ক্যাম্পাস সাংবাদিকতায় পরিচিত নাম গণবিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (গবিসাস)। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে প্রাচীন সাংবাদিক সংগঠন গবিসাস। ২০১৩ সালের ১০ ফেব্রম্নয়ারি যাত্রা শুরুর পর অবিরাম ছুটে চলছে এই সংগঠন। দেশে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতায় যেখানে নারীদের সংখ্যা হাতেগোনা, সেখানে গবিসাসের বর্তমান কমিটির ১১ জনের চার জনই নারী। কমিটির শীর্ষ সারির এই চার নারীর অভিমত জানাচ্ছেন ডা. অনিক আহমেদ।
'প্রতিবন্ধকতা তোমাকে থোড়াই কেয়ার'
সানজিদা জান্নাত পিংকি
সাধারণ সম্পাদক, গবিসাস।
নারীদের জন্য সাংবাদিকতা বিষয়টি অনেকের কাছে ঠিক স্রোতের প্রতিকূলে গিয়ে দাঁড়ানোর মতো। হোক সেটা পেশাগত জীবন কিংবা ক্যাম্পাস। তবে সত্য উন্মোচনের নেশায় এবং মাথা না নোয়াবার মতো মেরুদন্ড নিয়ে যখন সব চ্যালেঞ্জ মেনে নীতিবদ্ধ হয়েছি তখন বলা চলে 'প্রতিবন্ধকতা তোমাকে থোড়াই কেয়ার'। আবার 'একলা চলো রে' নীতিতে চলা থেকে সাংগঠনিক মানুষে পরিণত হওয়া, সাংবাদিকতার প্রতি টান ধরানোর পেছনে ছিল সংগ্রাম। গবিসাস আমাকে এই সাহস দিয়েছে। প্রিয় সংগঠন থেকে প্রতিনিয়ত শিখছি।
'গবিসাস কর্মজীবনে এগিয়ে রাখে'
আফসানা মিজান মিমি
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, গবিসাস
ক্যাম্পাস লাইফে একটা সংগঠনের প্রতি বারবার মায়ায় পড়েছি, সেটা গবিসাস। এই সংগঠনে কাজ করা মানে ক্যাম্পাসে আরেকটা পরিচয়। মেয়ে হিসেবে কাজের সুন্দর পরিবেশ গবিসাসের সৌন্দর্যের পরিচায়ক। এখানে যারা ভালো করবে, তারা কর্মজীবনে এগিয়ে যাবে।
'সৃজনশীল শিক্ষার্থীদের ঠিকানা গবিসাস'
ইভা আক্তার
সাংগঠনিক সম্পাদক, গবিসাস
কিছু সৃজনশীল তরুণ-তরুণীর প্রিয় ঠিকানা গবিসাস। ক্যাম্পাসে একাডেমিক পড়াশোনার বাইরেও আরেকটা জগত থাকতে পারে, সেটা গবিসাসের কল্যাণে অনুভূত হয়। এই সংগঠনে যারা কাজ করে, তারা অনেকের থেকে এগিয়ে যায়। টিম হিসেবে কাজ করতে পারায় গবিসাস ক্যাম্পাসের দর্পণ হিসেবে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে।
'স্বপ্নবাজ মানুষের ঠিকানা রুম নং-১০৪'
হুমায়রা রহমান সেতু
অর্থ সম্পাদক, গবিসাস।
ক্যাম্পাসে আমরা প্রচুর সময় অপচয় করি। আমি এই সময়টা কাজে লাগাতে চেয়েছি। এ জন্যই গবিসাসে যুক্ত হওয়া। পরিবারের বাইরে গবিসাস আমার আরেকটা পরিবার। ক্যাম্পাসের এক কোণায় অবস্থিত 'রুম নং-১০৪!' কিছু স্বপ্নবাজ মানুষের ঠিকানা। তারা ক্যাম্পাসকে বদলে দিতে চায়। আমিও সেই ইতিবাচক পরিবর্তনের সাক্ষী হতে এই পথের পথিক হয়েছি।