বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হোক লেখনীর ধারায়

মো. আবদুলস্নাহ আল মুনাইম
  ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হোক লেখনীর ধারায়
সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হোক লেখনীর ধারায়

এই স্স্নোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখার উদ্যোগে লেখক সম্মেলন ও সম্মাননা অনুষ্ঠান-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি খায়রুজ্জামান খান সানির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুলস্নাহ ও প্রধান আলোচক হিসেবে নর্দান ইউনিভার্সিটির সাবেক উপ-উপাচার্য ও ইবির সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল করীম। এছাড়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, টিএসসিসি পরিচালক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, আইআইইআর পরিচালক অধ্যাপক ড. ইকবাল হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি আমজাদ হোসেন হৃদয়, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম ইবি শাখার উপদেষ্টা আবু তালহা আকাশ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন মাহিমা খান ও তুহিন বাবু। অনুষ্ঠানে নবীন লেখকদের হাতে সম্মাননা সনদ, নোটপ্যাড, কলম ও ব্যাজ তুলে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বিদায়ী লেখকদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। সবার জন্য দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে উন্মুক্ত কুইজ বিজয়ীদের মাঝে ১০০টি বই উপহার দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের সভাপতি আমজাদ হোসেন হৃদয় বলেন, তরুণ কলাম লেখক ফোরাম একটি সৃজনশীল ও মেধাভিত্তিক সংগঠন। লেখার মাধ্যমেই দেশের আর্থসামাজিক সমস্যাগুলো তুলে ধরে তরুণ লেখকরা। ২৪ জুলাই বিপস্নবে সাংবাদিক ও লেখকদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম।

প্রধান আলোচক অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল করিম বলেন, 'পবিত্র কোরআনে প্রথম যে শব্দটি নাজিল হয়েছে, সেখানে পড়ার কথা বলা হয়েছে, অথচ লেখাপড়াতে ইসলামের কথা বললে আমাদের মৌলবাদী বলা হয়। কিন্তু টেলিভিশনে যখন বিভিন্ন ধর্মের কথা বলা হয়, তখন তারা মৌলবাদী হয় না। তাদের এই ধারণার কারণ হচ্ছে, তারা ইসলাম জানে না। আমি ৬২ বছর ধরে পড়াচ্ছি। তরুণদের সঙ্গেই আমরা সার্বক্ষণিক উঠাবসা। তার মানে কিন্তু, আমি এখনো তরুণ আছি। আমার বয়স আটাশি হতে পারে, কিন্তু আমি এখনো তরুণ। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে এই তরুণ সমাজকে। আর অন্যায়ের প্রতিবাদের শক্তিশালী মাধ্যম 'লেখনী দ্বারা প্রতিবাদ।'

ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুলস্নাহ বলেন, 'পাঠকের মৃতু্য ঘটে কিন্তু লেখকের মৃতু্য ঘটে না। কারণ লেখার মৃতু্য ঘটে না। এই যে জ্ঞানের যে বিস্তৃতি, জ্ঞানের যে সমৃদ্ধি, যদি ইতিহাসের দিকে আমরা তাকাই, লেখনীর মাধ্যমে জ্ঞানের যাত্রা শুরু হয়েছে সারা পৃথিবীতে। আর এই জ্ঞানের যাত্রা অব্যাহত আছে অনন্ত কালের দিকে অগ্রসর হচ্ছে লেখনীর মাধ্যমে। লেখার মতো গুণ আর অন্য কিছুতে নেই। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই যদি লেখালেখি করে তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয় মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে। লেখা সমাজের দর্শনকে মানুষের কাছে তুলে ধরে। লেখার মাধ্যমে সমাজকে চেনা যায়।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে