নীল আকাশের নিচে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ জুড়ে হলুদ সরিষার ফুল সকালের সূর্যের কিরণ প্রতিফলিত হবার সঙ্গে সঙ্গে সরিষা ফুলের হেসে ওঠে চারদিক এক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নীলাভূমি মধু সংগ্রহের ব্যস্ত মৌমাছিরা পড়ন্ত বিকেলের মিষ্টি রোদে সরিষা ফুলগুলো বাতাসে দোল খেতে থাকে। হলুদ সরিষার ফুল যেন প্রকৃতির অলংকার। ফুল গুলোর তাদের কলি বের করে সুভাস ছড়িয়ে দিচ্ছে চারিদিকে।এ যেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি সরজমিনে সরিষা জমিতে গিয়ে দেখা যায় ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে সরিষা মাঠে ভীড় করেছেন বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষ শিশুসহ বিনোদন প্রেমিরা। সরিষা মাঠ ঘুরে ঘুরে দেখছেন। কেউবা আবার মোবাইল ফোনে সেলফি তুলছেন।একাধিক কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় এক সময় জেলায় ব্যাপক পরিমাণে সরিষার আবাদ হতো সয়াবিনের উপর নির্ভরতা বাড়ায় বর্তমানে অনেক টায় কমে গেছে। সরিষার চাষ তবুও ধান চাষের পাশাপাশি ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সরিষা চাষ হয়ে থাকে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় চলতি মৌসুমী উপজেলায় ৩০৬৯ জমিতে সরিষার আবাদে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আবাদ ও হয়েছে ৩০৭০ হেক্টর। হেক্টর প্রতি সম্ভাব্য ফলন ১.৪৩ মেট্রিক টন/হেক্টর প্রতি মোট উৎপাদন আশা করছি ৪৩৯০ মেট্রিক টন হবে। কৃষক হারুন আলী যায়যায়দিনকে বলেন সরিষা চাষ করতে প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা এবং ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা লাভ হবে বলে আশা করছি। সরিষা চাষের যে সার ব্যবহার করি পরবর্তীকালে ইরি ধান আবাদের সময় সার বেশি দেওয়া লাগে না। এতে আমাদের খরচ কিছুটা কমে যায়।এবার মেঘ বৃষ্টি না হয় আমরা লাভবান হবো।আবার অপর কৃষক হেলাল উদ্দিন যায়যায়দিনকে বলেন তিন বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি অফিস থেকে বীজ সার পেয়েছি ফসল ও ভালো হয়েছে ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি। উপজেলা কৃষি অফিসার শরীফ মোহাম্মদ তিতুমীর বলেন এবছর সরিষার চাষ মাঠে খুব ভালো হয়েছে আমরা সরিষার বাম্পার ফলন আশা করছি।