বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে

সেলিনা আকতার
  ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

'কলেজ থেকে ফিরে ভেজা চুল বাঁধা অবস্থাতেই ঘুমিয়ে যেতাম সন্ধ্যা হলে। বাবা রাতে এসে তা দেখে চুল খুলে ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে আঁচড়ে দিতেন- এমন ঘটনা রোজই ঘটত। আমিও ঘুম ভেঙে গেলেও চুপ করে চোখ বুজে বাবার এই সস্নেহ যত্নটুকু উপভোগ করতাম।'- শেখ হাসিনা

বাবা-মেয়ের এ সম্পর্ক শাশ্বত, চিরন্তন! এ বন্ধন স্বর্গীয়, সুশীতল স্নেহে পরিপূর্ণ। প্রতিটি বাবার চোখে তার মেয়ে কখনো বড় হয় না, সে যেন ছোট্ট একটি পুতুল, যেন এক রাজকন্যা, আদরের খুকুমনি। তেমনি বাবার আদরের এক খুকুমনির আজ শুভ জন্মদিন। শুভ জন্মদিনে তাকে জানাই শরতের আকাশে ভেসে বেড়ানো রাশি রাশি মেঘের শুভ্রতা ও নদীর কূলে মৃদু হাওয়ায় দোল খাওয়া কাশফুলের কোমল স্নিগ্ধ শুভেচ্ছা।

আজ এই দিনে আমার কেন জানি কেবলই মনে হচ্ছে জন্মদিনের এই খুকুটির মন আজ ব্যাকুলতায় ছেয়ে গেছে, মনোবীণায় বারবার বেজে উঠছে অমর কণ্ঠশিল্পী হেমন্তের সেই কালজয়ী গানের দুটো লাইনের কথা-

জানালার গ্রিলটাতে ঠেকাই মাথা.....

মনে হয় বাবার মতো কেউ বলে না....আয় খুকু আয়.....

জন্মদিনে বাংলা মায়ের প্রতিটি খুকু অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে তার বাবার জন্য। কখন আসবে তার বাবা, কখন এসে তার শীতল স্নেহের পরশ বুলিয়ে দেবে তার মাথায়। আর সেই বাবাটি যদি হয় দেশ মাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তান। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি কালজয়ী মহাপুরুষ- যিনি বাংলাদেশ নামক এই দেশটি জন্ম দিয়েছেন; বাঙালিকে একটি জাতি হিসেবে আত্মপরিচয়ের সুযোগ করে দিয়েছেন। গরিব, দুঃখী ও অধিকার বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরণ সংগ্রাম করে গেছেন। বারবার কারাবরণ করেছেন, এই বঙ্গভূমির বঙ্গসন্তানদের একান্ত আপনজন হয়ে উঠেছিলেন। তিনি আমাদের বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছিল যে মহান বাবার, আজ জন্মদিনে বাবার আদরের সেই খুকুর মন কতটা ব্যাকুল হতে পারে তা ভাষায় প্রকাশ করা ব্যর্থ চেষ্টা মাত্র। বাবাকে হারানোর বেদনা তার প্রতিদিনের যন্ত্রণা। আজ যেন এ বেদনা তাকে আরও আনমনা করে দেয়, উদাস করে দেয়, জানালার গ্রিল ধরে নির্বাক দৃষ্টিতে অজানায় মন ছুটে চলে যায়। পিতার আদরের খুকু আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা, দেশরত্ন শেখ হাসিনা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি। আজ তার ৭৪তম জন্মদিন। স্বাধীন বাংলাদেশের '৭৫-পরবর্তী সময়ে ইতিহাসে সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের কান্ডারি। উন্নত, সমৃদ্ধ ও ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার। বাঙালির আশা আকাঙ্ক্ষার একান্ত বিশ্বস্ত ঠিকানা, বাঙালির বিশ্বজয়ের স্বপ্নসারথী। পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে তার সুনাম। তার সরকারের সুদক্ষ পরিচালনায় এককালের 'তলাবিহীন ঝুঁড়ির' সমতুল্য বাংলাদেশ আজ বহির্বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত।

দাদা শেখ লুৎফর রহমান ও দাদি সাহেরা খাতুনের অতি আদরের নাতনি এবং স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ হাসিনার শৈশব কেটেছে টুঙ্গিপাড়ার আলো-বাতাস আর ধুলামাটি গায়ে মেখে গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষের সঙ্গে। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ১৯৪৭ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। শেখ হাসিনার শিক্ষাজীবন শুরু হয় টুঙ্গিপাড়ার এক পাঠশালায়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর পরিবারকে তিনি ঢাকায় স্থানান্তর করেন। ১৯৬৫ সালে শেখ হাসিনা আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। পূর্বতন বকশী বাজারের ইন্টার মিডিয়েট গভর্নমেন্ট গার্লস কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ) থেকে ১৯৬৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি কলেজ ছাত্রী সংসদের সহসভানেত্রী পদে নির্বাচিত হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সদস্য এবং রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এই বছরই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্সে ভর্তি হন। বঙ্গবন্ধুর আগ্রহে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনার বিয়ে হয় ১৯৬৮ সালে। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই শুরু হয় ১১ দফা আন্দোলন, '৬৯-এর গণঅভু্যত্থান। রক্তে ছিল রাজনীতি তাই রাজনৈতিক পদচারণা কৈশোরেই। বাবার কাছ থেকে রাজনীতিতে হাতেখড়ি, তারপর কেবলই সামনে এগিয়ে চলা। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ছাত্রলীগের নেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা আইয়ুববিরোধী আন্দোলন এবং ছয় দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে নিজেকে নিযুক্ত রাখেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের করাচিতে নিয়ে যাওয়ার পর গোটা পরিবারকে ঢাকায় ভিন্ন এক বাড়িতে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। মুক্তিযুদ্ধের ডামাডোলে অবরুদ্ধ বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই শেখ হাসিনা গৃহবন্দি অবস্থায় তার প্রথম সন্তান জয় এর মা হন। তার দ্বিতীয় সন্তান পুতুলের জন্ম হয় ১৯৭২ সালের ৯ ডিসেম্বর। ১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার আগে ছোট বোন শেখ রেহানাসহ শেখ হাসিনা ইউরোপ যান। সেখানে অবস্থানকালে তিনি সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর নিহত হওয়ার খবর পান। ঠিক ওই মুহূর্তে দেশে ফেরার কোনো পরিবেশ না থাকায় তিনি ইউরোপ ছেড়ে স্বামী-সন্তানসহ ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন।

১৯৮১ সালের ১৩-১৫ ফেব্রম্নয়ারি আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে জাতির এক ক্রান্তিলগ্নে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ডাক আসে দেশ মাতৃকার মহান সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার। ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা। দেশে ফিরে বাবার আদর্শে ব্রত নিয়ে একটানা ১৬ বছর ধরে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে চলে তার অকুতোভয় সংগ্রাম। কঠিন সংগ্রামে অবিচল থেকে কণ্টকময় বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়েছেন তিনি। জেল-জুলুম, অত্যাচার কোনো কিছুই তাকে তার পথ থেকে বিচলিত করতে পারেনি। আওয়ামী লীগের বিজয়ের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ১৯৯৬ সালের ১২ জুন ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। এরপর স্বাধীন বাংলাদেশের চতুর্থবারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি। তিনি দীর্ঘস্থায়ী নারী শাসক।

একজন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ইতোমধ্যে তিনি মর্যাদাপূর্ণ অসংখ্য পদক ও পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তৃতীয় বিশ্বের এক বিচক্ষণ নেতা হিসেবে তিনি স্বমহিমায় উজ্জীবিত। তিনি বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত। ফোর্বস সাময়িকীর দৃষ্টিতে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকায় ২০১৮ সালে তার অবস্থান ২৬তম। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফরেইন পলিসি নামক সাময়িকীর করা বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ১০০ বৈশ্বিক চিন্তাবিদদের তালিকায় শেখ হাসিনা জায়গা করে নিয়েছেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ তৃতীয় বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। স্থায়ী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, খাদ্যে স্বনির্ভরতা, নারীর ক্ষমতায়ন, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামীণ অবকাঠামো, তথ্যযোগাযোগ, জ্বালানি ও বিদু্যৎ, বাণিজ্য, আইসিটি এবং এস এমই খাতে এসেছে ব্যাপক সাফল্য। এছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ শক্তহাতে প্রতিরোধ, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার, পার্বত্য-শান্তিচুক্তি, পদ্মাসেতু নির্মাণ, একুশে ফেব্রম্নয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ গুরুত্বপূর্ণ 'বিশ্ব ঐতিহ্য' হিসেবে এবং বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে। সমুদ্র জয়ের পর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে মহাকাশও জয় করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে নাড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিবেককে। তিনি লাভ করেছেন 'মাদার অব হিউম্যানিটি' উপাধি। নিখাদ দেশ প্রেম, দূরদর্শিতা, দৃঢ়চেতা মানসিকতা, অকুতোভয়ী মনোভাব ও মানবিক গুণাবলি তাকে আসীন করেছে বাঙালি জাতির ঐক্যের প্রতীক ও ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে। বর্তমানে বৈশ্বিক করোনা ভাইরাস মহামারি থেকে মানুষের জীবন বাঁচাতে, মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে শুরু থেকেই প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে দরিদ্র মানুষকে ত্রাণ সহযোগিতার পাশাপাশি বিভিন্ন খাতে আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে। জীবিকা ও অর্থনীতি বাঁচাতে নিয়েছেন নানা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। করোনা সংকট মোকাবিলায় দ্রম্নত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ফোর্বস ম্যাগাজিনসহ আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করা হয়েছে।

