ইংরেজি আন্তর্জাতিক ভাষা হওয়ায় এটি বহুল ব্যবহৃত একটি ভাষা। কিন্ত ইংরেজি ভাষাভাষী মানুষ ছাড়া মানসম্মত ইংরেজি জানা লোকের সংখ্যা খুব বেশি নয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের শ্রম ও পেশার জন্য যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ইংরেজি ভাষা প্রয়োজন। আমাদের দেশে প্রাইমারি স্কুল থেকে কলেজ পর্যন্ত ১২ বছর বা এক যুগ ইংরেজি পড়ানোর পরও শুদ্ধভাবে ইংরেজি লেখা বা বলার ক্ষেত্রে দক্ষতা তৈরি হয় না। এটা কি শিক্ষার্থীদের ত্রম্নটি না শিক্ষকদের ব্যর্থতা না শিক্ষাব্যবস্থার দুর্বলতা। এই চিন্তাগুলো বারবার আমাদের মনে আসে। ভারতের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাচ্চাদের বিভিন্ন ক্লাসে ইংরেজির ওপর জোর দেওয়া হয়। তাদের ঊহমষরংয :ড় ঊহমষরংয ক্লাস করানো হয়। ফলে, তারা ইংরেজিতে দক্ষভাবে গড়ে ওঠে। তাদের ভড়ঁহফধঃরড়হ ষবাবষ শক্তিশালী হয়। ইংরেজির প্রতি তারা আকর্ষণ অনুভব করে এবং ইংরেজির গুরুত্ব প্রথম থেকে উপলব্ধি করে। কিন্তু আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাসগুলোতে ইংরেজি ক্লাসেও বাংলাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। ফলে, এখানকার একজন শিক্ষার্থী ইংরেজির প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে না এবং এর গুরুত্ব উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়। আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা কেন ইংরেজিতে এত দুর্বল বা কেন অনেক সংখ্যক শিক্ষার্থী প্রতি বছর এই বিষয়ে ফেল করে তার কয়েকটি কারণ ও প্রতিকারের উপায় আলোচনা আবশ্যক।
ইংরেজিতে দুর্বল হওয়ার কারনসমূহ:
১। অনেকে ইংরেজি ভাষা শেখার প্রতি আগ্রহী নয়। এটিকে কঠিন মনে করে। এটিকে শুধু একটি বিষয় হিসেবে গ্রহণ করে এবং পাস করাকে দায়িত্ব শেষ মনে করে।
২। ইংরেজির ভবিষ্যৎ গুরুত্ব উপলব্ধি করে না।
৩। শুধু পরীক্ষায় পাস করার :ধৎমবঃ অথবা ংযড়ৎঃ ংঁমমবংঃরড়হ-এর প্রতি আগ্রহ থাকে। ফলে, অতিরিক্ত শেখা থেকে পিছিয়ে পড়ে।
৪। নকলের ওপর অথবা অন্যের ওপর নির্ভরতা।
৫। শুধু ঝুষষধনঁং-ভিত্তিক পড়া। অতিরিক্ত শব্দ/ ঢ়যৎধংব বা অতিরিক্ত বই পড়া থেকে বিরত থাকা।
৬। সব সময় শিক্ষক বা ঢ়ৎরাধঃব :ঁঃড়ৎ-এর ওপর নির্ভরশীল থাকা।
৭। সৃজনশীলভাবে চিন্তা না করা বা চর্চা না করা।
৮। ক্লাসে মনোযোগের অভাব ও শিক্ষকদের পরামর্শ/ ংঁমমবংঃরড়হ-এর ওপর গুরুত্ব না দেওয়া।
৯। ঢ়ধরৎ ফরংপঁংং/মৎড়ঁঢ় ফরংপঁংং অথবা ইংরেজি বিষয়ক ফবনধঃরহম, পষঁন, সভা-সেমিনারে অংশগ্রহণ করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করা।
১০। অনেক শিক্ষক শুধু তার ঢ়ৎরাধঃব শিক্ষার্থীদের গুরুত্ব দেন। ফলে, অন্য শিক্ষার্থীরা অবহেলিত থাকে এবং নিরুৎসাহিত হয়।
এখন ইংরেজি ভীতি কাটিয়ে কীভাবে ইংরেজিতে দক্ষ হওয়া যায় বা পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করা যায়- সে বিষয়গুলো তুলে ধরছি।
১। ক্লাসে শিক্ষকের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা ও বোঝা।
২। শুধু ংুষষধনঁং-ভিত্তিক না পড়ে অতিরিক্ত ঊহমষরংয ংঃড়ৎু, ঢ়ড়বস, হড়াবষ, বংংধু, ঊহমষরংয হবংিঢ়ধঢ়বৎ ইত্যাদি পড়া। কারণ এতে অতিরিক্ত ড়িৎফ/ঢ়যৎধংব/ংবহঃবহপব শেখা যায়- যা পষধংং-এর পাঠকে সহজ করে।
৩। ঘধঃরাব ঝঢ়বধশবৎ-দের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা ও বোঝার চেষ্টা করা। ঊহমষরংয হবংি, ইঁষষবঃরহ নিয়মিত শোনা, ঊহমষরংয ঘবংিঢ়ধঢ়বৎ, গধমধুরহব ইত্যাদি পড়ার অভ্যাস তৈরি করা।
৪। প্রতিদিন ১০-১৫টি নতুন শব্দ শেখা এবং এগুলো দিয়ে বাক্য গঠন করা।
৫। যে কথাগুলো বাংলায় বলা যায় সেগুলো নিয়ে ইংরেজিতে চিন্তা করা।
৬। ৩-৪ জনের একটি গ্রম্নপ করে প্রত্যেকদিন ১-ঘণ্টা ইংরেজি বলার চেষ্টা করা।
৭। কাজের শ্রেণি ও ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট শব্দ/ঢ়যৎধংব/ংবহঃবহপব শেখা।
৮। প্রতিদিন ১-ঘণ্টা ঘধঃরাব ঝঢ়বধশবৎ-দের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা।
৯। প্রতিদিন ১-২ ঘণ্টা জোরে জোরে ইংরেজি পড়ার অভ্যাস করা।
১০। ঊহমষরংয খধহমঁধমব ধহফ ঝঃৎঁপঃঁৎব-এর ওপর ভালো ভালো গল্পের বা গ্রামারের বই পড়া।
১১। ঊহমষরংয ঝঢ়বধশরহম ঈষঁন তৈরি করে বিভিন্ন ঞড়ঢ়রপ-এর ওপর পর্যায়ক্রমে বলার অভ্যাস করা।
প্রথমেই খুব বেশি উচ্চারণের ওপর জোর না দিয়ে বেশি জানা ও শেখার ওপর জোর দিতে হবে। উচ্চারণ একটু সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। বলতে বলতে উচ্চারণ অনেকটা ঘধঃরাব ঝঢ়বধশবৎ-দের মতো হতে পারে। নতুন কর্মপরিবেশে গেলে লোকজনের কথা শুনে অল্প অল্প ধহংবিৎ দিতে দিতে অবশ্যই এই ভাষায় সক্ষমতা তৈরি হবে। শিক্ষার্থীদের হাল না ছেড়ে এবং এটাকে শুধু পরীক্ষার বিষয় হিসেবে না দেখে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে দেখলে, নিয়মিত অনুশীলন বা চর্চা করলে, ইংরেজির প্রতি তীব্রতর আকর্ষণ অনুভব করলে এবং সর্বোপরি সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে অবশ্যই ইংরেজির দুর্বলতা কাটিয়ে ইংরেজিতে ভালো করা সম্ভব।
প্রভাষক, ইংরেজি বিভাগ
হোসেনপুর শম্ভুপুরা, পিরোজপুর ইউনিয়ন ডিগ্রি কলেজ, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ।