শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা সংকটে শিক্ষায় নতুন প্রকল্প

করোনার সংকটে যেসব শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে তাদের আবার স্কুলে ভর্তিতে সহায়তা করার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে ও লেখাপড়ার ক্ষতি পূরণে সহায়তা করা এবং শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সেবা দেওয়া হবে নতুন এ প্রকল্পের মাধ্যমে।
মাছুম বিলস্নাহ
  ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

সব সেক্টরের মতো কোভিড-১৯ মহামারির ধাক্কা মারাত্মকভাবে লেগেছে আমাদের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায়। এ সংকট কাটাতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় 'বাংলাদেশে কোভিড-১৯ স্কুল সেক্টর রেসপন্স' (সিএসএসআর) শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এক কোটি ৮৭ লাখ এবং গেস্নাবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশন অনুদান থেকে ১২৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা জোগান আসবে। একনেকে চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর। করোনায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আগামী মাস থেকেই বিশেষ প্রকল্প 'বাংলাদেশ কোভিড-১৯ স্কুল সেক্টর রেসপন্স'-এর কাজ শুরু করতে চায় সরকার। এ প্রকল্পের আওতায় অন্তত ২০ হাজার স্কুলে নেয়া হবে করোনার ফলে সৃষ্ট ক্ষতি সামাল দেয়ার উদ্যোগ। শিক্ষার্থীদের হাত ধোয়া থেকে শুরু করে উপজেলা থেকে বাছাই করা শিক্ষকদের দেয়া হবে প্রশিক্ষণ। শিক্ষা গ্রহণের জন্য তৈরি করা হবে নতুন ভার্চুয়াল পস্নাটফর্ম।

বিশ্লেষকদের মতে এই করোনা সংক্রমণের চক্র হয়তো আরো দুই-তিন বছর ধরে চলতে থাকবে। কারণ এই রোগে আক্রান্ত মানুষের মধ্যে ২৫ থেকে ৫০ শতাংশের কোনো উপসর্গ লক্ষ্য করা যায় না। অবশিষ্ট ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ যাদের উপসর্গ প্রকাশ পায়, তাদের ৮০ শতাংশের মধ্যে সামান্য উপসর্গ দেখা যায়। ১৪ শতাংশ মাঝারি উপসর্গ নিয়ে হাসাপাতালে ভর্তি হন এবং বাকি ৬ শতাংশ ক্রিটিক্যাল রোগীর জন্য ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের প্রয়োজন হয়। সব মিলিয়ে আক্রান্ত রোগীদের প্রায় ৭০ শতাংশ ধরছোঁয়ার বাইরে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই এর মোকাবিলা বেশ জটিল। করোনা ক্রান্তিকালের পর পৃথিবীতে অনেক কিছুই আগের মতো থাকবে না। বদলাতে আমাদের হবেই। গবেষকরা বলছেন, করোনার পর বদলে যাওয়া পৃথিবীতে এমন অনেক কিছুই হবে যা আগে হয়নি। নতুন স্বাভাবিক জীবন বা বিশ্বব্যাপী প্রচলিত নিউ নরমাল লাইফের সঙ্গে আমাদের জীবনযাপনের সব কিছুতেই খাপখাইয়ে নিতে হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব জানান, করোনার কারণে শিক্ষার ক্ষতি পোষাতে সব ধরনের পদক্ষেপ থাকবে বিশেষ এ প্রকল্পে। আগামী মাস অর্থাৎ অক্টোবর থেকেই প্রকল্পের কাজ শুরু করার ইচ্ছে প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেখানে থেকে অনুমোদন পেলে দ্রম্নতই কাজ শুরু করতে পারবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। গেস্নাবাল পার্টনার ফর এডুকেশন বা জিপিই এ প্রকল্পে দিয়েছে ১৫ মিলিয়ন বা ১২৬ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। করোনায় দেশের অন্তত চার কোটি শিক্ষার্থীর ক্ষতি পোষাতেই 'বাংলাদেশ কোভিড-১৯ স্কুল সেক্টর রেসপন্স' নামের বিশেষ প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে সরকার।' বাংলাদেশের পক্ষে সংস্থাটির কাছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ২০ মিলিয়ন অর্থ চেয়ে আবেদনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তারই বিপরীতে ১৫ মিলিয়ন অর্থ সাহায্য দিতে সম্মত হয় সংস্থাটি। বিশ্বব্যাংকের মাধ্যমে টাকাটি ছাড় হওয়ার কথা। ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত অর্থাৎ আগামী দুই বছর চলবে প্রকল্পটি। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় চাইলে পুরো প্রকল্পটি বাস্তাবায়ন করবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বাস্তবায়ন কমিটিতে থাকবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রকল্প অনুযায়ী নতুন শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়ে ভর্তি, শিক্ষার্থী মূল্যায়ন ও লেখাপড়ার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সহায়তা, শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষাসেবা দেয়া, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সংকট মোকাবিলার জন্য বিদ্যালয় ব্যবস্থার প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করা, দূরশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা এবং বিদ্যালয়ের সঙ্গে দূরশিক্ষণ কার্যক্রম একীভূত করা হবে। দীর্ঘসময় স্কুল বন্ধের পরিস্থিতিতে কৌশল ও মানসম্মত কার্যপ্রণালি প্রণয়ন সব ধরনের কারিগরি সহায়তা সেবা নিশ্চিত করা হবে প্রকল্পের মাধ্যমে। ২০ হাজার বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সুরক্ষাসামগ্রী দেয়া হবে প্রকল্পের মাধ্যমে। পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য থাকবে বিশেষ স্কিম। কোভিড-১৯ সংকট মোকাবিলা এবং উত্তরণের জন্য বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনার প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে প্রকল্পটির মাধ্যমে। প্রাক-প্রাথমিক স্তর থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত করোনা সংক্রান্ত ভবিষ্যৎ সংকট মোকাবিলার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করা, প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ২৫ লাখ শিক্ষার্থীকে একীভূত দূরশিক্ষণ (রেডিও, টেলিভিশন ও অনলাইন) সহায়তা প্রদান করা হবে। প্রকল্পের উদ্দেশ্য পূরণে ৩২ লাখ ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরের সরকারি বিদ্যালয়ে পুনঃভর্তি যারা চলতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছিল তা নিশ্চিত করা হবে। এর মধ্যে ১৫ লাখ ৯০ হাজার ছাত্র ও ১৬ লাখ ৫০ হাজার ছাত্রী রয়েছে। বিদ্যালয় ব্যবস্থার সঙ্গে দূরশিক্ষণ কার্যক্রম পুরোপুরি কার্যকর ও একীভূত করা হবে প্রকল্পটির মাধ্যমে। প্রথম থেকে দশম শ্রেণির পুরো শিক্ষাবর্ষের জন্য পূর্ণাঙ্গ ও যথাযথ ডিজিটাল কনটেন্টসমৃদ্ধ ৩৫টি বিষয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। দুর্গম এলাকার এক লাখ ৫০ হাজার শিশুকে শিক্ষা উপকরণ দেয়া হবে। স্কুল বন্ধ থাকায় ১৫ লাখ শিশু-শিক্ষার্থীকে করোনার নেতিবাচক প্রভাব থেকে উত্তরণ ঘটাতে প্রচার প্রচারণা চালানো হবে।

তবে, কোভিড-১৯ মহামারির বড় ধাক্কা লাগা শিক্ষার সংকট কাটাতে নেয়া বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পটি শুরুতেই আটটি প্রশ্নের মুখে পড়েছে। বিপুল পরিমাণ পরামর্শক ব্যয় ধরা হয়েছে এখানে। এছাড়াও অপ্রয়োজনীয় নিয়োগের কথা শোনা যাচ্ছে। পরামর্শক ব্যয় কমানোসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সুস্পষ্ট করে উপস্থাপনের জন্য প্রস্তাবটি একবার ফেরত পাঠানোর কথা আমরা পত্রিকায় দেখেছি। ২৭ আগস্ট প্রকল্পটি নিয়ে বিশেষ মূল্যায়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রকল্পের আওতায় ১৮ মাসের জন্য প্রকিউরমেন্ট এক্সপার্ট, ম্যানেজমেন্ট এক্সপার্ট, মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন এক্সপার্ট এবং নয় মাসের জন্য এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড সোশ্যাল সেফগার্ড এক্সপার্ট নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে দুই কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। পরামর্শক নিয়োগের প্রস্তাব সীমিত রাখা বাঞ্ছনীয় বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এখানে যে বিষয়টি বেশি গুরুত্ব পাওয়ার কথা সেটি হচ্ছে অনলাইন এডুকেশন দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর জন্য পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি থাকা। টেকলোজির ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রে বেড়েছে তবে ঢালাওভাবে সেভাবে এখনো সর্বত্র হয়নি। সেবাদানের ক্ষেত্রে মানবীয় স্পর্শ একটি আশান্বিত ও কাঙ্ক্ষিত বিষয়। শিশুদের দূরশিক্ষণ পদ্ধতির আওতায় আনতে নিউইয়র্ক সিটি ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশন ও অনেটগ্রম্নপ যৌথভাবে লেটসলার্ন এনওয়াইসি নামে নতুন একটি টিভি চ্যানেল চালু করেছে। এটি ৪ মে থেকে চালু হয় এবং সোমবার থেকে শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে শিক্ষামূলক প্রোগাম চলতে থাকে। এ টিভি শো'তে যথাযথ বয়স বিষয়সমূহ দেখানো হয়- যার মধ্যে রয়েছে প্রাক-শিশু শিক্ষা, মৌলিক পড়ার দক্ষতা, সাক্ষরতা, গণিত, সামাজিক শিক্ষা ও বিজ্ঞান, কথা বলার দক্ষতা, শব্দ শেখা, গদ্য পড়া এবং লেখার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। আমাদেরও এ ধরনের কিছু চিন্তাও বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।

শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল তৈরি, বিদ্যালয় বন্ধের কারণে শিক্ষার ক্ষতি পরিমাপ করতে তিন লাখ ৫০ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে প্রস্তাবিত এ নতুন প্রকল্পটির মাধ্যমে। প্রতি উপজেলা থেকে নির্দিষ্টসংখ্যক শিক্ষককে বাছাই করে দেয়া হবে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের জন্য।

করোনার সংকটে যেসব শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে তাদের আবার স্কুলে ভর্তিতে সহায়তা করার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে ও লেখাপড়ার ক্ষতি পূরণে সহায়তা করা এবং শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সেবা দেওয়া হবে নতুন এ প্রকল্পের মাধ্যমে।

\হপ্রকল্প থেকেই সব কার্যক্রমের কারিগরি সহায়তা সেবা নিশ্চিত করা হবে। বিদ্যালয় ব্যবস্থার জন্য মানসম্মত জরুরি পরিচালনা কার্যপ্রণালি তৈরি করা এবং শিখন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে সরাসরি ইন্টারভেনশন থেকে তিন কোটি ৫৯ লাখ শিক্ষার্থী উপকৃত হবে। অসম পঠন-পাঠন সমস্যার সমাধান করাই হবে এই প্রকল্পের একটি কাজ। মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, বিদ্যালয় খোলার সঙ্গে সঙ্গেই প্রকল্পের মাধ্যমে সুবিধা পাবে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে যেসব নির্দেশনা তৈরি হয়েছে তা বাস্তবায়নে অর্থ সহায়তা দেয়া হবে। আরও বলা হয় যে, প্রথম থেকে দশম শ্রেণির পুরো শিক্ষাবর্ষের জন্য পূর্ণাঙ্গ ও যথাযথ ডিজিটাল কন্টেন্ট সমৃদ্ধি ৩৫টি বিষয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। শিশু-শিক্ষার্থীকে করোনার নেতিবচাক প্রভাব থেকে উত্তরণ ঘটাতে প্রচার চালানো হবে। ২০ হাজার বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সুরক্ষাসামগ্রী দেয়া হবে প্রকল্পের মাধ্যমে।

বৈদেশিক সহায়তায় প্রস্তাবিত এ প্রকল্পটি শুরুতেই আট প্রশ্নের মুখে পড়েছে। পরামর্শক ব্যয় কমানোসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো স্পষ্ট করে উপস্থাপনের জন্য প্রস্তাবটি পরিকল্পনা কমিশন থেকে নাকি ফেরতও পাঠানো হয়েছিল মন্ত্রণালয়ে। ২৭ আগস্ট প্রকল্পটি নিয়ে বিশেষ মূল্যায়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে পরামর্শক ব্যয়, কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট এবং বাহ্যিকভাবে চলে আসা সমস্যার সমন্বিত সমাধান সংক্রান্ত বিষয়ে স্পষ্টতার অভাব রয়েছে। এছাড়া কোভিড পরিস্থিতিতে মিশন ও ভিশন অর্জনে সহায়তা, বিদ্যালয়ের রিওপেনিং, সেফটি কার্যকারিতা, এডুকেশন ট্রান্সফরমেশন, উপবৃত্তি ও দূরশিক্ষণসহ নানা ক্ষেত্রে নতুন ভ্যালু এডিশন ও প্রকল্পের প্রকৃত উদ্দেশ্য তুলে ধরা হয়নি। এসব বিষয় আরও স্পষ্ট করে প্রকল্পটি সংশোধন করতে বলা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ১৮ মাসের জন্য প্রকিউরমেন্ট এক্সপার্ট, ব্যবস্থাপনা এক্সপার্ট, মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন এক্সপার্ট এবং ৯ মাসের জন্য এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড সোশ্যাল সেফগার্ড এক্সপার্ট নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে দুই কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এর যৌক্তিকতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা প্রয়োজন। এ ধরনের একটি প্রকল্প শিক্ষাক্ষেত্রে এই মুহূর্তে প্রয়োজন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে, আমাদের দেশে যে উদ্দেশ্যে কোনো একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয় প্রকল্প শেষে দেখা যায় যে, সেই উদ্দেশ্যের ধারে-কাছেও যাওয়া হয় না, হয় শুধু কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের গাড়ি বিলাস ও বিদেশে ভ্রমণ বিলাস। এগুলোর দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন সম্ভব হলে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার ধাক্কা অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।

মাছুম বিলস্নাহ : শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও গবেষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<113213 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1