মানুষ স্বপ্ন নিয়েই বাঁচে। স্বপ্ন দেখার স্পৃহা তৈরি হয় গভীর আবেগ থেকে। আর স্বপ্ন না থাকলে একজন মানুষ জীবিত থাকলেও, প্রাণবন্ত থাকে না। তাই স্বপ্ন ও আবেগ মানব মনের এক অবিচ্ছেদ্য অনুভূতি। আর এই অমিত অনুভূতি নিয়েই জাতির পিতা স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত স্বাধীন 'সোনার বাংলাদেশ' বিনির্মাণ করার। পিতার স্বপ্নের উত্তরাধিকার হিসেবে বাঙালি জাতি পেয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। যিনি পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে অপ্রতিরোধ্য গতিতে হেঁটে চলছে উন্নয়নের মহাসড়কে। তার এ চলার পথ মসৃণ নয়, তিনি প্রতিনিয়ত দৃঢ়চিত্তে পাড়ি দিচ্ছেন প্রতিকূলতাময় বন্ধুর পথ। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তার দেখানো পথে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রের দ্বারপ্রান্তে অধিষ্ঠিত করার প্রত্যয়ে আমাদের সবার উচিত আবার সংগ্রামশীল হওয়া। আমরা যেন স্ব স্ব দায়িত্ব পালনে আন্তরিক প্রেরণায় উজ্জীবিত হই। দায়িত্ব প্রাপ্তদের অনেকেই আমরা কাজকর্মে শতভাগ স্বচ্ছতার প্রমাণ রাখতে পারছি না। ফলে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা মাঝে মধ্যেই থমকে দাঁড়ায়, হোঁচট খায়। জনমনে নানা প্রশ্ন জাগে সরকারকে আমরা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলি। তাই এসব বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখা এবং প্রত্যেকের দায়িত্বশীল আচরণ করা এখন সময়ের দাবি।

পিতার স্বপ্নের 'সোনার বাংলা' বিনির্মাণে নানা চড়াই উৎরাই পথে দৃঢ় প্রত্যয়ে হেঁটে যাওয়া এক কন্যা আজ যেন তার জন্মদিনে মনের গহিনে বহুদূর থেকে পিতার স্নেহভরা আদরমাখা ডাক শুনতে পাচ্ছেন। এ ডাক যেন তাকে ক্ষণিকের জন্য আনমনা করে, বিচলিত করে। রাজনৈতিক হাজারো টানাপড়েনে কাজের মধ্যে ডুবে থাকলেও মাঝে মাঝেই মন ব্যাকুল হয়ে উঠে। আজ যেন সে ব্যাকুলতা অন্য দিনগুলোর চেয়ে তীব্রতর। খুকু আনমনে জানালার গ্রিলটাতে মাথা ঠেকিয়ে বাবাকে বেশ অনুভব করে। মনে হয় এই বুঝি বাবা তাকে অতি আদরে কাছে ডেকে নিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে রাজনীতির পথে, মানবতার সেবার নতুন নতুন কৌশল শিখিয়ে দেবেন। কেননা, বাবাই যে খুকুর সব প্রেরণার উৎস, আস্থা আর নির্ভরতার স্থান। কিন্তু খুকুর এই পথ চাওয়া, এই ব্যাকুলতা যেন শেষ হওয়ার নয়! এ পথ চাওয়া অনন্ত কালের!! বাংলার সব খুকু বাবার শীতল স্নেহের ছোঁয়ায় সুখে থাকুক, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শুভ জন্মদিনে এই কামনা নিরন্তর।

সেলিনা আকতার : সহকারী অধ্যাপক পটুয়াখালী সরকারি কলেজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<113458 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1