বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

বন্ধুত্বের মেলবন্ধনে 'দুরন্ত-১৩'

  ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
বন্ধুত্বের মেলবন্ধনে 'দুরন্ত-১৩'
বন্ধুত্বের মেলবন্ধনে 'দুরন্ত-১৩'

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস, পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট ও ল্যাবের ব্যস্ততায় শিক্ষার্থীরা ভুলে যায় আনন্দের কথাগুলো। শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠতে কষ্ট হলেও এটেন্ডেসের কথা মনে পড়লেই হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়। এভাবেই প্রতিদিন সকালে হালকা ঘুম নিয়ে কুয়াশা ভেদ করে দৌঁড়াতে হয় ক্যাম্পাসের উদ্দেশে।

ঘড়ির কাঁটায় যখন বাজে ঠিক ৯টা ঠিক তখনই সাভারের গণ-বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদে উপস্থিত ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। টক্সিকোলজি ক্লাসের পরই শুরু হয় ইমিউনোলজি এবং সেরোলজি পরীক্ষা। পরীক্ষার পর সবাই সবার দায়িত্ব বুঝে নেই। অনেকে নিজ দায়িত্বে রান্নার সরঞ্জাম আনার জন্য ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় চলে যায়। পরবর্তী সময়ে সবাই জমায়েত হয় ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতালে। এরপরই শুরু হয় মুরগির পোস্টমর্টেম। ড. শাহনাজ পারভীন ম্যামের সার্বিক দিক নির্দেশনায় ব্যবহারিক কাজের অংশ শেষ হয় দুপুর ৩টায়।

মেহেগনি গাছের বাগানের ভেতরে খোলা আকাশের নিচে শুরু হয় চুলা জ্বালানোর কাজ। আবার অনেকে পেঁয়াজ, মরিচ, গাজর এবং শসা কাটাতে ব্যস্ত সময় পার করছে। অনেকে আবার কাজ না করার অজুহাতে নিজেকে ব্যস্ত দেখাচ্ছে!

রান্নার ফাঁকে ফাঁকে সবাই খোশগল্প, ফটোসেশন, প্রেম ও ভালোবাসার গল্পে মেতে উঠেছিল। রান্নার গন্ধ যখন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল তখন সবার ক্ষুধার যন্ত্রণাও সমানুপাতিক হারে বেড়ে গিয়েছিল। তবুও পড়ন্ত বিকালে সূর্যাস্তের পূর্ব মুহূর্তে সবাই ফটোসেশনেই ব্যস্ত ছিল। রান্না যখন প্রায় শেষের দিকে তখন সবাই পেস্নট নিয়ে বসে গেল। সবার পেস্নটে খাবার আসামাত্র সবাই খেতে লাগলো তৃপ্তি সহকারে। দুপুরে সবাই অভুক্ত ছিল তাই সবাই পেটভরে খাবার খেয়েছিল। খাবার গ্রহণ শেষে সবাই নিজ নিজ বাসার উদ্দেশে রওনা হলো। আজকের দিনটি যেমন ছিল শিক্ষণীয় ঠিক তেমনি আনন্দেরও।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে