আবারও ক্যাসিনো

কার্যকর পদক্ষেপ নিন

প্রকাশ | ২৭ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ক্যাসিনোকান্ড ব্যাপকভাবে সারাদেশে আলোচনায় এসেছিল, কিন্তু এখনো যে জুয়াড়িরা সক্রিয় তা বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়েই স্পষ্টভাবেই প্রতীয়মান হচ্ছে। সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেল, সাভারের আশুলিয়ায় মিনি ক্যাসিনোসহ ২১ জনকে আটক করেছের্ যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্(যাব-৪)। রোববার দুপুরের্ যাব-৪ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতের্ যাব জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে সাভারের আশুলিয়ার কাইচাবাড়ী এলাকায় একশ্রেণির বখাটে যুবক মিনি ক্যাসিনো খেলে যুব সমাজকে নষ্ট করছিল। পরে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাতে আশুলিয়ার কাইচাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ক্যাসিনো খেলার সময় ২১ জনকে আটক করা হয়। তথ্য মতে, আটককৃতদের কাছ থেকে ক্যাসিনো খেলার সরঞ্জামাদি, একশ পিস ইয়াবা, ১২টি বিদেশি বিয়ার, ২২টি মোবাইল ফোন, নগদ ৩৮ হাজার টাকা ও একটি ইলেকট্রনিক্স ক্যাসিনো বোর্ড উদ্ধার করা হয়। আমরা বলতে চাই, এ ঘটনা আমলে নিয়ে অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। সারাদেশেই কোথায় কোথায় এই ধরনের কর্মকান্ড চলছে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। কেননা, এই ধরনের কর্মকান্ড যদি চলতে থাকে তবে তা শুধু বর্তমানই নয় বরং আগামী দিনের জন্যও অশনি সংকতে। সঙ্গত কারণেই সৃষ্ট পরিস্থিতি এড়ানোর সুযোগ নেই। প্রসঙ্গত বলা দরকার, এর আগে ক্যাসিনোর বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল, তখন বিপুল পরিমাণ মাদক, টাকা উদ্ধার করা হয়। ক্যাসিনোর সঙ্গে মাদকের ব্যবহারও হচ্ছে এমনটি আলোচনায় আসে। এছাড়া জুয়াকে কেন্দ্র করে কোটিপতি বনে গিয়ে দেশের বাইরেও ক্যাসিনোতে জুয়া খেলতে যান, দেশীয় সম্পদ পাচার হচ্ছে এমন বিষয়গুলো সামনে আসে। আর শত শত উঠতি তরুণ-যুবক এসব জায়গায় জুয়া খেলে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন বলেও তখন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে উঠে আসে। এছাড়া শুধু ক্যাসিনোই নয়, এর পর 'শিলং' নামের ভয়ংকর জুয়ার নেশায় সর্বস্বান্ত হচ্ছে দেশের মানুষ এমনটিও সামনে আসে। এই জুয়ায় আসক্ত হয়ে অনেকেই পথে বসে গেছেন এবং তার বিস্তৃতি ঠেকাতে মাঠে নামে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। গ্রেপ্তার করার তথ্যও উঠে আসে। 'শিলং'য়ের বিষয়টি সামনে আসার পর জানা যায় পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে পরিচালিত এই জুয়ার আসর শনাক্তের পর মামলাও করা হয়। মূলত অনলাইন ক্যাসিনো ধাঁচের এই খেলার লেনদেনে ব্যবহার করা হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা যার মাধ্যমে দেশ থেকে বিপুল অর্থ পাচারের শঙ্কার বিষয়টিও উঠে আসে। আমরা বলতে চাই, এবারে যখন সাভারের আশুলিয়ায় মিনি ক্যাসিনোসহ ২১ জনকে আটক করেছের্ যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্(যাব-৪)। তখন বিষয়টিকে সামনে রেখে সংশ্লিষ্টদের কর্তব্য হওয়া দরকার যথাযথ তৎপরতা অব্যাহত রাখা। আমরা মনে করি, এবারের ঘটনায় আটকৃতদের আইনের আওতায় আনতে হবে একই সঙ্গে তথ্য সংগ্রহ ও অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে অপরাধীদের চক্র শনাক্ত করা বা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া মানুষ যেন এই ধরনের ফাঁদে পা না দেয় সেই বিষয়টিকে সামনে রেখেও সচেতনতা বৃদ্ধিতে উদ্যোগী হতে হবে। আমরা মনে করি, যত দ্রম্নত সম্ভব সার্বিকভাবে ক্যাসিনো বা যে কোনো ধরনের জুয়ার বিষয়টিকে আমলে নিতে হবে এবং এর বিস্তার রোধে সব ধরনের পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে। কেননা, সারাদেশে জুয়ার বিস্তৃতি ঘটবে আর মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বে এই নেশায়, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সর্বোপরি আমরা বলতে চাই, ক্যাসিনো, 'শিলং'সহ যে কোনো ধরনের জুয়ার নেশা সম্পর্কিত যে তথ্যগুলো সামনে আসছে তা অত্যন্ত ভীতিপ্রদ বাস্তবতাকে স্পষ্ট করে। ফলে যত দ্রম্নত সম্ভব এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। একদিকে এই নেশায় পড়ে সর্বস্বান্ত হওয়ার তথ্য আসছে, অন্যদিকে জুয়ার মাধ্যমে দেশ থেকে বিপুল অর্থ পাচারের শঙ্কাও রয়েছে। সঙ্গত কারণেই এই বিষয়গুলো কোনোভাবেই এড়ানোর সুযোগ নেই। সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে এই ধরনের চক্রগুলোকে রুখে দিতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক এমনটি কাম্য।