিদ্ধান্ত। ঘরে বাইরে অনেক সমালোচনা হয়েছিল। সেদিন তিনি সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিলেন বলেই আজ পোশাক খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলো যারা ক্রয়াদেশ বাতিল করেছিল সরকার কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় আবার তাদের ফিরিয়ে এনেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন যে একটি ভালো অবস্থানে আছে তার অন্যতম কারণ পোশাক খাত। এ খাতের সঙ্গে সরাসরি জড়িত প্রায় অর্ধকোটি লোক। কৃষি ও শিল্পোৎপাদন পুরোভাবে শুরু হয়েছে। বিশ্বের অধিকাংশ দেশই এখনো ঘুরে দাঁড়াতে না পারলেও বাংলাদেশ খুব ভালোভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে এডিপি। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে উৎপাদন খাতে বেশি প্রভাব ফেলতে পারেনি করোনা মহামারি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা ক্ষুদ্র, মাঝারি থেকে বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী যেমন পেয়েছে, তেমনি পেয়েছে দেশের প্রান্তিক কৃষকও। যার জন্য কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে, শিল্প কারখানা সচল, বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে কর্মের মধ্যে রাখা এবং বড় বড় প্রকল্পের কাজ সচল রাখার কারণে অর্থনীতির সূচকগুলো ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। যে কোনো মহামারির পর খাদ্য সংকট দেখা দেয়, আসে দুর্ভিক্ষ। শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছেন। যখন লকডাউনের কারণে ধান কাটতে শ্রমিক সংকট দেখা দিল, তখন দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিলেন কৃষকের ধান ঘরে তুলে দিতে। অন্যদিকে লকডাউনের মধ্যে ধানকাটা শ্রমিকদের পৌঁছে দিতে প্রশাসনকেও নির্দেশ দিলেন। সরকারিভাবে ধান চাল ক্রয় করে মজুত করা হয়। খালি বা পরিত্যক্ত জায়গায় কৃষি আবাদের নির্দেশ দেন। কৃষির উৎপাদন বাড়াতে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেন। যার কারণে কৃষি খাতে করোনার তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। স্বাভাবিকভাবে চলছে কৃষি খাতের যাবতীয় কার্যক্রম। প্রধান প্রধান খাদ্যশস্য, মৎস্য, পোল্টি শিল্প, গবাদিপশুসহ এ জাতীয় খাতে উৎপাদন ও বণ্টনে বড় ধরনের কোনো সমস্যা হয়নি। বাংলাদেশের বিস্ময়কর উত্থানের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান গ্রামীণ অর্থনীতি। দেশরত্ব শেখ হাসিনা আধুনিক কৃষি উৎপাদনের মাধ্যমে এক সময়ের দারিদ্র্যপীড়িত দেশকে শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণই করেননি, বাংলাদেশকে খাদ্য শস্য রপ্তানিকারক দেশে পরিণত করেছেন। অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেয়ার বাজার। ২০১০ সালের পর এমন চাঙ্গাভাব কখনো দেখা যায়নি। ব্যাংকিং লেনদেন স্বাভাবিক গতিতেই চলছে। ইতিবাচক ধারায় ফিরছে রাজস্ব আদায়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের হিসেব মতে, গত আগস্ট মাসে ১৫ হাজার ৪০৬ কোটি টাকা আদায় হয়েছে, যা রেকর্ড। বিগত কোনো আগস্ট মাসে এত পরিমাণ টাকা আদায় হয়নি। করোনাভাইরাসের আঘাতে বিশ্বের ধনী দেশগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থা নাজুক অবস্থায় পড়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলেছে, ২০২০ সালে বিশ্বের সামগ্রিক অর্থনীতি প্রায় পাঁচ শতাংশ সংকুচিত হবে। বিশ্বকে পূর্বের অর্থনৈতিক অবস্থায় ফিরে আসতে কোভিডপরবর্তী অন্তত দুই বছর সময় লাগবে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ৮ শতাংশ, ইউরো মুদ্রা ব্যবহৃত দেশগুলো ১০ শতাংশ, জাপানে প্রায় ৬ শতাংশ সংকুচিত হবে, এমনকি চীনের প্রবৃদ্ধিও ১ শতাংশে নেমে আসতে পারে বলে অভিমত দিয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে প্রায় ৬ শতাংশ। তবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিপি) বাংলাদেশের জিডিপি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার অবশ্য বর্তমান অর্থবছরে জিডিপি ৮ দশমিক ২ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। আন্তর্জাতিক সব সংস্থাই বলছে, করোনা মহামারি পরিস্থিতি থেকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উত্তরণ হবে সবচেয়ে দ্রম্নত গতিতে। অর্থনীতির সূচকগুলো ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় গত এক দশকে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার সময়েও ৮ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। এই ভয়াবহ দুর্যোগের সময়েও দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১৫৫ ডলার- যার ফলে মাথা পিছু আয় গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২০৬৪ ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ফোর্বস ম্যাগাজিনে করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশসহ সাতটি দেশের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ১৬ কোটিরও বেশি মানুষের বসবাস। সেখানে দুর্যোগ কোনো নতুন ঘটনা নয়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা মোকাবিলায় দ্রম্নত পদক্ষেপ নেওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়া দক্ষতার সঙ্গে সংকট মোকাবিলা তার জন্য নতুন কিছু নয়। স্টান্ডার্ড চার্টার্ডের আশিয়ান ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান অর্থনীতিবিদ এডওয়ার্ড লি বলেছেন, বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ মন্দার মাঝেও এশিয়ার দুটি দেশ এ বছর ইতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে যাবে। বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম। জিডিপি প্রবৃদ্ধির দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্বের সব দেশের জন্যই চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক ছিল সবচেয়ে খারাপ। সেখানেও পুনরুদ্ধার দেখাতে পেরেছে বাংলাদেশ। দ্য ইকোনমিস্ট মন্তব্য করেছে, করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে ৬৬টি উদীয়মান অর্থনীতির দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৯ম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ হবে। বাংলাদেশের পর থাকবে চীন ১০ম, ভারত ১৭তম, পাকিস্তান ৪৩তম। গত একদশকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, প্রযুক্তি, ক্ষুধা-দারিদ্র্য, শিশু-মাতৃ-মৃতু্য, গড় আয়ু বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর মাধ্যমে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষকে সাহায্যে করে এক সময়ের তলাবিহীন ঝুঁড়ি খেতাব পাওয়া অবহেলিত দেশ বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। দুর্যোগ, মহামারি, জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও সন্ত্রাস-জঙ্গি দমনে বিশ্বের কাছে রোল মডেল। বৈশ্বিক করোনা মহামারি, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান, দীর্ঘস্থায়ী বন্যা এত বৈরী পরিস্থিতি মোকাবিলা করে বাংলাদেশের মানুষকে রক্ষা করতে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা নিয়েছেন বহুমুখী পদক্ষেপ, দিন রাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। জাতির পিতার অসমাপ্ত সোনার বাংলা বিনির্মাণে তিনি সব বাধাকে অতিক্রম করে এগিয়ে চলছেন দুর্বার, দুরন্ত গতিতে। তাপস হালদার : সদস্য, সম্প্রীতি বাংলাদেশ ও সাবেক ছাত্রনেতা